এক পরিচিতের সূত্রে আজ দেখা করতে গেলাম একজনের সামনে, হঠাৎ কথায় কথায় জানতে পারলাম তিনি কোন এক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে কাজ করেন। তারপর তার সাথে কথোপকথন নিম্নরুপ (মনে করি সেই কর্মকর্তআর নাম 'ক')
আমি : ভাইয়া আপনি কি করেন?
ক : আমি একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে জব করছি। ইউনিভার্সিটি অব লিবা....... ধানমন্ডিতে, খুবই ভাল ইউনিভার্সিটি।
আমি: ইউল্যাব?
ক: জ্বি জ্বি
আমি : আপনাদের ভার্সিটি নিয়ে নানা স্ক্যানাডালের কথা শুনছি, অনলাইন মিডিয়াগুলোতেও চলছে তোলপাড়।
ক: তাই নাকি?
আমি: জ্বি, কেন আপনি জানেন না নাকি?
ক: আরে ভাই একটা ইউনিভার্সিটি দু একবছরের মধ্যে বাংলাদেশের টপ কয়েকটা ইউনিভার্সিটির কাতারে চলে এসেছে।
বুঝেননা, লোকজনের চোখেতো লাগবেই।
আমি : কিন্তু যে ইস্যুগুলো এসেছে, সেগুলোতো ইউল্যাব কতৃপক্ষও খতিয়ে দেখছে।
ক: আপনিই বলুন, রাত দশটা বাজে আপনার বাসার সামনে কে কি করল না করল, সেটার দায়ভার তো আপনি নিতে পারেন না, আর সে ছেলেটা যে আমাদের ভার্সিটির তার ই বা কোন প্রমান আছে?
আমি: এটা কোন কথা হতে পারেনা, ঘটনার সময় সে ছেলেটি দাবী করেছে সে ইউল্যাবের ছাত্র, আর প্রতক্ষদর্শী অনেকেইতো সেই ছেলেদের চেনে।
এই পর্যায়ে উনি জানতে চাইলেন : আপনি কি ব্লগিং করেন?
আমি : না মানে তেমন একটিভ কেউ না, তবে মাঝে মাঝে ব্লগ পড়ি আর কমেন্ট করি।
ক: তাহলেতো দেখছি এটা ব্যাপক আকার ধারন করেছে।
ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে, ম্যানেজম্যান্টে কথা বলতে হবে।
আমি : একটা ইস্যু যখন হয়েছে, সেটা সত্য বা মিথ্যা যাই হোক, ইউল্যাবের কি কর্তব্য নয়, সেটার সুষ্ঠু তদন্তে সহযোগিতা করা?
ক: অবশ্যই, যথাযথ কতৃপক্ষের সাথে আমি এ নিয়ে কথা বলব।
আমি : কিন্তু আপনাদের ভার্সিটির এক মহিলা, নাম নাসিমা আক্তার, তিনি বিভিন্ন ব্লগে বিষয়টা হাল্কা করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ক: কথা ঠিক, উনি ভার্সিটিতে নতুন জয়েন করেছেন, তবে উনার এ ধরনের কর্মকান্ডের জন্য উনার চাকরী চলে গেছে।
(একটু আগে বললেন উনি কিছুই যানেনা, এখন নাসিমা আক্তারের ব্যাপারও জানে, যাক ফিফা ভাই সফল ডিটেকটিভ।
অন্তত এইটাতো প্রমানিত, যে নাসিমা ওরফে ফিফা ভাইয়ের বের করা তার সকল নিক ইউল্যাবের কর্মকর্তা)
আপনি কোথায় ব্লগিং করেন?
আমি : সামোয়ার ইন ব্লগে
ক: ওখানে আমার এক আত্মীয় ও ব্লগিং করেন (একজন সেলিব্রিটি ব্লগারের নাম বললেন)
এর পর জনাব ক' এর সাথে বাংলাদেশের ব্লগিং নিয়ে অনেক কথাবার্তা হল।
প্রাসন্গিক কারনে তার নাম উল্লেখ করছিনা, বলটে পারেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।