আমি ........ দক্ষিণ এশিয়া সফররত চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়াং গুয়াং লি বলেছেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক জোরদারের প্রচেষ্টা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আরও দৃঢ় করার জন্য, কোনো তৃতীয় পক্ষের প্রতি হুমকি সৃষ্টির জন্য নয়। ’
দক্ষিণ এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোতে শনিবার তিনি এ কথা বলেন। প্রথমবারের মতো কোনো চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে শ্রীলংকা সফর করছেন লিয়াং গুয়াং। তৃতীয় পক্ষ কে তা উল্লেখ না করলেও তিনি পরোক্ষভাবে ভারতকে উদ্দেশ্য করেই একথা বলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শ্রীলংকা সফর শেষে তিনি আগামী রোববার ভারত পৌঁছাবেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের অব্যাহত প্রভাব বৃদ্ধির চেষ্টায় দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বিগ্ন ভারত। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রতিবেশী শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, নেপাল, মালদ্বীপ ও পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টায় বিভিন্ন সময় নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। ভারতের আশঙ্কা তাদের চারপাশে মুক্তার মালার মতো ‘চীনা প্রভাবিত চক্র’ তৈরি করাই চীনের এসব কর্মকাণ্ডের প্রধান লক্ষ্য। তবে শনিবার শ্রীলংকার সামরিক বাহিনীর উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে লিয়াং বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণভাবে শান্তিপূর্ণ। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোয় চীনা রফতানির জন্য ভারত মহাসাগরীয় রুট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সবার জন্য লাভজনক একটি সম্পর্ক তৈরি করাই বেইজিংয়ের উদ্দেশ্য। ’ তিনি এ সময় কথিত ‘চীনাভীতি’র আশঙ্কাকেও অমূলক বলে উড়িয়ে দেন।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বেশকিছু পক্ষ মনে করে চীন তার সামরিক ক্ষমতা জোরদারের মাধ্যমে বিশ্বে প্রভাব বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। ’ এ ভয় অমূলক বলে এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।
লিয়াং বলেন, তার এ সফরের মাধ্যমে শ্রীলংকার সঙ্গে সামরিক সম্পর্কের পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কও জোরদার হবে।
উল্লেখ্য, চীন শ্রীলংকার প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী।
এদিকে নতুন ধরনের গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার বানাচ্ছে চীনের নৌবাহিনী। এটি হবে এমন ধরনের যুদ্ধজাহাজ, যাতে থাকবে উন্নততর বিমান প্রতিরক্ষা, যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। চীনা সামরিক বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির সরকারি গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
নতুন এ যুদ্ধজাহাজে আরও থাকবে দুটি ৩২-ইউনিট ভারটিক্যাল লঞ্চ সিস্টেম, যা ঐছ-৯ন বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম।
চীনের এ যুদ্ধজাহাজ আমেরিকান নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘এজিস’-এর সঙ্গে তুলনীয়, যাতে খুবই শক্তিশালী কম্পিউটার ও রাডারের সাহায্যে গাইডেড অস্ত্র ব্যবহার করে শত্রুর লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত ও ধ্বংস করা যায়।
চীনের এ গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ১৬০ মিটার লম্বা এবং ১৮ মিটার চওড়া। ধারণা করা হচ্ছে, এ যুদ্ধজাহাজের ওজন হবে ছয় হাজার টন। এ সম্পর্কিত খবরে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, এ জাহাজে টাইপ ৩৪৬ অ্যাক্টিভ ফেইজ অ্যারে রাডার সিস্টেম এবং টাইপ ৫১৮-এল ব্যান্ড দীর্ঘপাল্লার রাডার ব্যবহার করা হবে।
চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় তারা নানা ধরনের অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।
এর মধ্যে ১৪ হাজার কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা আমেরিকার অভ্যন্তরে সরাসরি আঘাত হানতে পারবে। এছাড়া চীন সম্প্রতি তার প্রথম বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ পরীক্ষামূলকভাবে সমুদ্রে নামিয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তা চূড়ান্তভাবে নৌবাহিনীতে সংযুক্ত করা হবে
মুল খবর ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।