গত সপ্তাহে বাংলাদেশের দু’টি সংবাদ বিদেশের গণমাধ্যমে সবচেয়ে বেশি কভারেজ পেয়েছে। এর একটি হলো জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠন। অপর সংবাদটি ছিল অনলাইন বার্তা সংস্থা বিডিনিউজের নতুন কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা। আলোচিত আরেকটি খবর হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের ৭ম নৌবহর রাখার বিষয়।
View this link
ভারতের কোলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, দেশ ভাগের সময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ফেলে আসা জমি-বাড়ির মালিকদের একটি প্রতিনিধি দল আগামী মাসে বাংলাদেশে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন’ বাস্তবায়ন করে দখল হয়ে যাওয়া জমি-বাড়িতে হিন্দুদের ফেরাতে তৎপর হয়েছে। এর ফলেই বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশে দখল হয়ে যাওয়া সম্পত্তির মালিকরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিলে তাঁর সঙ্গেও দেখা করবেন। সম্পত্তি ফেরত সংক্রান্ত বিষয়টি দেখাশোনার জন্য আন্তর্জাতিক একটি সলিসিটর ফার্মের সঙ্গে কথাবার্তাও বলা হচ্ছে।
বাংলাদেশে দখল হয়ে যাওয়া সম্পত্তির মালিকদের সংগঠন ‘সোসাইটি অফ এনিমি অ্যান্ড ইভাকুই প্রপার্টিজ ইন বাংলাদেশ’-এর সম্পাদক শচীপতি মৈত্র আনন্দবাজার পত্রিকাকে জানিয়েছেন, দীর্ঘ আন্দোলনের পরে এই প্রথম তাঁরা হিন্দুদের দখল হয়ে যাওয়া সম্পত্তি ফেরতের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাড়া পেয়েছেন।
তাঁদের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি নিয়ে দরবার করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করা হবে। ঢাকায় আইনজীবী নিয়োগের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক একটি সলিসিটর ফার্মকেও দায়িত্ব দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
সম্পত্তি ফিরে পেতে কি করতে হবে তার একটি গাইডলাইনও দিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা। এতে বলা হয়Ñ আগে জানুন আপনার বাড়ি-জমি ‘ক’ না ‘খ’ তালিকায় রয়েছে।
(সরকারের দখলে থাকা অর্পিত সম্পত্তি ‘ক’ তালিকায় এবং বেসরকারি দখলে থাকা অর্পিত সম্পত্তির বিবরণ রয়েছে ‘খ’ তালিকায়। ) ‘ক’ তালিকায় থাকলে জেলা ট্রাইব্যুনাল এবং ‘খ’ তালিকায় থাকলে জেলা কমিটির কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে হবে গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে। তবে সময়সীমা আরও ৩০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে মন্ত্রিসভা। আবেদনের শেষ তারিখের ১২০ দিনের মধ্যে জেলা ট্রাইব্যুনাল বা জেলা কমিটি আবেদন যাচাই, শুনানি ও তদন্ত করে জেলা প্রশাসকের কাছে সুপারিশ পাঠাবে।
জেলা প্রশাসক ৩০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন। সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হলে ৬০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদন করতে পারেন। কেন্দ্রীয় কমিটি ১২০ দিনের মধ্যে শুনানি শেষ করে সিদ্ধান্ত জানাবে। সেই সিদ্ধান্তও মনঃপুত না হলে আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা যেতে পারে। সেই রায়ও সন্তোষজনক না হলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যাওয়া যাবে।
আবেদনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলে বা দাবি বাতিল হলে অর্পিত সম্পত্তি সরকারি সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে। সেই জমি বিক্রি বা ভাড়ার ক্ষেত্রে আগের ভোগদখলকারীই অগ্রাধিকার পাবেন।
তুর্কমেনিস্তান থেকে গ্যাস আমদানির জন্য প্রস্তাবিত আন্তঃদেশীয় পাইপলাইন প্রকল্পে পাকিস্তান ও ভারতের সাথে বাংলাদেশও যুক্ত হতে চায়। বাংলাদেশ তাদের এ আগ্রহের কথা জানিয়ে সম্প্রতি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকÑ এডিবি’র কাছে চিঠি দিয়েছে। পাকিস্তান টুডে পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে গত ২৬ মে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
ইসলামাবাদ ডেটলাইনে পাকিস্তান টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, তুর্কমেনিস্তানে গ্যাসের মজুদ যথেষ্টই আছে এবং প্রস্তাবিত পাইপলাইনে বাংলাদেশ পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ করতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। এ কর্মকর্তা পত্রিকায় বলেছেন, আফগানিস্তান এ পাইপলাইন থেকে গ্যাস নেবে না বলে ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে; তা ছাড়া বাংলাদেশের চাহিদাও তেমন একটা বেশি নয়। সুতরাং বাংলাদেশকে গ্যাসের ভাগ দেয়া যাবে। তিনি অবশ্য এও বলেছেন, শুরুতে প্রকল্পটি সংশ্লিষ্ট চারটি অংশগ্রহণকারী দেশই বাস্তবায়ন করবে এবং বাংলাদেশ পরে তাতে যুক্ত হতে পারবে।
তুর্কমেনিস্তান থেকে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান হয়ে এক হাজার ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ পাইপলাইন বসাতে সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে ৭৬০ কোটি ডলার।
এর জন্য স্পন্সর খোঁজা শুরু হয়েছে এরই মধ্যে। বাংলাদেশ পর্যন্ত আনতে পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য বেড়ে দাঁড়াবে আড়াই হাজার কিলোমিটার। বাংলাদেশের জন্য ৭০০ কিলোমিটার বাড়ানোও কোনো সমস্যার ব্যাপার হবে না বলে সূত্র জানিয়েছে পাকিস্তান টুডেকে। কারণ, সাত হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যেের গ্যাস পাইপলাইনও বর্তমানে চালু আছে কোথাও কোথাও। তিনি বলেছেন, মূল স্পন্সর ঠিক এবং আর্থিক বিনিয়োগের প্রশ্নগুলো মীমাংসা হলে তার পরই প্রকল্পের বিস্তারিত ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন চূড়ান্ত হবে।
সব কিছু ঠিকঠাক এগোলে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
পরদিন ২৭ মে একই প্রতিবেদন প্রকাশ করে গালফ টাইমস। এতে আরো বলা হয়, ভারত-তুর্কমেনিস্তান গত সপ্তাহে গ্যাস ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তি করেছে। পরে আরো প্রায় ২৫টি মিডিয়া সংবাদটি প্রকাশ করে।
উপকূলে গৃহহীনদের জন্য বানানো ঘর যেন আরেক বিপদ।
জানিয়েছে জার্মানির ডয়েচে ভেলে।
গত ২৭ মে সংবাদ সংস্থাটি তাদের অনলাইন সংস্করণে লিখেছে, বাংলাদেশের উপকূলীয় ১১ জেলায় সিডর এবং আইলার পর গৃহহীনদের জন্য ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে ২৭ হাজারেরও বেশি ঘর বানানো হলেও তা এখন আরেক বিপদে পরিণত হয়েছে। ওইসব ঘরে বসবাসকারীরা প্রতিনিয়ত এখন বন্যা আর জলোচ্ছ্বাসের শিকার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘর নির্মাণে কোনো সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছিল না। আর ভুক্তভোগীরা বলছেন, সরকারের টাকা জলে ঢালা হয়েছে।
ডয়েচে ভেলে আরো লিখেছে, দক্ষিণের ১১ জেলায় প্রায় ২৭ হাজার ঘর বানানো হয়। এর মধ্যে জাপান সরকারের সহায়তায় ৭২৪টি ব্যারাক, সৌদি সরকারের সহায়তায় ১৬ হাজার ৫০০টি এবং ভারতের অর্থ সহায়তায় ২ হাজার ৮০০টি ঘর বানানো হয়েছে। আর জলবায়ু ট্রাস্টের ফান্ডে ৮ হাজার ১০০ ঘরের নির্মাণ কাজ এখন চলছে। এর কোনোটি আধাপাকা, আবার কোনোটি টিনের তৈরি। নদী তীরেই বানানো হয়েছে এসব ঘর।
ফলে বিপদ পিছু ছাড়েনি।
কিন্তু ঢাকায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জহিরুল হক ডয়চে ভেলেকে জানান, নদীর তীরেই সরকারের অধিকাংশ খাস জমি। তাই তারা সেখানেই ঘর তৈরি করেছেন।
তবে এ কথা মানতে নারাজ বাংলাদেশ সেন্টার ফর এ্যাডভান্স স্টাডিজ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান। তিনি জানান, কোনো সমন্বিত পরিকল্পনা ছাড়াই এসব ঘর বানানো হয়েছে।
এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের মতামত নেয়া হয়নি। ফলে এসব ঘর তেমন কাজে আসছে না।
বাংলাদেশে উপকূলীয় এলাকায় সিডর বা আইলার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর সহায়তা আসে। আসে বিদেশি অর্থ। আর তা খরচ হয় দুর্গতদের নামে।
কিন্তু তাদের বিপদ কাটে না বলে লিখেছে সংস্থাটি।
জনশক্তি রফতানি নিয়ে সমস্যায় বাংলাদেশ শিরোনামে আরো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডয়েচে ভেলে। এতে লেখা হয়, নানা সমস্যার কারণে কমে গেছে জনশক্তি রফতানি। বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিবাসী দেশগুলোর সমস্যা মোকাবিলায় গন্তব্য দেশেরও রয়েছে সমান দায়িত্ব। তাদের মতে, এসব সমস্যা মোকাবিলা করতে জনশক্তি রফতানি করা দেশগুলোর বহুপাক্ষিক ফোরামের মাধ্যমে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
পাকিস্তানের দ্য নেশন গত ২৭ মে লিখেছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের বকেয়া পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছে দ্য ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার অ্যাসোসিয়েশন (ফিকা)। যদি বোর্ড বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হয় তবে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন ফিকা’র সিইও টিম মে।
এক চিঠির মাধ্যমে টিম মে গত ১৯ মে বিসিবি’র প্রেসিডেন্ট এএইচএম মোস্তফা কামালকে বিপিএল’র ফ্রাঞ্চাইজদের আগামী পাঁচদিনের মধ্যে বিপিএল’র খেলোয়াড়দের সব বকেয়া পরিশোধ করতে অবহিত করেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী বিপিএল-এ অংশগ্রহণকারী বিদেশী খেলোয়াড়দের বিল পরিশোধের ডেডলাইন ছিল ৯ মে এবং স্থানীয় খেলোয়াড়দের ৩১ মে। বোর্ড জুনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বিপিএল’র ফ্রাঞ্চাইজদের সব বকেয়া পরিশোধ করতে বলেছিলেন।
মে’র চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে পাক প্যাশন ডট নেট জানায়, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে বলছি, বেশিরভাগ দেশি ও বিদেশি খেলোয়াড়দের বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। বারবার তাগাদা দেয়ার পরও বকেয়া পরিশোধ না করায় এ ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করছি। যদি পাঁচদিনের মধ্যে সব বকেয়া পরিশোধ করা না হয়, তাহলে বিসিবি’র বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুমকিও দেন তিনি।
কঠিন সময়ের মুখোমুখি বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত। গত ২৮ মে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে গালফ নিউজ।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে প্রচ- তারল্য সঙ্কট চলছে। এ কারণে বড় কোনো প্রকল্পে বিনিয়োগ সীমিত করেছে ব্যাংকগুলো। প্রতিবেদনে ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাহমুদ হোসাইনের একটি সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করা হয়।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিরোধী দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে গত ২৮ মে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে ১৬টি অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকা এবং কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ছয়টি ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়।
সংবাদটি বিশ্বের পাঁচ শতাধিক মিডিয়া প্রচার করে। বার্তা সংস্থা এপি লিখেছে, ১৯৭১ সালে ভারতের সহায়তায় নয় মাসের যুদ্ধে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। যুদ্ধে পাকিস্তানি সৈন্যরা বাংলাদেশে তাদের এজেন্টদের সহায়তায় ত্রিশ লাখ মানুষ হত্যা, দুই লাখ নারী ধর্ষণ এবং লক্ষাধিক মানুষকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে। জামায়াতে ইসলামী প্রকাশ্যে পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করে এবং সে দেশের সৈন্যদের সহায়তা করে। বিশ্বের অধিকাংশ পরিচিত প্রভাবশালী মিডিয়া এপি পরিবেশিত সংবাদ প্রচার করে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, পাকিস্তান ভাঙার বিপক্ষে অবস্থান ছিল জামায়াতে ইসলামীর। এ জন্য জামায়াত নেতারা পাকিস্তানি সৈন্যদের সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করে। পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডন লিখেছে, যুদ্ধের সময় জামায়াত প্রকাশ্যে পাকিস্তান ভাঙার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। অভিযুক্ত নেতারা যুদ্ধে পাকিস্তানি সৈন্যদের সহায়তা করে। ফক্স নিউজ লিখেছে, নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গ্রুপ বাংলাদেশ সরকারকে বলেছে, ট্রাইব্যুনাল যাতে কারো পক্ষপাতিত্ব না করে সে ব্যবস্থা নিতে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, অনেক বাংলাদেশীর অভিযোগÑ জামায়াত মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে পাকিস্তান আর্মির সহযোগিতা করে। ডয়েচে ভেলে লিখেছে, জামায়াত নেতাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক অবশ্য দাবি করেন যে, এই অভিযোগ গঠন আইনসম্মত হয়নি।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালিত হবার পর সেসব দেশের জাতি গঠনমূলক কর্মকা-ে বেসামরিক মানবসম্পদ পাঠাতে তৎপরতা চালাচ্ছে বাংলাদেশের সরকার। বিবিসি ও আলজাজিরা লিখেছে এ খবর। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বিবিসিকে বলেছেন যেসব দেশে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন বা আছেন সেসব দেশের প্রশাসন, বিচারবিভাগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সিভিলিয়ান ইনভল্ভমেন্ট বা বেসামরিক ব্যক্তিদের কাজে লাগাতে তারা চেষ্টা করছেন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষাবাহিনী থেকে সদ্য দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল আশরাফ আল-জাজিরাকে বলেছেন, নীল হেলমেট পড়া জাতীয় গর্ব। ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং-এর কমান্ডেন্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনিসুজ্জামান ভূঁইয়া আল-জাজিরাকে বলেছেন, আমাদের অবদান হচ্ছে, শান্তিরক্ষায় আমাদের যেসব অপারেশন পরিচালিত হয়েছে তা ছিল মীমাংসাসূচক।
অনলাইন সংবাদ সংস্থা বিডিনিউজ কর্মীদের ওপর গত ২৮ মে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের হামলায় তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। বিশ্বের প্রায় দু’শ’ মিডিয়া এ খবর প্রচার করে। বিবিসি লিখেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম কর্তৃপক্ষ বলছে, মহাখালীর আমতলী এলাকায় তাদের কার্যালয় ভবনে এই হামলায় সংবাদ সংস্থার সহ-সম্পাদক রিফাত নেওয়াজ এবং প্রতিবেদক সালাহউদ্দিন ওয়াহিদ প্রীতম পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।
তৃতীয় ব্যক্তি এই সংস্থার একজন অফিস সহকারী। এদের সকলকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই সংবাদ সংস্থার নতুন কার্যালয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে অফিস সহকারী রুহুল আমিন নিচে অবস্থানকালে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি হামলার শিকার হন। কার্যালয়ের দায়িত্বরত সাংবাদিকরা খবর পেয়ে নিচে গিয়ে হামলাকারীকে আটক করে পুলিশে খবর দিলে বেশ কিছু লোক অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। হামলার শিকার হন প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদক আব্দুর রহিম হারমাজি, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মহসীনুল করিমসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।
এছাড়া অফিস সহকারী কয়েকজনকেও পিটিয়েছে সন্ত্রাসীরা। বার্তা সংস্থা এএফপি বাংলাদেশকে সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের একটি খারাপ দেশ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এএফপি লিখেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে প্রখ্যাত দুই টিভি সাংবাদিক খুনের ঘটনার কোনো কারণ বের হয়নি এবং এ ঘটনায় কেউ গ্রেফতারও হয়নি। বিডিনিউজের ঘটনার আগে বাংলাদেশের প্রভাবশালী আর এক পত্রিকা প্রথম আলোর তিন ফটো সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করে পুলিশ। সংস্থাটি নিউ ইয়র্কভিত্তিক কমিটি টু প্রোটেস্ট জার্নালিস্টের সূত্র উল্লেখ করে লিখেছে, ১৯৯২ সাল থেকে দেশটিতে ১২ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন।
এএফপির খবরটি অনেকগুলো মিডিয়া কোনো এডিট ছাড়াই হুবহু প্রচার করে।
বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌবহর রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র, জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। গত ৩১ মে পত্রিকাটির একটি এক্সক্লুসিভ ভিডিও চিত্রে এই দাবি করা হয়। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রণতরীর ঘাঁটি গাড়ার পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় চীনকে। এটি সত্যিই বাস্তবায়ন হলে ভারতের নিরাপত্তা স্থাপনা যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারির মধ্যে চলে আসবে বলে নায়াদিল্লি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।