গিরিখাতের কথা এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে দুর্গম পাথুরে রাস্তা আর নির্জন মৃত্যুর হাতছানি।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নুচিয়াং অঙ্গরাজ্যে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ, রহস্যময় ও সুন্দর বড় গিরিখাত আছে। ইউয়ুন নান প্রদেশের এ গিরিখাতের দৈর্ঘ্য ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি এবং এর গড়পড়তা উচ্চতা ২০০০ মিটার, সবচেয়ে গভীর স্থান ৩৫০০ মিটার। একটি অতি আরামদায়ক ব্যাপার। আসলে নুচিয়াং নদীর কাছে যে যায়নি তার মনে হতে পারে এ নদী পাহাড়ের কোনো গোপন অংশে থাকে।
এর কারণ হলো নির্জন এলাকায় অবস্থানের কারণে নুচিয়াং অঙ্গরাজ্যের প্রাকৃতিক দৃশ্য সম্পর্কে লোকজন খুব কমই জানে। এখানকার সুন্দর দৃশ্য কৃত্রিম বা কোনোভাবে তৈরি নয় বরং সবই প্রাকৃতিক। নুচিয়াং গিরিখাত পর্যটন এলাকায় প্রবেশ করলে প্রথমে 'পাথর চাঁদ' নামে একটি দর্শনীয় স্থান দেখা যায়। দূর থেকে দেখে কালো ও সবুজ পাহাড়ের মধ্যে একটি বড় সাইজের গুহা দেখা যায়, দেখতে আকাশে ঝুলানো চাঁদের মতো। পাথর গুহার পেছনে হাল্কা মেঘ দেখা যায়।
এ পাথর চাঁদ প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা এক আশ্চর্য্য দৃশ্য। গিরিখাতে ভেতরে প্রবেশ করলে ঘোড়ায় চড়ার মতো বড় শব্দ শোনা যায়। তা হলো 'বাঘ লাফালাফি' নামের দর্শনীয় এলাকা। শীতকালে নুচিয়াং নদী আস্তে আস্তে বয়ে চলে। 'বাঘ লাফালাফি' এলাকা সম্পর্কে একটি সুন্দর রূপকথা আছে।
তাতে বলা হয়েছে, এক রাজকুমার ডাইনির জাদুবিদ্যার কারণে একটি বাঘে পরিণত হয়, তবে রাজকুমার তার প্রিয় নারীর জন্য মন খারাপ করে। বিপদের সম্মুখীন হয়েও সে মেয়েটি যেখানে থাকে সেখানে যাওয়ার জন্য নদীর উপর দিয়ে লাফ দেয়। ফলে বাঘরূপী রাজকুমার নিজের আসল রূপ ফিরে পায়। রাজকুমারের সঙ্গে তার সুন্দরী প্রেয়সীর বিয়ে হয়। গল্পগুলো মুখেমুখে চলে এসেছে বহুদিন ধরে।
এই গিরিখাতের আসল সৌন্দর্য্য ধরা পড়ে সূর্যাস্তের সময়। আলো-অাঁধারিতে মায়াময় হয়ে ওঠে চারদিক। এই গিরিখাত নিয়ে অনেক গল্প চালু হয়েছে এর রহস্যময়তার জন্য। দুর্গম পাথুরে এলাকাজুড়ে এই গিরিখাত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।