আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মধ্যযুগে ইসলামের রূপটি দেখুন...

নতুন নতুন ধারণার জম্ম দিতে চাই শ্রীমানবেন্দ্রনাথ রায় তার বিখ্যাত গ্রন্থ Historical Role of Islam-এ বলেন : মুসলিম শিক্ষার প্রভাবেই ইউরোপ আধুনিক সভ্যতার নেতা হতে পেরেছে। মহাত্মা গান্ধী বলেছেন : পাশ্চাত্য যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত, প্রাচ্যের আকাশে তখন উদিত হলো এক উজ্জ্বল নত্র (ইসলাম) এবং আর্ত পৃথিবীকে তা দিলো আলো ও স্বস্তি। বিগত ৪ জুন ২০০৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মিসরের কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম বিশ্বের উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক ভাষণে বলেন : As a student of history, I also know civilizations debt to Islam. It was Islam-at places like Al-Azhar-that carried the light of learning through so many centuries paving the way for European Renaissance and Enlightment. It was innovations in Muslim communities that developed the order of Algebra, our magnetic compass and tools of navigation; our mastery of pens and printing; our understanding of how disease spread and how it can be healed. সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ এবং ঢাকার মহাসমাবেশে তাদের উপস্থাপিত ১৩ দফা দাবিকে কেহ কেহ ‘মধ্যযুগের চিন্তাচেতনার সাথে তুলনা করে বক্তব্য দেয়া শুরু করেছেন। তাই আমাদের উচিত মধ্যযুগের ইসলামের ইতিহাসটা দেখে নেয়া........ ইউরোপের ইতিহাসে চতুর্থ থেকে পঞ্চদশ শতককে ‘মধ্যযুগ’ বলে চিহ্নিত করা হয় (ওয়ার্ল্ড বুক এনসাইকোপেডিয়া)। ইসলামের ইতিহাসে সপ্তম থেকে ত্রয়োদশ শতককে ‘স্বর্ণযুগ’ বা ‘ইসলামি রেনেসাঁর যুগ’ বলে অভিহিত করা হয়।

এ সময়কালে মুসলিম পণ্ডিত, গবেষক, প্রকৌশলী, কবি, দার্শনিক, ভূগোলবেত্তা, চিত্রশিল্পী ও বণিকেরা তাদের মেধা, দতা ও যোগ্যতা দ্বারা কৃষি, অর্থনীতি, শিল্প, চিত্রকলা, আইন, সাহিত্য, দর্শনী, নৌবিদ্যা, সমাজতত্ত্ব, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির েেত্র প্রভূত অবদান রাখেন, যা মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। খোলাফায়ে রাশিদিনের আমলের পর মুসলিম শাসকেরা সপ্তম ও অষ্টম শতাব্দীতে বিশাল এক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন, যা ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ সাম্রাজ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। অষ্টম শতকের মাঝামাঝি আব্বাসীয় শাসনামলে খিলাফতের রাজধানী দামেস্ক থেকে বাগদাদে স্থানান্তরের পর জ্ঞানবিজ্ঞানে মুসলমানদের বিরাট উৎকর্ষসাধিত হতে থাকে। অবশ্য শাসকদের মতার বৈধতা প্রশ্নবিব্ধ হলেও তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় কুরআন ও সুন্নাহর মূলনীতি অনুসরণ করতেন। ‘শহীদের রক্তের চেয়ে জ্ঞানীর কলমের কালি পবিত্রতর’Ñ হাদিসের এ চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মুসলিম জ্ঞানসাধকেরা জ্ঞানবিজ্ঞানের সমুদ্র মন্থনে ব্রতী হন।

এ সময় আব্বাসীয় শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাগদাদে গড়ে তোলা হয় ‘বায়তুল হিকমা’ বা জ্ঞানের ভবন, যেখানে মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সবাই বিশ্ব জ্ঞানবিজ্ঞান নিয়ে চর্চা করেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মূল্যবান গ্রন্থ সংগ্রহ করে তারা তা আরবি ভাষায় অনুবাদ করেন। গ্রন্থগুলোর মধ্যে বিজ্ঞান, দর্শন, চিকিৎসাশাস্ত্র ও শিক্ষার বিষয়ের প্রাধান্য ছিল। বহু নান্দনিক বিখ্যাত গ্রন্থ হারিয়ে যেত যদি না সেগুলো প্রথমে আরবি এবং পরে তুর্কি, ফার্সি, হিব্র“ ও ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হতো। মুসলিম পণ্ডিতেরা প্রাচীন মেসোপটেমিয়া, রোমান, চীনা, ভারতীয়, পারসি, মিসরীয়, উত্তর আফ্রিকীয়, গ্রিক ও বাইজেন্টাইনীয় সভ্যতা থেকে বহু মূল্যবান জ্ঞান-ভাণ্ডার সংগ্রহ ও সঙ্কলন করেন।

অপর দিকে বাগদাদের বাইরেও মিসরের কায়রো ও আন্দালুসিয়ার কর্ডোভা জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে বিকশিত হয়েছিল। শিাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্য ধর্মাবলম্বীরাও জ্ঞানচর্চার সুযোগ পেত। মুসলমানরা চীন থেকে গোপনে প্রযুক্তি সংগ্রহ করে সমরকন্দ ও বাগদাদ নগরীতে কাগজের কল প্রতিষ্ঠা করে। চীনারাই প্রথমে কাগজের সূত্রপাত করলেও তাতে কলম ব্যবহার করা যেত না। মুসলমানরা প্রযুক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে তা কলম দিয়ে লেখার উপযুক্ত করে।

এর ফলে বাগদাদে শত শত দোকান গড়ে ওঠে যারা বই প্রস্তুত করত এবং তা সুন্দরভাবে বাঁধাই করে লাইব্রেরি রাখার ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় লাইব্রেরি থেকে বই ধার দেয়ার ব্যবস্থা চালু হয়। বাগদাদে পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপনের পর তা উত্তর আফ্রিকার ফেজ নগরীতে ও আন্দালুশিয়ার কর্ডোভাতেও গড়ে ওঠে। এখান থেকে ত্রয়োদশ শতকে তা ইউরোপে সম্প্রসারিত হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এক একটি নগরী তখন জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে।

আফ্রিকা এবং দণি ও দণি-পূর্ব এশিয়ার সাথে আরব মুসলমানদের বিশাল বাণিজ্য নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে। মধ্যযুগের বহু মুসলিম পণ্ডিত জ্ঞান ও মূল্যবোধচর্চার েেত্র মানবিক, যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। এ সময়ের অনেক রচনায় প্রেম, ভালবাসা, কবিতা, ইতিহাস ও দর্শন, ধর্মতত্ত্ব বিষয়ের যে আলোচনা রয়েছে তাতে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ ও উদারনৈতিক চিন্তাধারা ল করা যায়। ইসলামি সাম্রাজ্যে প্রধানত ইসলামি বিধিবিধানের আলোকে সমাজ ও রাষ্ট্রের জীবন নিয়ন্ত্রিত হতো, তবু সেখানে খ্রিষ্টান ও ইহুদি পণ্ডিতদেরও সমানভাবে উৎসাহ ও মর্যাদা দেয়া হতো জ্ঞানচর্চার জন্য এবং এর ফলে অষ্টম থেকে ত্রয়োদশ শতক পর্যন্ত মুসলমানেরা বুদ্ধিবৃত্তি ও সৃজনশীল দার্শনিকতার উচ্চমার্গে আরোহণ করেছিল। এর মাধ্যমে তারা অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের সাথে একটি আন্তঃসাংস্কৃতিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল।

মুসলিম শাসকরা বাকস্বাধীনতার েেত্রও বিরাট উদারতার পরিচয় দেন। আরব পণ্ডিতরা সে যুগে পরিবেশ ও পরিবেশ বিজ্ঞান সম্পর্কে বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেন। মুসলিম বিজ্ঞানীরা পরিবেশদূষণ, বিশেষ করে বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, মৃত্তিকার বিষাক্ততা, পৌরবর্জ্য অব্যবস্থাপনা, পরিবেশের প্রভাব মূল্যায়ন ইত্যাদি বিষয় মূল্যবান গবেষণা পরিচালনা ও গ্রন্থ রচনা করেন। কর্ডোভা নগরীতে সর্বপ্রথম বর্জ্য সংগ্রহের জন্য কনটেইনার স্থাপন ও তার সুব্যবস্থাপনা করা হয়। মধ্যযুগের মুসলমানরা এমন কিছু বিজ্ঞান ও শিাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে, যা পূর্বেকার বিশ্বে অপরিচিত ছিল।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পাবলিক হসপিটাল, মানসিক রোগ নিরাময় হাসপাতাল, পাবলিক লাইব্রেরি, ডিগ্রি প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়, মহাকাশ দূরনিরীণ/পর্যবেণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ইত্যাদি। মধ্যযুগে বিমারিস্তান মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে সর্বপ্রথম চিকিৎসাবিষয়ক ছাত্রদের ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট দেয়া হয় চিকিৎসক হিসেবে কাজ করার জন্য। এটা নবম শতকের ঘটনা। গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে উল্লেখ রয়েছে যে, বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় ছিল মরক্কোর ফেজ নগরীর ইউনিভার্সিটি অব আল কারাউইন, যা ৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পর ৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় কায়রোর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়।

বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদানকারী বিশ্বের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এটি স্বীকৃত। ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদানের প্রথম সূচনা হয় মধ্যযুগের মাদরাসাগুলোতে। দশম শতাব্দীতে শুধু কর্ডোভাতেই ছিল ৭০০ মসজিদ, ৬০ হাজার প্রাসাদ এবং ৭০ টি লাইব্রেরি। সর্ববৃহৎ লাইব্রেরিটিতে বইয়ের সংখ্যা ছিল ৬ লাখ। শুধু আন্দালুসিয়া থেকে প্রতি বছর কবিতা, যুক্তিবিদ্যা, সঙ্কলন ও বিভিন্ন প্রকার ৬০ হাজার পুস্তক প্রকাশিত হতো।

কায়রো লাইব্রেরিতে গ্রন্থের সংখ্যা ছিল ২০ লাখ। অপর দিকে ক্রুসেডের সময় ধ্বংস হওয়ার আগে ত্রিপলির লাইব্রেরিতে ৩০ লাখ গ্রন্থের সংগ্রহ ছিল। মধ্যযুগে কেবল আরবি ভাষায় প্রকাশিত অঙ্কশাস্ত্রের গ্রন্থের সংখ্যা গ্রিক ও ল্যাটিন ভাষায় মধ্যযুগে প্রকাশিত গ্রন্থের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। আধুনিক যুগে ওই সব আরবি গ্রন্থের খুব সামান্যই এখন পঠিত হয়। ওই সময় মুসলমানরা যে গ্রন্থাগার গড়ে তুলেছিল সেগুলো শুধু ওই বইয়ের সংগ্রহশালা ছিল না; বরং সেগুলো একাধারে পাবলিক লাইব্রেরি, লেন্ডিং লাইব্রেরি, জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা কেন্দ্র, আলোচনা ও সভা-সমিতির স্থান, শিার্থীদের ছাত্রাবাস হিসেবেও ব্যবহৃত হতো।

মধ্যযুগেই লাইব্রেরিতে বইগুলো সুবিন্যস্ত আকারে সংরণের জন্য ক্যাটালগ পদ্ধতি চালু করা হয়। ইসলামিক আইন ও আইনশাস্ত্র (জুরিসপ্র“ডেন্স) সংক্রান্ত বেশ কিছু মৌলিক আইনগত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। সামগ্রিকভাবে সমন্বিত সাধারণ আইন (common law) রচিত হয়েছিল ইসলামি আইনের প্রভাবে। ইসলামের স্বর্ণযুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় সমভাবে পারদর্শী এক পণ্ডিতশ্রেণী গড়ে উঠেছিলেন যারা ‘হাকিম’ বলে পরিচিত ছিলেন। এসব পণ্ডিত ব্যক্তি বিভিন্ন মৌলিক অবদান রেখে গেছেন।

সে যুগের মুসলিম পণ্ডিতরা আধুনিককালের বিশেষায়িত বিষয়ের মধ্যে সীমিত ছিলেন না। তারা এক একজন বহু বিষয়ের প্রাজ্ঞ ও অভিজ্ঞ বিদ্বান ছিলেন। মুসলমানরা তাদের পুরনো বাণিজ্যিক সংযোগকে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর ও পূর্বে দণি এলাকায় তাদের ব্যবসাবাণিজ্য সম্প্রসারণ করে। এর ফলে খোলাফায়ে রাশিদিনের আমল থেকে শুরু করে, উমাইয়া, আববাসীয় ও ফাতেমী শাসকেরা এয়োদশ শতক পর্যন্ত বিশাল এক অর্থনৈতিক শক্তি বলয় গঠন করেছিল। এটা ছিল তখনকার যুগে সবচেয়ে শক্তিশালী এক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক শক্তি।

অপরদিকে গ্রিক রোমান সাম্রাজ্যে মধ্যযুগে গড় আয়ু ছিল মাত্র ২৮ বছর এবং সপ্তম-অষ্টম শতকে ইসলামি খিলাফতে ছিল ৩৫ বছর। দশম ও একাদশ শতকে ইরাক ও পারস্যের মুসলিম পণ্ডিতদের গড় আয়ু বৃদ্ধি পায় ৮৪ বছরে। প্রায় একই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে গড় আয়ু ছিল প্রায় ৭৩ বছর এবং মুসলিম স্পেনে ৬৯-৭৫ বছর। দ্বাদশ শতকে পারস্যে সাধারণ গড় আয়ু ছিল ৭৫ বছর এবং ত্রয়োদশ শতকে ৫৯-৭২ বছর। ইসলামি সাম্রাজ্যে মধ্যযুগের শিার হার ছিল এথেন্সের শিক্ষার হারের চেয়ে অনেক বেশি।

পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরাই স্বীকার করেন যে, পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানীরা মুসলিম বিজ্ঞানীদের কাছে অনেকাংশে ঋণী। মধ্যযুগে ইসলামের মহান আদর্শ ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাফল্য এতটাই প্রভাব সৃষ্টি করেছিল যে, গ্রিক দর্শন ও ইউরোপীয় সমাজ আধুনিকতার পথে ধাবিত হয়। ঐতিহাসিক ফিলিপ কে হিট্টি বলেন: It is to the eternal glory of the medieval Muslim thinkers of Baghdad and Andalusia that they reconciled these two currents of thoughts and passed them on harmonized into Europe. Their contribution was one of the first magnitudes considering its effect upon scientific and philosophic thought and upon the theology of later times. ঐতিহাসিক হিট্টির মতে, মধ্যযুগে ইসলামি বিশ্ব থেকে যে নতুন ধ্যানধারণা বিশেষত দার্শনিক চিন্তাধারা ইউরোপে সম্প্রসারিত হয় তা ইউরোপের অন্ধকার যুগের অবসান ও বুদ্ধিবৃত্তিক যুগের নতুন প্রভাতের সূচনা করে। জন ডব্লিউ ক্যাম্পবেল জুনিয়র মন্তব্য করেন যে, মজার বিষয় হলো, রেনেসাঁর সময় ইউরোপ গ্রিস ও রোমের জ্ঞান ও প্রজ্ঞাচর্চায় নিয়োজিত হলো; অথচ তারা যে অগ্রগতি সাধন করেছিল তা কিন্তু পেয়েছিল তাদের শত্র“ মুসলমানদের কাছ থেকে। এই ইসলামী সভ্যতাই পৃথিবীকে উপহার দিয়েছিল- ইবেন সিনা, আল খারেজমী, আল কিন্দি, জাবির ইবনে হাইয়ান, ইবনে বতুতা সহ আরো অনেকে।

(সংগ্রহিত) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।