আমার ছবি নাই , দেশের সম্ভাবনাময় একটি ছবি প্রোফাইলে দিলাম । void(1);
ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুর উপজেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়ের মূলে রয়েছে প্রাচীন জমিদারবাড়িটি। ইংরেজ আমলে প্রতিষ্ঠিত এই জমিদারবাড়িটি হরিপুরের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং বহু অত্যাচার-নির্যাতন ও নিপীড়নের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আজো। কিন্তু এই রাজবাড়িটি অযত� আর অবহেলায় দিন দিন তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব হারাচ্ছে। অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকা কালের সাক্ষী এই জমিদারবাড়িটির ব্যাপারে স্থানীয় জনগন ও বিশেষ করে প্রশাসনের তেমন কোনো আগ্রহ নেই।
প্রশাসন এ ব্যাপারে রীতিমত উদাসীন। শিকড়বিহীন গাছ যেমন বেঁচে থাকতে পারে না। তেমনি প্রত্যেক মানুষকেও তার শিকড়ের সন্ধান করতে হয়। আর সে কারণে মানুষ এক সময় শিকড়ের সন্ধানে নামে। সকলেরই শিকড়ের প্রতি একটা অন্যরকম টান থাকা উচিত।
কিন্তু কঠিন ব্যস্তবতা হচ্ছে এই যে আমরা আজকাল শিকড়কে ভুলে যাচ্ছি। আমাদের এই দৈন্যতার একটি জলন্ত প্রমাণ হচ্ছে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেরার এই অবহেলিত জনপদ। ১৭৫৭ খ্রীষ্টাব্দ মুসলিম জমিদারী শাসণের পর আধিপত্য ঘটে হিন্দু রাজা ও জমিদারী শাসন ব্যবস্থা। ১৭৬০ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ১৭৬৫ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে এ জমিদার বাড়িটি তৈরি করা হয়। সেখান থেকে এ অঞ্চল শাসন করা হতো।
ব্রিটিশ শাসনের পর পাকিস্তান শাসন এবং আমাদের এই স্বাধীন বাঙলাদেশের পট পরিক্রমায় ইতোমধ্যে অনেক সময় পার হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ক্ষয়ে গেছে হরিপুরের এই প্রাচীন রাজবাড়িটির ঐতিহ্য। জমিদারবাড়িটি অযত� আর অবহেলায় দিনদিন ধ্বংস হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলেও কেউই এটি রক্ষার কোনো কার্যকর উদ্যোগ আজো গ্রহণ করেনি। প্রশাসনসহ সকল মহরই এক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে। অবস্থা দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আমাদের সঙ্গে আজো জমিদারদের সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা চলছে।
হয়তো বা জমিদারদের অত্যাচার ও নিপীড়নের কথা স্মরন করেই আজো আমরা তাদের প্রতিহিংসাবশত ইতিহাসের সাক্ষী রাজবাড়িটি সংরক্ষণের কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছি না। তবে সবচেয়ে বড় কথা ব্যস্তবতা হচ্ছে আমাদের ইতিহাসকেও তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। হরিপুরের জমিদারবাড়িটি এখনো আছে বলেই এই এলাকার ইতিহাস ধিকিধিকি করে আজো জ্বলছে। সেই সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ইংরেজদের অত্যাচারের কথা। সংরক্ষণের অভাবে হরিপুরে ইতিহাসও এক সময় হারিয়ে যাবে কালের গর্ভে।
হরিপুরের জমিদারবাড়িটি ও এর বিভিন্ন স্থাপত্য এবং ইংরেজদের অত্যাচারের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ করা গেলে হরিপুরের ইতিহাস যুগ যুগ ধরে আমাদের মাঝে অম্লান হয়ে থাকবে। সেই সঙ্গে এলাকাটি একটি পর্যটন কেন্দ্রে রুপ নেবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।