জন্মের আইলসা একটা পোলা প্রথমেই দুঃখপ্রকাশ করে নিচ্ছি যাদের আমি দীর্ঘদিন অপেক্ষায় রেখেছি। আসলে অফিসে বসে ব্লগ লেখা সম্ভব হয় না। আর ল্যাপটপের একটা কুলিং ফ্যান নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। আইডিবি তে ৩০০০ টাকার আক্কেল সেলামি (আক্কেল সেলামি এই জন্য বললাম কারণ, আমার মনে হয় না একটা কুলিং ফ্যান রিপ্লেস করতে ৩০০০ টাকা লাগতে পারে) দিয়ে অবশেষে রক্ষা পেলাম। বাসার ডেস্কটপে আবার অভ্র নাই , বিশাল ভ্যাজালে ছিলাম এই কয় দিন।
জরুরী কাজ যেকোন ভাবে করা যায়, কিন্তু ব্লগিং হৈলো শখের জিনিস, যেনতেন ভাবে করতে মুঞ্চায় না যাইহোক, ধান ভাঙ্গতে শিবের গীত অফ, এইবার আসি মূল প্রসঙ্গে
কোনো ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তাঁদের পণ্য অনলাইন বা অফলাইনে মার্কেটিং করাকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। আসলে এইভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সংজ্ঞায়িত করা কঠিন। কারণ, এর ব্যাপকতা বিশাল। অনলাইনে বা অফলাইনে মার্কেটিং- এইখানে অনলাইন বলতে আমরা ইন্টারনেট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া বুঝবো, আর অফলাইন মানে অন্যান্য মার্কেটিং চ্যানেল যেমন, ফেস-টু-ফেস, লিফলেট, ব্যানার, সহ অন্যান্য
বর্তমানে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রথা এতো জনপ্রিয় হবার অনেকগুলো কারণ আছে। প্রথমত, এই এফিলিয়েট মার্কেটারদের (এফিলিয়েট মার্কেটিং কাজ যারা করে) নিয়োগ দিতে তেমন একটা খরচ নেই।
আর একজন এফিলিয়েট মার্কেটার কে তখনই শুধুমাত্র পেমেন্ট করতে হয়, যখন সে কোনো পণ্য/সেবা সফল ভাবে বিক্রয় সম্পন্ন করে। অন্য দিকে শতশত বছর ধরে চলে আসা মার্কেটিং প্রথাতে মাস শেষ হইলেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ করা মার্কেটিং-ম্যানদের বেতন কড়ায় গণ্ডায় বুঝিয়ে দিতে হয়, সারা মাসে সে কোনো পণ্য বিক্রি করতে পারুক আর নাইবা পারুক
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, যেসব ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাঁদের পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের জন্য মার্কেটার নিয়োগ দিতে চায় , তাঁদের জন্য এই এফিলিয়েট মার্কেটিং বেশ সুবিধাজনক। অপরদিকে যে/যিনি একজন এফিলিয়েট মার্কেটার হিসাবে কাজ করতে চায় , উনিও এই ব্যাবস্থায় অনেক স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। একজন মার্কেটার একসাথে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন ভিন্ন পণ্য ও সেবা নিয়ে কাজ করতে পারেন। আরও সুবিধা হচ্ছে আপনি যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পণ্য বা সেবার মার্কেটিং করবেন, সেই ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনাকে তাঁদের নিবন্ধিত এফিলিয়েট করতে কোনপ্রকার টাকা দাবি করে না! যদি কোথাও এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য নিবন্ধিত হতে আপনার কাছে ডলার দাবি করে, সেক্ষেত্রে বুঝবেন আপনি প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বা হতে যাচ্ছেন।
সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে এর কোনও বাঁধাধরা অফিস আওয়ার নেই। দিনের ২৪ ঘণ্টা এবং বছরের ৩৬৫ দিন (লিপইয়ারে ৩৬৬ দিন ) ই আপনি কাজ করতে পারেন। মনে রাখবেন, আপনি তখনই কোন কমিশন পাবেন যখন আপনি সফলভাবে একটি পণ্য বা সেবা বিক্রয় করবেন। অন্যথায় আপনি কিছুই পাবেন না । বাংলাদেশে ইতিমধ্যে বেশ কিছু ব্যাক্তি সফল এফিলিয়েট মার্কেটার হিসাবে কাজ করছে।
আপনি শুনলে অবাক হবেন যে, তাঁদের মাসিক ইনকাম ৩ থেকে ১০ লাখ টাকা বা এরও বেশী (এদের অধিকাংশই কখনো জন্সম্মুখে এসে না )। আসলে এফিলিয়েট মার্কেটারদের ইনকামের কোনও লিমিট নেই। যতো বেশী সফলতা তত বেশী আয়। আর সফলতা একদিনের জিনিস না, এটা রাতারাতি জন্ম নেয়া কোন জিনিস না। প্রচুর পড়াশোনা, সঠিক গাইড, সাধারনের চেয়ে একটু হলেও বেশী আইকিউ এই সব জিনিসই সফল এফিলিয়েট মার্কেটার হওয়ার মূলমন্ত্র।
সাধারনের চেয়ে একটু হলেও বেশী আইকিউ- এই কথাটা সম্পূর্ণ ঠিক না, অনেকেই তাঁর মেধার ঘাটতি পরিশ্রমের দ্বারা মিটিয়ে ফেলতে পারে। তাই যদি না হয়, তবে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে লাখ লাখ এফিলিয়েট মার্কেটার জন্ম নিতো না
........................................................
আজকের ক্লাস এখানেই শেষ । সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ, আশা করছি এই সপ্তাহে আরও ২/৩ টা ক্লাস নিতে পারবো। ইমেজগুলো গুগোল মামু দিছে
এই সম্পর্কিত পূর্বের লেখা :
এফিলিয়েট মার্কেটিং আর আমি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।