এমন কিছু অর্জন থাকে যা সমসাময়িক কালের মানুষ তাদের দুরদর্শিতার অভাবে দেখতে পায়না। আবার ইনু, মেনন বা সুবিধাবাদী সুশীল শ্রেনীর অনেকে হীন রাজনৈতিক কারনে এসব অর্জনকে মানুষের সামনে খাটো এবং নোংরাভাবে উপস্থাপন করে সাধারন মানুষকে দিকভ্রান্ত করে। এটা সত্য যে জিয়া উদার গনতন্ত্রের স্বার্থে ইসলামী দলগুলোকে রাজনীতি করার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন,বেগম জিয়া তাদের জোটবদ্ধ করেছেন। শহীদ জিয়ার এই প্রজ্ঞাময় সিদ্ধান্তকে সমসাময়িক কালে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হলেও সেটা যে কতটা সঠিক এবং যুক্তিসংগত ইতিহাস একদিন ঠিকই তার মুল্যায়ন করবে।
১) জোটবদ্ধ করে বেগম জিয়াই বাংলাদেশের ধর্মীয় দলগুলোকে মুলধারার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত করেছেন।
যার কারনে বাংলাদেশ একটি উদার গনতান্ত্রিক মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
২) মূলধারার রাজনীতির সম্পৃক্ত করে বেগম জিয়া ধর্মীয় দলগুলোকে রাষ্ট্রীয় জবাবদিহিতার কাঠামোর মধ্যে নিয়ে এসেছেন , যার ফলে মূল ধারার ইসলামী দলগুলোর মধ্যে কখনো উগ্র মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেনি। এই এক অনন্য অর্জন।
৩) ধর্মীয় দলগুলোকে রাজনীতির অধিকার দিয়ে জিয়া কোন ভুল করেননি। বরং গনতান্ত্রিক চেতনাকেই সমুন্নত রেখেছেন।
ধর্মীয় রাজনীতির পথ রুদ্ধ করে রাখা হলে, ধর্মীয় দলগুলো নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা এবং স্বাধীন আত্নপ্রকাশের জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতির পথ বেঁছে নিত,যেটা জাতির জন্য মঙ্গলজনক হতনা। জিয়ার এই সিদ্ধান্তের ফলেই আমাদের মুলধারার ইসলামী দলগুলো অনেক আধুনিক চিন্তাধারায় নিজেদের গড়ে তুলেছে।
স্বাধীনতার পরে হাসিনা ,ইনুদের রাজনৈতিক ক্যাডারদের হাতে যত লোক নিহত হয়েছে, ধর্মীয় দলগুলোর হাতে তার ১০ ভাগের ১ ভাগ লোকও নিহত হয়নি। আজ যে হাসিনা,ইনু,মেননরা জিয়াকে গালি দিয়ে সস্তা রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করেন, তারা কি ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ করবে? কখনো না। আজ ভারত,যুক্তরাষ্ট্র,জার্মানির মত সেকুলার দেশগুলোতে ধর্মীয় রাজনীতি প্রবল প্রতাপে ঠিকে আছে।
এটাই সমসাময়িক বিশ্বের বাস্তবতা। তাই মুদ্রার বিপরীত পিঠে দেখলে, জিয়া বা বেগম জিয়ার এই অনন্য অর্জনকে ছোট করে দেখা এক ধরনের হীনমন্যতা বৈ আর কিছু নয়। সালাম, শহীদ জিয়া। মহান আল্লাহ আমাদের এই নেতাকে জান্নাত দান করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।