আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যাত্রা পথে সতর্কতা

আপনারা যারা দূরপাল্লার বাসে যাতায়াত করেন, তাঁরা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন প্রায় সময় হাইওয়ে পুলিশ বাস থামিয়ে তল্লাশি চালায়। মুলত মাদক চোরাচালান রোধে কয়েক স্তরের এই তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এবার আসি মুল ঘটনায়। কয়েকদিন আগে আমার ক্যাম্পাসের এক ছোট ভাই চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে গুরুত্তপুর্ন কাজে আমার বাসায় আসে। সাথে কিছু নেই দেখে জিজ্ঞাসা করলাম, কি ব্যপার তোমার ব্যগ কই? বলল বিকালে চলে যাব তাই ব্যগ আনিনি।

তবে ব্যগ আনলে বড় ধরনের বিপদে পড়তে পারতাম। বললাম কেন কি ব্যপার? এরপর যা বলল, আমার শরীর ঠাণ্ডা হয়ে গেল। রাত ১০ টায় ছোট ভাই হানিফ পরিবহনের একটি গাড়িতে উঠার পর পরের স্টপেজ থেকে এক লোক উঠে পাশের সিটে বসল। এরপর যথারীতি গাড়িটি পুলিশের চেক পোস্ট এর সামনে পড়ল। দির্ঘক্ষন চেক করার পরও কিছু না পেয়ে পুলিশ বলল, দেখুন আমাদের কাছে নিশ্চিত তথ্য আছে এবং এই গাড়িতে অস্ত্র আছে।

কিন্তু তাঁর পরেও কোন সাড়া না পেয়ে গাড়িটি ছেড়ে দেয় পুলিশ। এভাবে আরও ২ টি চেক পোস্ট পার করে গাড়িটি ৪র্থ বারের মত আবার চেক এর পাল্লায় পড়ল। এবার অস্ত্র ধরা পড়ল। তবে কালপ্রিট আমার ছোট ভাইটির পাশে বশা লোকটি। সে সিটের নিচে অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিল।

পুলিশ লোকটিকে গ্রেফতার করল তবে তাঁর সহযোগী সন্দেহে ছোট ভাইটিকেও গ্রেফতার করে অবস্থা। তাঁর উপরে কোন ব্যগ না থাকায় পুলিশের সন্দেহ আরও ব্যপক হয়। তবে আল্লাহর রহমতে এক যাত্রী ভাইয়ের বলিষ্ঠ সাক্ষের কারনে বেঁচে যায়। এই হচ্ছে মুলত ঘটনা। ছোট ভাইটির কথা, ব্যগ থাকলে যদি ব্যগে অস্ত্র ঢুকিয়ে দিত? একবার চিন্তা করুন এহেন অবস্থায় আপনার দশা কি হবে? তাই যাত্রা পথে কিছু সতর্কতা অবলম্বনের চেষ্টা করবেন।

১। গাড়িতে উঠেই কিছু কাণ্ডজ্ঞানহীনদের মত বেঘোরে ঘুমানো শুরু করবেন না। ২। সম্ভব হলে বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করুন। ৩।

একা চলার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন। ব্যগ নিজ আয়ত্তে রাখুন। সিট ছেড়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাইরে যাবেননা ( ফেরি ঘাটে যেটা হয়)। কি জানি কপাল খারাপ থাকলে হয়ত আপনার ব্যগ বা সিটের নিচে নিষিদ্ধ জিনিষ রেখে দিতে পারে। ৪।

পাশের যাত্রীর ব্যাপারে বেখবর থাকবেন্না। সন্দেহজনক কিছু দেখলে সুপারভাইজার কে জানান। ভাল থাকুন সবাই। আপনারা যারা দূরপাল্লার বাসে যাতায়াত করেন, তাঁরা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন প্রায় সময় হাইওয়ে পুলিশ বাস থামিয়ে তল্লাশি চালায়। মুলত মাদক চোরাচালান রোধে কয়েক স্তরের এই তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

এবার আসি মুল ঘটনায়। কয়েকদিন আগে আমার ক্যাম্পাসের এক ছোট ভাই চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে গুরুত্তপুর্ন কাজে আমার বাসায় আসে। সাথে কিছু নেই দেখে জিজ্ঞাসা করলাম, কি ব্যপার তোমার ব্যগ কই? বলল বিকালে চলে যাব তাই ব্যগ আনিনি। তবে ব্যগ আনলে বড় ধরনের বিপদে পড়তে পারতাম। বললাম কেন কি ব্যপার? এরপর যা বলল, আমার শরীর ঠাণ্ডা হয়ে গেল।

রাত ১০ টায় ছোট ভাই হানিফ পরিবহনের একটি গাড়িতে উঠার পর পরের স্টপেজ থেকে এক লোক উঠে পাশের সিটে বসল। এরপর যথারীতি গাড়িটি পুলিশের চেক পোস্ট এর সামনে পড়ল। দির্ঘক্ষন চেক করার পরও কিছু না পেয়ে পুলিশ বলল, দেখুন আমাদের কাছে নিশ্চিত তথ্য আছে এবং এই গাড়িতে অস্ত্র আছে। কিন্তু তাঁর পরেও কোন সাড়া না পেয়ে গাড়িটি ছেড়ে দেয় পুলিশ। এভাবে আরও ২ টি চেক পোস্ট পার করে গাড়িটি ৪র্থ বারের মত আবার চেক এর পাল্লায় পড়ল।

এবার অস্ত্র ধরা পড়ল। তবে কালপ্রিট আমার ছোট ভাইটির পাশে বশা লোকটি। সে সিটের নিচে অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিল। পুলিশ লোকটিকে গ্রেফতার করল তবে তাঁর সহযোগী সন্দেহে ছোট ভাইটিকেও গ্রেফতার করে অবস্থা। তাঁর উপরে কোন ব্যগ না থাকায় পুলিশের সন্দেহ আরও ব্যপক হয়।

তবে আল্লাহর রহমতে এক যাত্রী ভাইয়ের বলিষ্ঠ সাক্ষের কারনে বেঁচে যায়। এই হচ্ছে মুলত ঘটনা। ছোট ভাইটির কথা, ব্যগ থাকলে যদি ব্যগে অস্ত্র ঢুকিয়ে দিত? একবার চিন্তা করুন এহেন অবস্থায় আপনার দশা কি হবে? তাই যাত্রা পথে কিছু সতর্কতা অবলম্বনের চেষ্টা করবেন। ১। গাড়িতে উঠেই কিছু কাণ্ডজ্ঞানহীনদের মত বেঘোরে ঘুমানো শুরু করবেন না।

২। সম্ভব হলে বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করুন। ৩। একা চলার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন। ব্যগ নিজ আয়ত্তে রাখুন।

সিট ছেড়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাইরে যাবেননা ( ফেরি ঘাটে যেটা হয়)। কি জানি কপাল খারাপ থাকলে হয়ত আপনার ব্যগ বা সিটের নিচে নিষিদ্ধ জিনিষ রেখে দিতে পারে। ৪। পাশের যাত্রীর ব্যাপারে বেখবর থাকবেন্না। সন্দেহজনক কিছু দেখলে সুপারভাইজার কে জানান।

ভাল থাকুন সবাই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।