আমি সবুজ হতে চাই আমরা সাধারনত জানি নাস্তিক মানে সেই বেক্তি যে কোন ধর্ম নামে না,কোন সৃষ্টিকর্তা মানে না। কিন্তু আমার মনে হয় বাংলা অনলাইন বা ব্লগিং এর ক্ষেত্রে এই নিয়মতা চেঞ্জ করতে হবে। কারন বাংলা ব্লগিং বা অনলাইনে নাস্তিকতার নামে অন্য কিছু হচ্ছে। আসেন তার কিছু উধাহরন দেখে নেই
উধাহরন ১
ছেলেটির গালি দিতে গিয়েও দিল না এবং তার কমেন্ট এ উল্লেখ করলো সে নাস্তিক। আমি তার প্রোফাইল চেক করতে গিয়ে দেখলাম অন্য কিছু
আর কিছু বলার প্রয়োজন আছে?
উধাহরন ২
এখানে দেখতে পাচ্ছেন একজন ভাই মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলতে শুধু এবং শুধুমাত্র ইসলামকেই বুঝিয়েছেন।
আমরা সাধারনত জানি ইউরোপে চার্চ এর প্রধান্ন বিস্তার এবং পরবর্তীতে দুই খ্রিস্টান গ্রুপ দন্দকে বুঝায়। আচ্ছা তার অ্যাকাউন্ট ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে এগুলো পেলাম
আমি জানি না উনি কোন ধর্মের অনুসারী। কাফির এবং মহাসিন দুটাই আরবী শব্দ। সাধারনত ভারতবর্ষের মুসলিমরা বাদে কেউ আরবি নাম ব্যাবহার করে না। যাক এ ব্যাপারেও আর কিছু বলতে চাই না
উধাহরন ৩
এক নাস্তিক ভাইয়ের ওয়াল এ এই ঢুকে এই কমেন্ট খানা দেখতে পেলাম।
স্বভাবতই তার অ্যাকাউন্ট এ ঢুকলাম একটু দেখতে।
সবার আগে উনার প্রোফাইল পিকটা চোখে পড়লো। বুঝতে পারলাম কোন মন্দির এর সামনে থেকে তোলা। উনার মাথার তিলক ও চোখে পড়লো। কিছু লাইক চেক করতে গেলাম।
বুঝলাম উনি ধর্ম চায় না চায় মানবতা। গুড
আরও একটু লাইক চেক করতে গিয়ে দেখলাম এই সনাতন ধর্ম এবং বিজ্ঞান নামক পেজটা।
গুড একজন নাস্তিকের পক্ষে এগুলো লাইক দেওয়াই সম্ভব। এইখানেও কিছু বলার দরকার আছে নি?
উধাহরন ৪
উপরের ভাইয়ের অ্যাকাউন্ট দেখার সময় এই হিন্দু মেয়েকে দেখলাম। হিন্দুত্তবাদ নিয়ে উনি লেখে।
পর্দা এবং বোরকা নিয়ে উনি লেখা। ওয়েল একজন হিন্দু মহিলা পর্দা নিয়া লিখুক। আমি এইখানে বলার কেডা?আমরা এদের ধর্ম নিয়া খালি লিখতে পারবো না। বাট এরা ইসলাম নিয়া লিখতে পারবে। হাসিনা সরকারের ভীষণ=২১২১ মোটাবেক এইটা বৈধ
নবীকে "মুহম্মদ" বলে সম্বোধন করচে আমাদের চংখাঘুঘু হিন্দু বুন
গজে চড়ে আসা মা দুর্গাকেও সম্মান জানাতে ভুলে না সে
এইবার সবাই বলেন
জয় শ্রী রাম
জয় বাংলা
জয় হিন্দ
শেষ কথাঃপৃথিবীতে বাংলাভাষী লোকের সংখ্যা ২৮ কোটি।
তারমাঝে ১৬ কোটি লোক বাংলাদেশের(১ কোটি ৬০ লক্ষ হিন্দু এর মাঝে)। আর বাকি বাঙ্গালির বসবাস ভারতের পশ্চিম বাংলা,ত্রিপুরা এই রাজ্যগুলোতে। এই বাঙ্গালিদের মাঝে ৯৯% হয় মুসলিম নাহলে হিন্দু। বাকি ১% বা তার কিছু বেশী হবে বৌদ্ধ এবং খ্রিস্ট ধর্মের লোকেরা। বাংলাদেশে মানুষের শিক্ষার হার ৫৬% যেখানে পশ্চিম বাংলার মানুষের শিক্ষার হার ৭৭%।
তাছাড়া ভারতের পশ্চিম বাংলায় যে সমস্ত মুসলিম বসবাস করে তারা অনেকেই উর্দুভাষী এবং বাংলার চর্চা খুব একটা করে না। তো এত বড় বাংলা ভাষার অনলাইন প্লাটফর্ম এ শুধু এবং শুধু ইসলামের সমালোচনা। আর একটা বৃহৎ ধর্মের হয় না। কেন হয় না তা কেউ জানে না?ওয়েল বুদ্ধিমান মানুষরা অনেক কিছুই বোঝে। কিন্তু বোঝে না বাঙালি মুসলিমরা।
অনবরত লাথথি খেয়ে তারা ভাবতেছে এইটা গায়েবি লাথথি। কিন্তু আমাদের পাশে বসে থাকে গনেশ,দাস,মন্ডল,রায়,ভট্টাচার্য,চেটারজি ,মুখারজি,আচার্য,কর্মকার দাদারা যে বাঙালি মুসলিমদের লাথথি গুলা মারছে সেটা কি বাঙালি মুসলিম সমাজ বুঝতে পারতেছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।