প্রযুক্তির বিকাশে পাল্টে যাচ্ছে প্রচলিত ধারার বিনোদনের মাধ্যম। পুরনো দিনের বাক্সবন্দি রেডিও পাখা মেলা শুরু করেছে অনলাইন জগতে। সমগ্র বিশ্বে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের ঐতিহ্যের মেলবন্ধন ঘটাতে পারে অনলাইন রেডিও। এই বিশ্বাসে বাংলার ঐতিহ্যকে বুকে লালন করে অনলাইন রেডিও স্টেশন হিসেবে হিসেবে নাম লেখালো রেডিও কলের গান। নামে অনলাইন হলেও ২৪ ঘন্টাই কোনো না কোনো লাইভ প্রোগ্রাম আছেই।
সবাইকে শুনে দেখার আমন্ত্রণ রইলো।
রেডিও কলের গান শুনতে এখানে ক্লিক করুন
যেভাবে আজকের রেডিও কলেরগান: আজ থেকে দু’বছর আগে আন্তর্জাতিক ইয়ুথ ফেয়ারে অংশ নিতে ভারতের চন্ডিগড় যাচ্ছিলেন দুজন তরুন। সপ্তাহব্যাপী এ মেলায় ভিন্ন সংস্কৃতির নানা আয়োজন সত্ত্বেও কোথায় যেন একটা টান অনুভব করনে। এরপরই দেশে ফিরে এসে নিজেরা কিছু একটা করার চেষ্টা করছিলেন। সে সময়ে মনে পড়ে যায় ইযুথ ফেয়ারের কথা।
সেই থেকে বাংলা ঐতিহ্যকে কিভাবে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা যায় সেটা নিয়ে ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছিল তরুন মনের মধ্যে। নিজেদের আইডিয়ার কথা নিয়ে আলোচনা করেন আরও কয়েকজন তরুনের সাথে। সবশেষে সিদ্ধান্ত হয় অনলাইন রেডিও করার। অনলাইন রেডিও কে বাস্তবরূপ দিতে আলোচনা চলে কখনো টিএসসি, কখনো শাহবাগ আবার কখনো পাবলিক লাইব্রেরির মেঝেতে বসে। কিন্তু তাতে কি।
ইচ্ছে থাকলে উপায় যেকোনো ভাবেই হোক হবেই। সে চিরন্তন বানীকে আরো একবার সত্য প্রমান করে আজ সে তরুনদের প্রচেষ্টায় এ সময়ের অন্যতম বিনোদন মাধ্যম রেডিও কলের গান। অনেক বাঁধা আর অসম্ভবকে সম্ভব করে অনলাইন রেডিও হিসেবে ইন্টারনেট জগতে বিচরন শুরু করে ২০১১ সালে নভেম্বর থেকে। আর অল্প কিছুদিন আগে [১৮ মে, ২০১২] সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাণিজ্যিকভাবে পথচলা শুরু করে কলের গান। দীর্ঘ ৬ মাসের পথচলায় রেডিও কলের গান পেয়েছে একঝাঁক স্বপ্নবাজ তরুনকে।
রেডিও কলের গান বিশ্বাস করে লক্ষ কোটি স্রোতার ভালোবাসায় একদিন এর আহ্বান পৌছে যাবে সাতটি মহাদেশের সর্বত্র। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।