আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইউল্যাব এর বিরুদ্ধে আন্দোলন ও আমাদের ঘুণে খাওয়া সমাজ এবং ১৮+ কিছু ঘটনা

হৃদয়ে থাকুক বসন্ত আমি নারীবাদি সুশীল নই। নারীদের পক্ষে কথা বলতে চাই। নারীদের পক্ষে কথা বলার জন্য নারীবাদী সুশীলতাকে ঘৃণা করি। ইউল্যাবের ঘটনায় আসিফ এন্তাজ রবির পদত্যাগ আমাকে মর্মাহত করেছে। উনার পদত্যাগে ইউল্যাব কর্তৃপক্ষ যারপরনাই খুশি হবার কথা।

পথের কাঁটা দূর হলে কে না খুশি হয়! আপনার পদত্যাগ করা ঠিক হয়নি। সেখানে থেকেই বিরোধিতা করতে পারতেন। কমিটির শর্ত মেনে চললে যদি কথা বলায় বিধিনিষেধ থাকে, তবে সেখানে থেকেই শর্তভঙ্গ করতেন। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরে গিয়ে কেনো? ইউল্যাবের ঘটনা নিয়ে আমার কিছু কথা- ঘটনা ১: আমার এক বন্ধু আছে ইউল্যাবে পড়ে। ইউল্যাবের মতো ভার্সিটি বেসরকারি শিক্ষাব্যাবস্থার বদনাম কিভাবে বাড়ায় তার উদাহরণ, আমার সেই বন্ধু।

পরীক্ষার আগেরদিন সারারাত ধরে কম্পুতে গেমস খেলা এক প্যারা ইংরেজি ঠিকভাবে শুদ্ধভাবে পড়ার যোগ্যতাহীন আমার এই বন্ধুর সিজিপিএ নাকি প্রতি সেমিস্টারে ৩.৬ থাকে! সেই বন্ধুটি ইউল্যাবেরই একটা মেয়েকে ভালোবেসে তার সাথে লিভ টুগেদার করতো। তার মোবাইলে ক্যাম্পাসের ভেতর ক্লাসরুমে বসে প্রেমিকাকে দেওয়া চুম্বনদৃশ্য বিদ্যমান। এখন পাঠক, আপনারা বলুন যেই ইউল্যাবের ক্যাম্পাসের ভেতরেই অহরহ এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। তারা কিভাবে ইভ টিজিং এর মতো তুচ্ছ ঘটনার বিচার করবে? তারাতো তাদের ক্যাম্পাসেই উন্মুক্ত যৌনচর্চার সুবিধা করে দিচ্ছে। ঘটনা ২: একদিন ধানমন্ডি ৯/এ তে মীনা বাজারের সামনে দাঁড়িয়ে আছি।

সাথে কয়েকজন বন্ধু। একটা মেয়ে হেঁটে আসছিলো। তার পোষাক ছিলো একটা টাইট গেঞ্জি, যেটা গলা থেকে নেমে এসেছে বুকের বড় একটা অংশ দেখানোরর জন্য। সঙ্গে একটা মিনি স্কার্ট। বন্ধুরা আহ-উহ টাইপ আওয়াজ করছিলো।

আমি তাদেরকে মানা করি টিজ না করতে। তারা চুপ করে গেলো। মেয়েটা একটা নির্মানাধীন বিল্ডিং এর সামনে দিয়ে যাবার সময় সেখানখার প্রায় শখানেক লেবার হইহই করে উঠলো এবং বাজে মন্তব্য ছুঁড়ে দিতে লাগলো। অথচ আমার বন্ধুদের আমি আটকে রেখেছিলাম! ধানমন্ডিতে এখন আধুনিকতার জোয়ার বইছে। সেই জোয়ার পোষাক এবং চালচলনেও পড়ছে সবার।

সেই জীবনধারা অবাধ যৌনতার সাক্ষী দেয়। এই সুযোগে ধানমন্ডি এলাকাজুড়ে একদল পতিতার আগমন ঘটেছে। রাত ১০.০০ টার পর ধানমন্ডি লেকের আশেপাশে একটু ঘুরলেই দেখতে পাবেন পতিতাদের জোয়ার। এরা আবার অনেকে ইউল্যাবের মতো ভার্সিটির ছাত্রীও বটে। বিশ্বাস হচ্ছেনা? একটু সরেজমিনে দেখে যান।

এবার দুটো ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র ঘটানোর চেষ্টা করি। পতিতাপল্লীর ভেতর দিয়ে কখনো কোন ভদ্র মেয়ের হেঁটে যাবার পরিবেশ থাকেনা। সেখান দিয়ে হেঁটে যাবার সময় তাকে বিকৃত রুচির কিছু মানুষের শিকার হতেই হবে। কিন্তু সেইদিনের সেই বোন জানতেন না, এই এলাকা গোপন পল্লী। তাকে সেদিন অসহায় হতে হয়েছে।

একটা বিকৃত ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। এর প্রতিকার কি? যেসব বোন ভাবেন, তাদের এইসব চালচলন অনেকে সমর্থন দেয়, তাদের জন্য একটা ঘটনা শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছিনা- "আগে প্রতিটি সন্ধ্যা কাটতো ধানমন্ডি লেকে। একদিন পার্কিং এ বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম গোটাকয়েক বন্ধু মিলে। সেখানে একদল ছেলেও আড্ডা দিচ্ছিলো। হঠাৎ তাদের মাঝে একটা মেয়ে আসে।

কালো শর্ট হাতাকাটা কামিজ আর জিন্স পরে। সে আসতেই সবাই মিলে তাকে সাদরে বরন করে নিলো। মেয়েটি সবাইকে এক এক করে জড়িয়ে ধরে অভ্যর্থনার জবাব দিলো। তারা অনেক্ষন আড্ডা দিলো। আমার কাছে দারুন একটা বন্ধু আড্ডা মনে হলো।

আহা! কি সুন্দর আড্ডা। ছেলেমেয়ে নেই। সবাই শুধু বন্ধু। একটু হিংসাও হলো। মেয়েটা ১০.০০ টার দিকে চলে গেলো।

কিছু ছেলে রয়ে গেছিলো। মেয়েটা যাবার পর পরই একটা ছেলে বলে উঠলো .......র ......টা দেখি আরো বেশি নরম হইছে! একবার ......তে পারলে জোস হইতো। আমিতো জড়াইয়া ধইরা রাখছিলাম। ছাড়তে মন চাইতেছিলোনা। বাকিরাও তাকে সমর্থন দিয়ে মেয়েটাকে নিয়ে যৌনতার কাটাছেড়া করতে লাগলো।

" আমি একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বাসার দিকে হাঁটা দিলাম। হাতের সিগারেট তখনো ঠোঁটে শোভা পাচ্ছিলো। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.