আমি উচ্চারিত সত্যের মতো স্বপ্নের কথা বলতে চাই এশিয়ায় ১০ কোটি ১৭ লাখ কন্যাশিশুর ভ্রূণ হত্যা
বিশ্বজুড়েই বাড়ছে গর্ভপাত। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও কানাডাসহ এশিয়াতেও আশঙ্খাজনকভাবে গর্ভপাতের হার ক্রমাগত বাড়ছে। আল্ট্রাসনোগ্রাফির অপব্যবহারের মাধ্যমে শিশুর লিঙ্গ চিহ্নিত করে গর্ভপাত ঘটানোর হার ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে এশিয়ায়। বিশেষত ভারতে মেয়েশিশু গর্ভপাতের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
জাতিসংঘের ২০১১ এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এশিয়ার ১০ কোটি ১৭ লাখ কন্যাশিশুর ভ্রূণ হত্যার বড় অংশটিই হচ্ছে ভারতে।
ফলে দেশটিতে দিন দিন কমে যাচ্ছে কন্যাসন্তানের সংখ্যা।
ভারতের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণেই এ রকম নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। দম্পতিরা আল্ট্রাসাউন্ড মেশিনের মাধ্যমে গর্ভজাত সন্তানকে শনাক্ত করে এবং শিশুকন্যা হলে তার গর্ভপাত ঘটায়। এ অবস্থায় কিছু দিন আগে পোর্টেবল আল্ট্রাসনো মেশিন ব্যবহারের দায়ে মুম্বাইয়ের মেডিক্যাল কলেজের একজন রেডিওলজিস্টের বিরুদ্ধে সেখানকার হাইকোর্টে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আলজাজিরা সূত্রে জানা যায়, কন্যাশিশুর ভ্রূণ হত্যার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন ভারতের ডা. নিলাম সিং।
লিঙ্গ বৈষম্যের কারণ সম্পর্কে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, দেশের প্রাচীন রীতিনীতিই মূলত গর্ভপাতের প্রধান কারণ। পরিবারের সদস্যরা মনে করেন বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তান জরুরি। এই ধ্যানধারণা যে শুধু অশিক্ষিত ও দরিদ্র পরিবারের বেশি তা নয়; শিক্ষিত ও ধনী পরিবারগুলোতেও একই ধরনের সংস্কৃতির চর্চা চলে। আর তাদের এই চিন্তাধারার কারণে বলি হচ্ছে শত-সহস্র কন্যাশিশুর ভ্রূণ। অর্থনৈতিক বৈষম্য কন্যাশিশু হত্যার অন্যতম প্রধান কারণ।
ভারতের মতো আমাদের দেশে আশঙ্ক্ষাজনকভাবে মেয়ে ভ্রুণ হত্যা না হলেও ক্রমাগত ভ্রুণ হত্যা বাড়ছেই।
আল্ট্রাসনোগ্রাফির অপব্যবহারের কারণে মেয়ে শিশু ভ্রুণ নষ্ট করছেন অনেকেই।
বিশ্বজুড়েই এখন মানবাধিকার সংগঠনগুলো ভ্রুণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। পৃথিবীর আলো বাতাস উপভোগ করার আগেই মায়ের গর্ভেই শিশুকে হত্যা করা সহজাত প্রকৃতি বিরোধী। কাজেই সচেতন থাকতে হবে নারী-পুরুষ উভয়কেই।
মানবতাবাদীরা মনে করেন, পৃথিবীর রং, গন্ধ, ফুল, পাখি দেখার অধিকার রয়েছে ভ্রুণ শিশুর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।