সত্য প্রকাশে সংকোচহীন সূর্যাস্তের সাক্ষী
১.০ : গোড়ার কথা
আমরা দুঃখিত যে অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবিরকে উপাচার্যের পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে। আমাদের বেদনাহত হবার পশ্চাতে বিশেষ কারণটি এই যে, জননেত্রী শেখ হাসিনা তথা তাঁর সরকার ভাবমূর্তি রক্ষার্থে এ সিদ্ধান্তটি নিতে বাধ্য হয়েছেন। ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন অনুষদ ও বিভাগ খোলা, সেশনজ্যাম কমিয়ে আনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ড. কবিরের কৃতিত্ব প্রশংসার দাবি রাখে। তারপরও কেন তাঁকে এমনিভাবে বিদায় নিতে হলো? এ নিয়ে অনেক গুঞ্জন আছে। ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ইত্যাদি ‘তত্ত্বের’ ভিত্তিতে তাঁর বাধ্যতামূলক সরে দাঁড়াবার কারণ খোঁজা হচ্ছে।
আমরা এ ধরনের “তত্ত্বের” ধারে-কাছেও যেতে চাই না; বরং বিরাজমান বাস্তবতার আলোকে পুরো বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করতে বেশি আগ্রহী। আর এটাতো সবার জানা কথা যে রোগের প্রকৃত কারণ বিশ্লেষণ না করে অনুমানভিত্তিক প্রেসক্রিপশন শুধু রোগ প্রলম্বিত করে না- এক সময় রোগীর মৃত্যুর প্রধান অনুঘটক হিসেবে হাজির হয়।
২.০ : নিষিদ্ধ ভুল
বিদায়ী উপাচার্য বেশ ক’টি মারাত্মক ভুল করেছেন যার পূর্ণ ফিরিস্তি দেওয়ার সময় ও স্পেস আমাদের কাছে নেই। তবে বোধ করি বলা যথেষ্ট যে, তাঁর ভুলের মাশুল শুধু তিনি নিজেই দেন নি; ভাবমূর্তিজনিত সংকটে নিমজ্জিত বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের প্রতিটি সদস্যকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সে ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে। আমাদের সমালোচকগণ হয়তো ভাবছেন যে এখন এগুলো বলছি শুধুমাত্র ‘দুর্দিনে’ তাঁকে পরিত্যাগ করার জন্য।
ব্যাপারটি কিন্তু আসলে তা নয়। অন্য কেউ না জানলেও তিনি ভালো করেই জানেন যে বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তি পর্যায়ে বা সমষ্টিগতভাবে আলাপচারিতায় সেসব মারাত্মক ভুলগুলোর দিকে আমরা তাঁর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণের প্রয়াস গ্রহণ করেছিলাম। আমাদের কোনো কথা তিনি শোনেন নি। যাই হোক, আমাদের মতে ভুলগুলো ছিল এরকম:
ক্স উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার অন্তত বছর খানেকের মধ্যে তাঁর উচিৎ ছিল ভিসি প্যানেল নির্বাচন সম্পন্ন করা। আপনারা অবগত আছেন যে দেশের চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ‘৭৩-এর অধ্যাদেশ দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কথা।
সে অধ্যাদেশের মূল স্তম্ভ হচ্ছে সিনেট কর্তৃক নির্বাচিত একজন উপাচার্য। আরো জানা দরকার, এ অধ্যাদেশটি বস্তুত বিশ্ববিদ্যালয় সমাজের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ‘‘উপহার’’। শুধু জাবি নয়, ঢাবি, রাবি ও চবিতে যে সাড়ে তিন বছর যাবৎ অনির্বাচিত উপাচার্যের শাসন চলছে তা রীতিমতো জাতির জনকের সেই উপহারটিকে উপহাস করা ছাড়া আর কিছু নয় বলে আমরা মনে করি। যথাসময়ে প্যানেল নির্বাচন হলে ড. কবিরই যে উপাচার্য থাকতেন এবং দীর্ঘ সময় “অনির্বাচিত” উপাচার্য থাকার অপবাদ থেকেও মুক্ত হতে পারতেন সে বিষয়ে আমাদের কোন সন্দেহ নেই।
ক্স দ্বিতীয়ত, মারাত্মক ভুলটি করলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণের নামে কব্জায় নিতে গিয়ে।
কেন্দ্রীয় কমিটির দেওয়া সিদ্ধান্ত না মেনে তিনি নিজেই সংগঠনটির পুরো নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইলেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, টিভি টক শো এমনকি প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যে জাবির ছাত্রলীগের তথাকথিত কমিটি “ভিসিপন্থী ছাত্রলীগ” হিসেবে পরিচিতি পেতে লাগলো। প্রশাসনের চোখের সামনে হলের ছাদ থেকে ছাত্র ফেলে দিয়ে পঙ্গু করা থেকে শুরু করে প্রক্টর ও প্রভোস্টের মাধ্যমে অ-ছাত্রের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া, এবং এই লীগের হাতে জুবায়ের খুন হওয়ার সাথে বিভিন্ন মিডিয়াতে “ভিসিপন্থী ছাত্রলীগ” এবং ড. কবিরের সম্পৃক্ততার কথা জোরে শোরে আলোচিত হতে থাকে। আবার এটা খুবই দুঃখজনক যে কোনো কোনো কলামিস্টের ভাষায় “গড ফাদার ভিসি” হিসেবে তাঁর নাম ওঠে আসে। এক সময় এসব ছাত্র নামধারীদের বাড়াবাড়ি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে রাতের অন্ধকারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীদের ওপরেও চড়াও হয়ে তারা চলমান ভিসি বিরোধী আন্দোলনের প্রজ্জ্বলিত আগুনে ঘি ঢেলে দেয়।
ক্স তৃতীয়ত, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কমবেশি সমালোচনা সব ভিসির আমলে এবং সব বিশ্ববিদ্যালয়েই হয়ে থাকে। এ নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। কিন্তু ১০মার্চ ২০১২ গণিত বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে তিনি যে পদ্ধতি গ্রহণ করলেন এবং যেভাবে সিন্ডিকেট সভা বসালেন তা ছিল রীতিমতো রেকর্ড সৃষ্টিকারী একটা “তামাশা”। অন্য দিক থেকে বিবেচনা করলে এ ধরনের আয়োজন অনৈতিক কাজ; কারণ প্রার্থীদের অনেকে জানতেন না যে ইতোমধ্যে সাক্ষাৎকারের স্থান বদল হয়ে গেছে। আমরা খুবই দুঃখিত যে ভিসি সাহেবের এ ধরনের পদক্ষেপকে সমর্থন বা স্বাগত জানাবার “প্রশিক্ষণ” আমরা নিতে পারিনি তবে শুধু এটুকু বলাই যথেষ্ট: ‘এ কিংডম ওয়াজ লস্ট জাষ্ট ফর এ নেইল।
’
ক্স চতুর্থত, জাবির ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো গভীর রাতে ক্যাম্পাসে এসে পুলিশ দু’জন শিক্ষককে বিনা ওয়ারেন্টে তাদের পরিবারের সামনে থেকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। এটা খুবই নিন্দনীয় একটা ঘটনা যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্যায় কাজের শাস্তি দেওয়ার পথ ও পাথেয় সিন্ডিকেট কর্তৃক নির্ধারিত রয়েছে। “বিষয়টি আমি জানি না”- এ যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। যে উপাচার্য সহকর্মী শিক্ষকদের পুলিশি হয়রানি থেকে রক্ষা করতে পারেন না, তিনি উপাচার্যের পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলেন। বলা বাহুল্য, কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়ার মতো এ কাজটি শেষ পর্যন্ত তাঁর পদত্যাগের বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করেছে।
তাহলে আমরা দেখছি যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এবং বিশেষ করে জুবায়ের হত্যার পর থেকে একের পর এক এবং এককভাবে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে চলমান আন্দোলনের শিখায় জ্বালানি জুগিয়েছেন তৎকালীন উপাচার্য স্বয়ং ।
ক্স
৩.০ : দলের আমরা ও আমাদের দল
অনুমান করতে পারি শিক্ষক সমাজের ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংখ্যা খুব বেশি হলে ৮০-১০০ হবে। অথচ বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের ব্যানারে নাম আছে ২৫০-৩০০ জনের ওপরে। কেন তিনগুণ সমর্থক নিয়েও আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলা করা গেল না এটা কিন্তু একটা মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন। এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার কোন প্রয়াস আজো নেই হয়তো বা কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরুবে বলে, অথবা যারা ভেতর থেকে আন্দোলনকারীদের কাছে তথ্য পাচার করেছেন তাদের মুখোশ খুলে যাবার ভয়ে।
বিদায়ী উপাচার্যকে আমরা বহুবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছি যে, যে কোনো প্রশাসনের জন্যে নিজস্ব শিক্ষক ফোরাম হচ্ছে প্রশাসনের মূল বাহন বা প্রাণ। বাহন যদি ঠিক মতো না চলে প্রশাসন তখন যে কতো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হয় তা বিস্তারিত বলার প্রয়োজন পড়ে না। আমাদের কাছে মনে হয়েছে ঃ
ক্স প্রশাসনপন্থী “দল” বলে কিছু ছিল না, যা ছিল তার নাম “কোন্দল”। দলের ভেতর দল। “অমুকে তমুকের লোক এবং আমরাই স্যার আপনার খাস লোক”- এ ধরনের তোষামোদ দলটিকে দিনে দিনে দুর্বল করে দিতে থাকে।
তাছাড়া বিভিন্ন বিভাগ বা অনুষদে চাটুকারদের দ্বারা গঠিত বলয় এক মহাপ্রলয়ের জন্ম দিতে থাকে যার দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি শুরু হয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন দিয়ে এবং শেষ হয় উপাচার্যের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে।
ক্স সাংগাঠনিক কাঠামো তো দূরের কথা প্রথম দুবছর “দল” নামে কোনো কিছুর অস্তিত্ব ছিল না। ইদানীং উপরিকাঠামো একটা হয়েছে বটে তবে তা দলীয় ফোরামে কোনো আলাপ আলোচনা ছাড়াই “দৈব নির্দেশে” গঠিত হয়। এর ফলে সিদ্ধান্তগুলোতে স্বচ্ছতা ও ওনারশীপের প্রবল অভাব দেখা দেয়।
ক্স এরই মধ্যে দুর্দিনে যারা আওয়ামীলীগের বিরোধিতা করেছে বা আমাদের কাছ থেকে দুরে ছিল, তারা অনুপ্রবেশ করত: প্রাধান্য বিস্তার শুরু করে এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদগুলো হাতিয়ে নেয়।
এমতাবস্থায় তাদের কূটচালের কাছে জিম্মি হয়ে যাওয়া আমাদের প্রিয় উপাচার্যের পদত্যাগের কোনো বিকল্প ছিল না।
৪.০ : প্রসঙ্গ নতুন নিয়োগ
কোনো না কোনো আমলে কারো না কারো চাকরি হয়। সেই সূত্রে চাকরিদাতা বা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এক কথা আর প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে একজন শিক্ষককে “অনুগত” থাকতে বাধ্য করা ভিন্ন কথা। অভিযোগ আছে যে, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিভিন্ন কায়দায় তাদের স্থায়ীকরণ, আপগ্রেডিং, প্রমোশন ইত্যাদির ভয় দেখিয়ে আনুগত্য আদায়ের মহড়া চলেছিল।
আবার কোনো কোনো নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক অতিমাত্রায় “প্রভুভক্তি” দেখাতে গিয়ে এমন সব কাণ্ড বাধিয়ে দেন যেন “নিয়োগ বাণিজ্য” প্রবক্তাদের হাতে মোক্ষম অস্ত্রটি তুলে দিতে চান। নবীণ অথবা প্রবীণ, একজন শিক্ষক তার বিবেক, বুদ্ধি ও বিবেচনাবোধ দিয়ে চলবেন এটাই প্রত্যাশিত। আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে সবার পাওনা মিটাতে হবে। যিনি বা যারা কোনো সহকর্মীকে আতংকগ্রস্ত বা হয়রানি কিংবা বঞ্চিত করার প্রয়াস চালাবেন আমরা সম্মিলিতভাবে তার/তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবো, প্রতিবাদ করবো এবং প্রয়োজনে আন্দোলনের পথ বেছে নিতেও পিছ-পা হবো না।
৫.০ : এখন কী করবো?
“আমরা পড়ে গেছি, কিন্তু কাউকে উঠতে দেইনি”- এ ধরনের বালসুলভ আত্মতুষ্টির প্রাবল্য কিংবা আত্মসমালোচনার আকাল থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।
আমাদের সকলের উচিৎ হবে বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শে বিশ্বাসী ফোরামটিকে শক্তিশালী করা যেখানে প্রতিটি সিদ্ধান্ত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নেওয়া হবে যাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও মালিকানা প্রশ্নবিদ্ধ না থাকে। যারা ব্যক্তিস্বার্থের খাতিরে জননেত্রী শেখ হাসিনা তথা আওয়ামীলীগ সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে খেলা করতে চায়, যারা অনুপ্রবেশকারী, বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত, আমরা তাদের নিয়ে দল ভারী করার পক্ষে নই। কথায় বলে, দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। আমরা চাই অসা¤প্রদায়িক, গণতন্ত্রমনা, সৎ এবং মেধাবী শিক্ষকদের সম্মিলন। আমরা সংখ্যার চাইতে গুণগত পরিমাপে বেশি আগ্রহী।
৬.০ : নতুন ভিসি নিয়ে ভাবনা
ড. শরীফ এনামুল কবিরের পদত্যাগের পর নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আনোয়ার হোসেন। যেহেতু তিনি আমাদের সরকারের মনোনীত উপাচার্য তাঁকে অবশ্যই আমরা অভিনন্দন জানাই এবং তাঁর সাফল্য কামনা করি। তবে শর্তহীন সমর্থন দিলে তাঁর অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে এই ভয় থেকে আমরা বিনীতভাবে কিছু পরামর্শ/উপদেশ তুলে ধরছি:
ক. সর্বপ্রথম ডীন নির্বাচন (যার তফসিল আগে ঘোষিত ছিল) সম্পন্ন করা এবং সম্ভব হলে একই সঙ্গে সিন্ডিকেট নির্বাচন সম্পন্ন করা।
খ. সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
গ. প্যানেল নির্বাচনের জন্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
ঘ. প্রতিটি আবাসিক হলের ছাত্রদের সহাবস্থান নিশ্চিত করা। বিশেষত, অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে যেসকল ছাত্রলীগ কর্মীকে বাইরে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে তাদেরকে “স্বাভাবিক ছাত্রত্ব” প্রদানসহ ক্যাম্পাসে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
ঙ. সাংস্কৃতিক জোট কর্মীদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
চ. ভর্তি ও পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল অনিয়মের তদন্ত শেষ করা, তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা এবং প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।
আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থিতিশীল পরিবেশ দেখতে চাই।
মাননীয় উপাচার্য যদি উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো জরুরি ভিত্তিতে সম্পন্ন করতে পারেন, আমরা মনে করি তাঁর পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং তাঁর “স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠা করা কঠিন কোন কাজ নয়। আমরা আর সূর্যান্তের সাক্ষী হতে চাই না।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।