Bringing about gentle and painless death from incurable Death.
দুটো চোখ
অন্ধকারের অবগাহনে কিছু কুয়াশা
নিরিবিলি বৃষ্টি কয়েকফোঁটা টুপটাপ।
একজোড়া চোখ; জলে টইটুম্বর
ফোঁটা ফোঁটা জল, নোনাজলের ধারা
গন্ডদেশ ছাড়িয়ে... নিরিবিলি
ছুটছে জল অবিরাম। কেবল ও দু'চোখে নয়,
এখানেও। খুব ভিতরে, খুব সংগোপনে
কেউ দেখে না, কেউ জানে না।
বয়ে যায় অবিরাম, তবু ক্লান্ত হয় না
থামে না এতোটুকু।
আমাকে ঘুমোতে দ্যায় না।
বসন্তের মাতাল দিন, রঙের ফানুস
ইথারে ডাক, নির্ঝঞ্ঝাট। আমাকে ডেকে নিয়ে যায়
সেই দিনগুলোতে। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে থাকি।
দু'টো চোখ; ফোঁটা ফোঁটা জল।
আমাকে ঘুমোতে দ্যায় না।
খেতে দ্যায় না, পড়তে দ্যায় না।
পরানের গহীনে ব্যাথা কাউরে দেখাতেও পারি না।
অসময়ের ডাকে মুঠোফোনে দিয়েছিলে চিঠি
ক্ষুদ্রবার্তার টেক্সট এসেছিলো
ডাকবিভাগের অনুমোদন ছিলো না বোধ হয়
তাই কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে
ঠিক বুকের মধ্যখানে, যা কেউ দেখে না
দেখতে পারে না।
শুনেছি আজকাল মেডিক্যাল সায়েন্সের উন্নতি হয়েছে অনেক
ওপেন হার্ট সার্জারীতে খরচ কম,
জীবন দেয়া নেয়ার ঝক্কি কম
তবুও আমি প্যালিকনের চঞ্চু ছোঁয়াতে পারি না
বের করে আনতে পারি না সে কাঁটা।
সময়ের স্রোতে পলি জমে না
কমে না ব্যাথা এতোটুকু। দু'টো চোখ; অশ্রু টলোমল
আমাকে ঘুমোতে দ্যায় না।
অ্যাসোসিয়েটিভ ডিসঅর্ডারে পড়ে থাকি
নিঃশ্বাস দূরত্বে স্মৃতি, স্মৃতির দংশন।
ফোঁটাফোঁটা জল, দু'টো চোখ,
জলের ধারা; আমাকে, আমিতে থাকতে দ্যায় না।
পুরুষ আমি।
মোহনীয় হাসি অথবা ছল
এড়াতে জানতে হয়। পুরুষালী আচরণে হতে হয় বাস্তবিক!
অথচ শিথানের বালিশ, বেড কাভারের রঙছটা ফুলে
মাথা গুঁজে পড়ে থাকি!
মৃগনাভী ঘ্রাণ; কিন্নরী আওয়াজ তুলে যাওয়া কষ্ঠস্বর
হাওয়ায় রাখালী বাঁশি,
সহস্র জনস্রোতে একটি কন্ঠস্বর
তীব্রভাবে জড়িয়ে থাকা কিছুটা অনুমোদনহীন
সময়, একটি মনভালো করা হাসির মুহুর্ত,
চায়ের পাতিলে কতোটুকু পাতা আর জলের
মিশ্রণ হলে ফুলকুমারীর গল্প শোনা যায়!
ইট কনক্রিটের দেয়ালে
সেঁটে রাখা যায় একটি প্রতিবিম্বের প্রতিছবি
আলো আঁধারীর ধূম্রজালে!
দু’টো চোখ; পাতা ফেলতে চায়
ঘুমোতে চায়, ঘুমোতে চায়
কিছুটা ইন্টার্ভাল চায় নির্ঘুমের পদচারনা থেকে
একটু স্বপ্ন দেখতে চায়, ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে
অনেক তো সহ্য করলো এ দু’টো চোখ
জলের পিপে ভরে দিলো নোনাজলে!
জলের পিপিতে আজ আবাশ গেড়েছে হাঙর
হা করে থাকে; আরো জল চায়,
আরো জল চায়। অথচ, সে জানে না
স্মৃতিতে কেবলই দু’টো চোখ;
জলের ধারা, চোখের নিচে কালো দাগ;
ক্ষতচিহ্নের মতো বয়ে বেড়াচ্ছি
আমাকে ঘুমোতে দ্যায় না
ঘুমোতে পারি না।
**** অনেক চেষ্টা করে ছবি আপলোড করতে পারলাম না! কেউ জানলে জানায়েন তো প্রোবলেম কোথায়?? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।