আওয়ামীলীগ সরকার শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েই তাদের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করে। পাঠ্যবই-এর সংকট এবং মন্ত্রী মহোদয়ের বাংলা বাজার দৌড়ঝাপ দিয়ে যাত্রা শুরু করার পর সরকার এখন নতুন শিক্ষা কমিশন গঠন করেছে। অতীতে এমন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, কোন সরকারই এখন পর্যন্ত শিক্ষার সংকট থেকে জাতিকে উদ্ধার করতে পারেনি।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আনিসুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশের শিক্ষার দিকে তাকালে যে দুটি সত্য আমাদের চোখে প্রথমে ধরা পড়ে তা হল এই যে, শিক্ষা সকল মানুষের কাছে পৌছায়নি এবং দ্বিতীয়ত যাদের কাছ পৌছেছে তারা একই ধরনের শিক্ষা লাভ করছে না।
’’ শিক্ষার সমস্যা সম্পর্কে তার চূড়ান্ত মন্তব্য হলো, “আমরা বাইরে নানারকম প্রসাধন করে রেখেছি এই শিক্ষাব্যবস্থায়। এই প্রসাধনের অন্তরালে গভীর ক্ষত রয়েছে। আমরা একটু খুটিয়ে দেখলে যে ক্ষত দেখবে পাব। সে ক্ষত কিভাবে নিরাময় হবে, আপনারা সবাই মিলে তা ভাববেন। ’’ (যুগান্তর ২৪ মার্চ ২০০৭)
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কেবল প্রসাধন মাখানো, আমার মতে দূরারোগ্য ব্যাধির মত।
একে বিদ্যমান পদ্ধতিতে সারানো কি সম্ভব। এটি কেবল যে সকলের কাছে পৌছতে ব্যর্থ হয়েছে তাই নয় এটি এখন বেকার তৈরী করা ছাড়া আর কোন উদ্দেশ্য সাধন করেনা। উনিশ শতকের শিল্প বিপ্লব যুগের শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে কি বর্তমান যুগের চাহিদা মিটানো সম্ভব? এই ঘুণে ধরা শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন না করলে অবস্থা কি হবে তা আমাদের নেতা-নেত্রীদের মাথায় নেই। এদেশে বারবার শিক্ষা কমিশন হয়েছে। একমুখী-বহুমুখী-সমন্বিত ইত্যাদি নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে।
ইংরেজি বাধ্যতামূলক না অপশনাল তা নিয়েও পরীক্ষা হয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রম সরকারের প্রচেষ্টাগুলো কখনই ইতিবাচক ছিল না। এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সেই উনিশ শতকের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।