কবি হতে চেয়েছিলাম... গ্রামীণ ফোনকে ধন্যবাদ যে, তারা টেলিভিশন বিজ্ঞাপন থেকে নজরুলের গানের (মোরা ঝর্ণার মতো...) বিকৃত সুরটি প্রত্যাহার করেছে। আদি সুর আর হালের যন্ত্রানুষঙ্গে নজরুলের গান অবশ্যই নতুন প্রজন্ম গ্রহণ করবে। কিন্তু নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য করার নামে লালন, রবীন্দ্রনাথ কিংবা নজরুল; কারও গানের সুর-বিকৃতি গ্রহণযোগ্য নয়। তরুণ গায়ক ও ব্যান্ডদলগুলোকে ধন্যবাদ যে, তারা নিজ নিজ শৈলীতে লালনের গান গাইলেও কেউ সুর বিকৃত করেননি। আর রবীন্দ্র সঙ্গীত পাহারা দেয়ার জন্য তো আমাদের মুরুব্বির অভাব নেই। কিন্তু নজরুলের বেলায় তারা রহস্যজনক কারণে নিরব! গ্রামীণ ফোনের বিজ্ঞাপন-কাঙাল তথাকথিত সুশীল গণমাধ্যমও কিন্তু চুপচাপ! ১১ জ্যৈষ্ঠ কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন। মৌসুমি বুদ্ধি-বিক্রেতা আর পুঁজির পুজারি পত্র-পত্রিকাওয়ালারা ‘নজরুল ব্যবসায়’ মেতে উঠবেন। নজরুল গান-সাহিত্য যারা নানাভাবে ব্যবহার করছে তারা মেধাস্বত্ব আইন অনুযায়ী, নজরুলের উত্তরাধিকারদের প্রাপ্য সম্মানি বুঝিয়ে দিচ্ছেন কী? বিকৃত সুর প্রত্যাহার করে গ্রামীণ ফোন যেমন ভালো একটি উদহারণ তৈরি করেছে, তেমনি যদি তাদের বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত গানের জন্য নজরুলের উত্তরাধিকারদের প্রাপ্য সম্মানি পৌঁছে দেয়, তবে সুন্দর একটি নজির তৈরি হবে; প্রশ্নটা হচ্ছে, এ দায়িত্ব কার- গ্রামীণ ফোনের না বিজ্ঞাপনে যারা গানটি গেয়েছে তাদের?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।