ভাবুক আমি আমার ভাবার নেই কো কভু শেষ, বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, তবে সবার আগে দেশ জ্যৈষ্ঠ মাসের গরমে পাগল হবার দশা, ক্লাস নিতে নিতে ক্লান্ত আমি, গলা শুকিয়ে কাঠ, ক্ষুধায় পেট চোঁ চোঁ করছে। জিইসি মোড়ের ব্লুবেলের পেছনের মসজিদ টায় জোহর নামায পড়ে মাত্র বেরুচ্ছি ,আমার সাথে বের হলেন একজন শুভ্র আলখেল্লা পরা সাদা চুল আর শ্মশ্রুমণ্ডিত একজন বয়স্ক লোক। মসজিদের গেটেই আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন, বললেন “ বাবা, আসসালামু আলাইকুম, আমি একজন বৃদ্ধ মুসাফির, আমি ক্ষুধার্ত, যদি মেহেরবানী করে...” ; অন্য কোন সময় হলে হয়ত আমি কিছু টাকা দিয়ে এড়িয়ে চলে যেতাম কিন্তু লোকটিকে বেশ মার্জিত আর শিক্ষিত মনে হল। তার বাচনভঙ্গি ও বেশ সুন্দর। আমিও খাবার জন্য হোটেলের দিকে যাচ্ছিলাম, কি মনে করে ওনাকে বলে ফেললাম আসুন আমার সাথে।
আমার সাথে লোকটি সামনের হোটেলে ঢুকলেন। একি টেবিলে বসলাম। খাবারের অর্ডারের সময় উনি তেমন কিছুই অর্ডার করলেন না। শুধু ভাত, ডাল আর সব্জি, আমিও তাই নিলাম। খুব সুন্দর করে তিনি খাবার খেলেন, একেবারে সুন্নতি কানুন মেনে।
খাবার খাওয়ার সময় আর কোন কথা বললেন না, আর আমিও তেমন কিছু জিজ্ঞেস করলাম না। খাবার শেষ করে বিল চুকিয়ে বের হতে যাব তখন তিনি বেশ গুছিয়ে বলতে শুরু করলেন, “ আলহামদুলিল্লাহ, বাবা আপনাকে ধন্যবাদ, একটা কথা বলি, মনের মধ্যে সবসময় এত রাগ জমিয়ে রাখবেন না, আল্লাহ ই ভাল জানেন তার বান্দার জন্য কোনটা উত্তম, দোয়া করি আল্লাহ আপনার মনের আগুন শীতল করুন , আমিন, আমি আসি, আসসালামু আলাইকুম”
এটা বলে তিনি বিদায় নিয়ে সামনে ভিড়ের মধ্যে মিলিয়ে গেলেন, আর আমি হতবাক হয়ে ঠায় দাড়িয়ে থাকি আর ভাবি, এ কি করে সম্ভব !!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।