আমি কয়েক দিন আগে ক্লিক বিডি এর ফ্যাশন ফিউসন ট্যাগ হেউয়া (TAG HEUER ) এর একটি ঘড়ি বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ১৬০০০ টাকা.ফোন দিয়ে জিগাইলাম, ভাই এইটা তো রেপ্লিকা, এত দাম কেন ? উত্তর এ সে বলল,ভাই এইটা আমেরিকা এর ট্যাগ হেউএর এর শো রুম এর ডামি,আমেরিকা থিকা আনা হইসে,আমি ভাবলাম বেশতো! গিয়ে দেখি। গেলাম লালমাটিয়া তে একটা বাসায় যেইটা আগে practice pad ছিল ঐখানে তার ভাড়া বাসা + সেলস সেন্টার,ভালই সাজাইসে। প্রথমেই খটকা লাগলো ২৫০ টাকার লোকাল রে বেন সানগ্লাস ১৫০০ টাকা লিখা দেইখা,জিগাইলাম ভাই এইটার আসল টার দাম তো ৬০০০ টাকা,কয় ভাই এইটাও ভালো কুয়ালিটির রেপ্লিকা সানগ্লাস বাঁট অরিজিনাল এর মতই,এর পর আমাকে দেখাইল সেই ট্যাগ হেউএর এর ঘড়ি টা,আমাকে বলল এই জিনিস বাংলাদেশে আর এক পিস নাই,পাইলে আইসা টাকা নিয়া জায়েন,ঘড়ি দিয়া যায়েন.আমার কথা গুলা আর ঘড়ি টা মনে ধরলো,অনেক দামা দামীর পর ১২০০০ টাকায় বাটপার টা (নাম জাহিদ) আমাকে ঘড়ি টা দিল আর বললো ৫ বসর এর ওয়ারেন্টি আসে,গ্লাস টা স্ক্রাচ প্রুফ,নিশ্চিন্তে ইউস করেন,যাই হোক আমি খুশি মন এ বাড়ি আইলাম,সবাই রে দেখাইতে লাগলাম।মন খুশ,এত দাম দিয়া জীবনে প্রথম একটা ঘড়ি কিনলাম কিন্তু ভাগ্য খারাপ (বা ভালো কইতে পারেন ) থাকলে যা হয় ২০ দিন পর বাইক পিস্লায়া পৈরা গেল ঘড়ি তার গ্লাস খুইলা,এত দামী ঘড়ি(চিৎকার),মন খারাপ কইরা দিলাম হালা রে ফোন, কইলাম ভাই একটু গ্লাস টা লাগায় দেন,হলে কয় ভাই গ্লাস তো লাগে দাওয়া আমার দায়িত্ব না,এক্সিডেন্ট এ ভাংসে,আমিও কইলাম ভাই আপনার কথা ঠিক,কিন্তু আমি টাকা দিতেও রাজি আসি,হারামি টা কিসু তেই কো অপারেট করলো না,মন খারাপ নিয়া পরদিন অফিস গেলাম,আমার কলিগ মন খারাপ দেইখা আমারে জিগাইতেই কইলাম ঘড়ি টার গ্লাস এর কথা,আমারে শান্ত কইরা কইলো,আমার বাড়ি পুরান ঢাকায়,আমাগো পাতুয়াতলি তে অনেক বড় বড় দোকান আসে,শনি বার চলেন যাই........... গেলাম মক্কা ওয়াচ নামের একটা দোকান এ, পাতুয়াতলি তে এইটা আমার কলিগ এর পরিচিত ইম্পোর্টার নাকি,আমার ঘড়ি দেইখাই কইলো কতো ডিয়া কিনসেন ?? এই ঘড়ি গুলা তো আমরাই ইম্পোর্ট করি,এরুকুম এর ঘড়ি আরো আসে,ডিসপ্লে তে দেখেন এরপর যা দেখলাম....সব বিদেশী ব্র্যান্ড এর রেপ্লিকা ঘড়ি,আমার ঘড়ি টার দাম জিগাইলাম,আর ওই বাটপার এর বাসায় আরেকটা ঘড়ি দেখসিলাম,ঐটার ও, এইখানে ওই ঘড়িটা TSSOT এর দাম ৪০০০ টাকা,ওই শালা চাইসিলো ১৮০০০ টাকা,র আমার ঘড়ি টা ২৮০০ টাকা,পরে আরেকটা দোকানে দেখলাম গ্লাস লাগাইতে দিয়া বিড়ি খাইতে খাইতে গেলাম পাশের দোকান এ,নাম লিলাস ওয়াচ,ওই দোকানের একটা লোক রে আমার ঘড়ির দাম জিগাইলাম,কইলো ৩০০০ টাকা ,তখন আমার কলিগ কইলো ,আপনে তো নেট থিকা কিন্না থিকা গেসেন,ওই দোকান দার বলল,ভাই নেট এ যারা ঘড়ি বেচে,ওরা আমার থিকাই কিন্না নিয়া যায় সেম ঘড়ি, কোনো পার্থক্য নাই। প্লিজ কেও এই বাটপার এর কাছ থেকে ঘড়ি কিনেন না,ঘড়ি লাগলে নেট থেকে ফোটো নিয়ে পাতুয়াতলী পুরান ঢাকা তে যান,পায়া যাইবেন,আমার মত ভুল কেউ কইরেন না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।