একখানা কাব্যিক হাতের খোঁজে
হন্যি হয়ে আছি।
বাসে বাজারে টিকেট কাউন্টারে,
বলুন দেখি
কোথায় খুঁজে পাই
অমন তুষার নির্মিত শ্বেতশুভ্র হাত?
একখানা জ্যামিতি কনুই আর
অমন আঙ্গুর রঙ্গা আঙ্গুল যেন
বীজগানিতীয় ব্যাপার স্যাপার।
প্রতিদিন কত হাত দেখা হয়,
বাসের হ্যান্ডেল ধরা
পুরুষগন্ধী জান্তব কত শত হাত।
ভিখিরীর খিদে ভর্তি নামমাত্র করতল,
কিংবা রাজনৈতিক মঞ্চে অশ্লীল মিথ্যেবাদী আঙ্গুল।
তবুও সেদিনের পাশে বসা
লৌকিক অপ্সরা রমণীটির মত
একটি লাউয়ের ডগা
কোথাও খুঁজে পাই না।
যে হাতের ইশারা পেলে,
পৃথিবী থেকে উঠে যাবে সকল আবহাওয়া অফিস,
দশ নম্বর বিপদ সংকেত হয়ে যাবে
চায়ের দোকানে চাপাবাজির টপিক।
যে হাতের জন্যে
বাতাস জানালা খোলায়,
উড়ে যায় ঝড় থেকে ঝড়ে,
রুদ্রের মত আকাশের ঠিকানায়।
যে হাতের সুগন্ধে
চাঁপাফুলের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়,
কোজাগরী আকাশ তারা গুনে সারা রাত।
দিন ফুরায়,সূর্য ফুরায়,
ছুটে চলি কেরানীর টেবিলের ফাইল হয়ে
তবুর সেই সুগন্ধী সাবানের ফেনার মত,
মৌলিক হাতখানা খুঁজে পাই না।
যে হাত দিয়েছে আমায় কবিতা লেখার সাহস,
বুকের ভেতরে আরেক বুক,
আঙ্গুল ভর্তি প্রাকৃতিক অক্ষর।
মনে হয় হয়ে যাই
জুয়েলারী দোকানের কর্মচারী।
সারাদিন স্বর্ণ ছুঁয়ে যাব,
চুড়ি পরানোর ছলে যদি খুঁজে পাই
সেদিনের সেই অজানা দ্রৌপদীর চকিত পরশ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।