মন্দটাই মনে রাখে মানুষ। ভালোটা হাড়গোড়ের সঙ্গে মাটিতে মিশে যায়
প্রথমেই প্রশ্ন, এফিলিয়েট মার্কেটিং জিনিস টা কি? নিশ্চই আপনা কখনও না কখনও সুপার মল (যেমন, আগোরা, মীনা বাজার) গুলোতে শপিং করেছেন। ওখানে শুধু যে ওদের নিজস্ব জিনিসপত্র বিক্রি হয়, তা কিনতু নয়। দোকান গুলো অন্যান্য নামী দামী ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টসও বিক্রি করে। মূলতঃ বড় বড় কোম্পানী গুলো এই সুপারমল গুলোতে তাদের পণ্য দিয়ে আসে বিক্রির জন্য।
আপনি যদি আগোরায় গিয়ে ইউনিলিভারের একটি পন্য (ধরা যাক, একটি শ্যাম্পু) ১০০ টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে আসেন, তবে আগোরা ইউনিলিভারের কাছ থেকে ১০ টাকা (আনুমানিক, কম বা বেশী হতে পারে) কমিশন পাবে। আবার, আগোরা এই জিনিস গুলো বিক্রির জন্য কিছু সেলস প্রোমোটার নিয়োগ করেছে, যারা পন্য গুলো ক্রেতার কাছে প্রোমোট করছে। এই মানুষগুলো বিক্রির উপর তাদের কমিশন লাভ করছে, কিংবা বেতন পাচ্ছে আগোরার কাছ থেকে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যাপার টা অনেকটা এইরকম। আমরা হচ্ছি সেলস প্রোমোটার, শুধু পার্থক্যটা হল, আগোরা নয়, আমাদের কে টাকাটা দেবে ইউনিলিভার।
ডিজিটাল প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে এটা কম বেশী ৭৫% !!! অথাৎ, ৫০ ডলারের একটা কিছু বিক্রি করতে পারলে কমিশন ৩০ থেকে ৪০ ডলারের মত, এখন আপনারাই হিসেব করে দেখুন, টাকায় অংকটা কত। ফিজিকাল (রিয়েল লাইফ) প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে কমিশন-এর হার কম বেশী ৫ থেকে ৪০%।
ডিজিটাল পণ্য কি কি? অনেক রকম হতে পারে। বিভিন্ন সফটওয়ার, অনলাইন সার্ভিস (যেমন রিংটোন ডাউনলোড, ইমেইল মার্কেটিং সার্ভিস), ওয়েব সাইট মেম্বারশিপ (যেমন, মুভি ডাউনলোড), ই-বুক ইত্যাদি।
ফিজিকাল (রিয়েল লাইফ) প্রোডাক্টের উদাহরন কি? ওয়েল, কলম, মেডিসিন, ডায়মন্ড, কাপড়-চোপড় থেকে খেলার আইটেম, এমনকি ব্যাংক লোন পর্যন্ত এটার আওতাভূক্ত।
যেকোন কোম্পানী, যারা অনলাইনে অর্ডার নেয়ার ব্যবস্থা করে রেখেছে এবং যারা এফিলিয়েট প্রোগ্রাম সাপোর্ট করে, তাদের প্রোডাক্ট আপনি প্রোমোট করতে পারবেন, বিক্রি হলে কমিশন আপনার। আমার এক বন্ধু (অস্ট্রেলিয়ায় থাকে) একবার ব্যাংকের লোন প্রোমোট করতে গিয়ে ১০ মিলিয়ন ডলারের ৭% কমিশন পেয়েছে, উনপঞ্চাশ কোটি টাকা।
না, এটা একটা এক্সট্রিম কেস। আমি বলছিনা আপনিও পাবেন, তবে ঠিকমত যদি কাজ করা যায়, যদি মনে করেন এইটাই আপনার চাকরী, যদি প্রতিদিন মন দিয়ে ৮-১০ ঘন্টা কাজ করেন, যদি রিসার্চ এন্ড এনালাইসিস টা ঠিক মত করার মিনিমাম বুদ্ধিমত্তা আর শিক্ষাগত যোগ্যতাটা থাকে, যদি পরিশ্রম করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে মাসে কয়েক লাখ টাকা রোজগার করা কোনো ব্যাপারই না।
অনেকে বলবেন, টাকা রোজগার এত সোজা হলে কেউ আর বেকার বসে থাকত না।
খুবই সত্য কথা। সবাই পারে না, ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে। আবার যারা পারে, তারা পারে এবং পারছে। ইন্ডিয়ায় ঘরে ঘরে এফিলিয়েট মার্কেটার, বাংলাদেশেই আছে হাজার কয়েক। এরা পারছে।
কপি েপষ্ট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।