১৯৯৯ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয় ভ্যাসিলি মিত্রোখিন ও অধ্যাপক ক্রিস্টোফার এন্ড্রু’র লেখা ‘দ্য মিত্রোখিন আর্কাইভ’ ‘দ্য কেজিবি এন্ড ইউরোপ এন্ড দ্য ওয়েস্ট’। আর একই বছর নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত হয় ‘দ্য সোর্ড অব দ্য শিল্ড’ ‘দ্য মিত্রোখিন আর্কাইভ এন্ড দ্য সিক্রেট হিস্ট্রি অব কেজিবি’। এসব তথ্য প্রকাশ হয়ে পড়ায় রাশিয়ার রোষানলে পড়ে মিত্রখিন। তাকে গোপনে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে রাশিয়া। ২০০৪ সালের ২৩ জানুয়ারি মিত্রোখিন বিষক্রিয়ায় মারা যায়।
মৃত্যুর দেড় বছরের মাথায় ‘মিত্রোখিন আর্কাইভ’-এর দ্বিতীয় খ- প্রকাশিত হওয়ার মাধ্যমে আবারো আলোচনায় ফিরে আসে সে। মিত্রোখিনের এসব তথ্যের ভিত্তিতে লেখা বই নিয়ে প্রথমে তোলপাড় শুরু হয় ভারতে। কেননা মিত্রোখিনের সংগ্রহ করা তথ্যমতে, ১৯৭০-এর দশকে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী সরকারকে ঘুষ দিয়ে হাতের মুঠোয় নিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন।
বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনেক আগেই রাশিয়ার নজরে পড়ে গিয়েছিলো ইন্দিরা গান্ধী। .....কেজিবি’র নথিপত্রের তথ্য উল্লেখ করে এন্ড্রু’র বই জানাচ্ছে, ১৯৭৩ সালের মধ্যে অন্তত ১০টি ভারতীয় সংবাদপত্র ও ১টি সংবাদ সংস্থাকে নিয়মিত অর্থ যুগিয়েছে তারা।
শুধু ১৯৭২ সালেই ওই সংবাদপত্রগুলোতে কেজিবি’র ফরমায়েশ অনুযায়ী ৩ হাজার ৭৮৯টি প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে।
.....পাকিস্তানের রাজনীতিতে কেজিবি’র ভূমিকা নিয়ে আছে নানা তথ্য। ১৯৭৭ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভূট্টোকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে জেনারেল জিয়াউল হক্ব। মিত্রোখিনের তথ্য অনুযায়ী, এ সময় থেকেই কেজিবি তাদের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেয় ভূট্টোর ছেলে মুর্তাজাকে। “আফগান গোয়েন্দা সংস্থা ‘খাদ’-এর প্রধান মুহম্মদ নাজিবুল্লাহর সাথে ঘনিষ্ঠতা ছিল মুর্তাজার।
‘খাদ’-এর মাধ্যমেই মুর্তাজার সাথে যোগাযোগ করে কেজিবি। .... ১৯৮২ সালে নাজিবুল্লাহর সহায়তায় জিয়াকে হত্যার দুটি ষড়যন্ত্র করে মুর্তাজা। কিন্তু দুটিই ব্যর্থ হয় পাক সন্ত্রাসীদের সোভিয়েত অস্ত্র ব্যবহারে অনভিজ্ঞতার কারণে। ....” ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।