ধারণা করা হয়েছিল, ব্যাপারটি এখনকার মতো থেমে গেছে। প্রসঙ্গটি গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে। এ ব্যাংক ও তার প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়ে কয়েক বছর ধরে টানাহেঁচড়া চলছেই। এ ব্যাংকসহ এর সহযোগী বিভিন্ন সংস্থার গঠন ও কার্যক্রম পর্যালোচনা করে ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ করতে সরকার একটি কমিশন গঠন করেছিল। কমিশনের সহসাই তার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা।
তবে প্রতিবেদনের সারাংশ খবরের কাগজে এসে অনেক আলোচনার জোগান দিয়েছে। যাহোক, পাশাপাশি আরেকটি খবর ছিল যেহেতু সামনে জাতীয় নির্বাচন, সরকার এখনই এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে না। এতে কিছুটা আশ্বস্ত হওয়া গিয়েছিল। তবে ঢাকার একটি ইংরেজি দৈনিক দায়িত্বশীল মহলের বরাত দিয়ে ভিন্ন খবর পরিবেশন করেছে, যার প্রতিপাদ্য হচ্ছে সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে পরিচ্ছন্ন করতে বদ্ধপরিকর। এ থেকে ধারণা করা যায়, গ্রামীণ ব্যাংকের অভ্যন্তরে জঞ্জাল জমে আছে অনেক।
আর এটা যেহেতু একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা, তাই এর নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার। এতে আপাত দোষের কিছু দেখা যায় না। জঞ্জাল জমলে পরিষ্কার করতেই হবে; যাদের দায়িত্ব তাদের। তবে দেখার থাকে জঞ্জাল বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে কোন বিষয়গুলো। আর পরিষ্কার করার ধরনটাই বা কী? এ প্রসঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের পটভূমি সংক্ষিপ্ত আলোচনার দাবি রাখে।
এর সূচনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ‘গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প-১৯৭৬’ দিয়ে। এর কার্যক্রমের পরিসীমা ছিল সে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী জোবরাসহ কয়েকটি গ্রাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ যেহেতু সরকারই জোগায়, এটাতেও তা-ই হওয়ার কথা। আর এ-জাতীয় প্রকল্প প্রায়ই অনেক নেওয়া হয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাফল্য ও স্থায়িত্ব লাভ করে থাকে। ‘গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প, ১৯৭৬’ অবশ্যই সাফল্য লাভ করেছে।
আর এ সাফল্যকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও প্রাথমিক তহবিলের আবশ্যকতা ছিল, তার ব্যবস্থা করে আইনি কাঠামো দিতে ১৯৮৩ সালে জারি করা হয় গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ। গ্রাম্য এলাকায় ভূমিহীন দরিদ্রদের ঋণের ব্যবস্থা করতেই এর প্রতিষ্ঠা। সে অধ্যাদেশে ব্যাংকটির ওপর সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যথাযথ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও রয়েছে। পরিশোধিত মূলধনের ২৫ শতাংশ সরকারের আর ৭৫ শতাংশ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের। সরকার মনোনীত চেয়ারম্যানসহ মোট তিনজন আর ঋণগ্রহীতাদের নির্বাচিত নয়জন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নিয়ে ১৩ জনের একটি পরিচালনা বোর্ডের বিধান করা হয়।
কার্যত একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের চরিত্র নিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বছর তিনেক আগে ব্যাংকটির মূল প্রাণশক্তি অধ্যাপক ইউনূসকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ ছাড়তে হয়। আইনি লড়াইয়েও তিনি পরাস্ত হন। অনেকের প্রত্যাশা ছিল প্রতিষ্ঠানটির সফল উদ্যোক্তা আর বিশ্বজনীন পরিচিত এ প্রতিভাবান ব্যক্তিত্বকে সরকার কোনো না-কোনোভাবে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করবে। এ প্রত্যাশা অমূলক ছিল না।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও আইনি কাঠামোই ব্যাংকটির সূচনা। এ রকম অনেক প্রতিষ্ঠান সরকার সৃষ্টি করছে। দিনের পর দিন এগুলোর পেছনে ঢালছে প্রভূত অর্থ। ব্যতিক্রম ছাড়া সাফল্যের মুখ দেখেছে কটি? এ সাফল্যের পেছনে মূল মেধা ও শ্রম যাঁর, তাঁকে যতক্ষণ সম্ভব প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সম্পর্কিত রাখার প্রত্যাশা অযৌক্তিক বলা যাবে না। দারিদ্র্যবিমোচনে এর সাফল্য বিশ্বনন্দিত।
বেশ কিছু দেশ এ মডেলে কাজ করতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। দারিদ্র্য পৃথিবীতে শান্তির বড় অন্তরায়। আর সে অন্তরায়কে অপসারণ করে, এ তত্ত্ব স্বীকার করে নেন বিশ্বের গুণীজনেরা। তারই ফলে ২০০৬ সালে নোবেল পুরস্কার ললাটে জোটে যুগপৎ এ প্রতিষ্ঠান ও এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ইউনূসের। একই সঙ্গে বাংলাদেশও পৃথিবীর মানুষের কাছে নতুনভাবে গৌরবান্বিত হয়।
এ ব্যাংক থেকে অধ্যাপক ইউনূসকে অপসারণ করে কিন্তু সরকার থেমে থাকেনি। তারা এ ব্যাংক ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম তল্লাশি, অনিয়ম চিহ্নিত ও তা দূরীভূত করার সুপারিশ করতে একটি কমিশন গঠন করে। সে কমিশন সম্প্রতি প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। প্রতিষ্ঠানটির নতুন একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ করার কথা। মূল গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশে এ ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে পরিচালনা বোর্ডকে দেওয়া ছিল।
কিন্তু আইন পাল্টে চেয়ারম্যান নিযুক্ত একটি বাছাই কমিটির বিধান করা হলো। উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক হবে যে, সব ব্যাংকেই ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে পরিচালনা পর্ষদের। তবে সংশোধিত আইনে পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা করেই বাছাই কমিটি করার কথা। এখানেও তাদের পরামর্শে অধ্যাপক ইউনূসকে বাছাই কমিটির প্রধান করার সুপারিশ করা হলো। পরামর্শ মানা হলো না।
নিয়োগ হলো না ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বর্তমানে অস্থায়ীভাবে একজন দায়িত্ব পালন করছেন। সরকার নিযুক্ত গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের প্রতিবেদনটিতে কী আছে আর তা কতটা বাস্তবসম্মত, তা আলোচনার আবশ্যকতা রয়েছে। যতটুকু জানা যায়, কমিশন এ ব্যাংকে সরকারের নিয়ন্ত্রণমূলক শেয়ার রাখার ব্যবস্থা (৫০ শতাংশের অধিক), একে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মতো ১৯টি খণ্ডে বিভক্ত করে পুনর্গঠন এবং ঋণগ্রহীতা পরিচালকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে। আরও সুপারিশ করেছে পাঁচ কোটি গ্রাহকসমন্বিত গ্রামীণফোনের লাইসেন্স স্থগিত করতে।
উল্লেখ্য, এ মোবাইল ফোন কোম্পানির মালিক নরওয়ের টেলিনর ও গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেড। সংবাদপত্র থেকে আরও জানা যায়, প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ রয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক আইনের পরিসীমা লঙ্ঘন করে তার কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করেছে। এর সদস্যদের সংজ্ঞা ও অধিকার বর্তমান আইনে অস্পষ্ট বলে তারা উল্লেখ করেছে। তদুপরি এর নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কে তা-ও অস্পষ্ট, এ কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকার কথা জানা যায়। আরও জানা যায়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই এর পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি করা হয়েছে।
গ্রামীণফোনের প্রসঙ্গ এখানে আলোচ্য নয়। তবে উল্লেখ করার থাকে যে সব সিদ্ধান্ত বিধিবহির্ভূতভাবে নেওয়া হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে রয়েছে; তার দায় সরকার নিযুক্ত চেয়ারম্যান ও পর্ষদের সদস্যদের আর বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপরও বর্তায়। এখানে বোধগম্য হচ্ছে না, সরকার মনোনীত চেয়ারম্যান ও পর্ষদ সদস্য থাকা সত্ত্বেও সরকার এখানে তাদের নিয়ন্ত্রণ আরও বৃদ্ধি করতে চাইছে কেন? কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান নিয়ন্ত্রণব্যবস্থাকে কি তারা যথাযথ মনে করছে না? সরকারের তো এ ব্যাংকে ৩ শতাংশ মালিকানা রয়েছেই। প্রশ্ন থাকে, তাদের শতভাগ মালিকানাধীন অনেক বেশি মূলধনসহ যেসব ব্যাংক রয়েছে, সেগুলোর হাল আজ কী? শুধু অনাদায়ি ঋণ নয়, জালিয়াতি ঋণ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অদক্ষতায় ব্যাংকগুলো হাবুডুবু খাচ্ছে। আর এ প্রবণতা দিন দিন অপ্রতিরোধ্যভাবে বেড়েই চলছে।
বিপর্যস্ত ব্যাংকগুলোকে আত্মঘাতী অবক্ষয় থেকে টেনে তোলার কোনো কার্যকর ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি। বরং প্রতিদিন তাদের নিত্যনতুন কেলেঙ্কারি উদ্ঘাটিত হচ্ছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও এ রকম সংক্রমিত হচ্ছে ক্রমেই। সরকার নির্বিকার। নির্লিপ্ত।
কিন্তু যে প্রতিষ্ঠান দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে, হচ্ছে সম্প্রসারিত ও সমৃদ্ধ এবং সারা বিশ্বে সুনাম অর্জন করছে, তাদের নিয়ে হঠাৎ সরকার কেন মেতে উঠল, বোঝা দুষ্কর। আইনের পরিবর্তন ঘটিয়ে পূর্ণ মালিকানা পেতে কেন সে তৎপরতা, তা-ও বোধগম্য নয়। সরকারের ইউনূসবিরোধী অবস্থান ও গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে অকারণ টানাহেঁচড়ায় দেশের সাধারণ মানুষ বিরক্ত, শঙ্কিত ও উৎকণ্ঠিত। অন্যদিকে ঋণগ্রহীতা পরিচালকদের কোনোভাবেই বাগে আনতে না পেরে এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার একটি বিধান যুক্ত করা হচ্ছে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়। এ ধরনের যোগ্যতা নির্ধারণের ব্যবস্থা নেই অন্য কোনো ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচনে।
শুধু তা-ই নয়, দেশের সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন, রাষ্ট্র পরিচালনায় নিয়োজিত সব নির্বাচিত পদে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিধান কোথাও সংযুক্ত করা হয়নি। আর এ ব্যবস্থার ব্যতিক্রম সম্ভবত পৃথিবীর খুব কম দেশেই আছে। মনে হয়, নির্বাচকমণ্ডলীর দায়িত্ববোধের প্রতি সম্মান রেখেই তা করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারী ও ঋণগ্রহীতারা মনে করছে, তাদের ব্যাংকটির ওপর সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চালু করতেই এ উদ্যোগ। বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করলে তাদের উদ্বেগকে অযৌক্তিক বলা যাবে না।
এরপর আসে অধ্যাপক ইউনূস প্রসঙ্গ। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। অনাড়ম্বর, সদা বিনম্র এ অর্থনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাঁর তুলনাহীন প্রতিভা, সৃষ্টিশীলতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও মেধাবী উদ্যোগের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত ও নন্দিত। তিনি দারিদ্র্যকে জয় করতে চেয়েছেন। চেয়েছেন প্রান্তিক মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, যে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখিয়েছিলেন জাতিকে।
অধ্যাপক ইউনূস ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে দীর্ঘ পথচলার একপর্যায়ে এর সাফল্য ও স্বীকৃতি আসতে থাকে। আসে বিশ্বসেরা পুরস্কার নোবেল। তিনি থেমে যাননি এখানেই। তাঁর সৃজনশীল পরবর্তী আরেকটি উদ্যোগ ‘সামাজিক ব্যবসা’ আজ নতুনভাবে সবার নজর কাড়তে শুরু করেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর ও সম্পদশালী রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপ-এশিয়ার বহু দেশেই তিনি নন্দিত ব্যক্তি।
যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে মর্যাদা জানাতে দিয়েছে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’। আবার ২০১৩ সালে সে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব ‘কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল’ও তাঁকে দেওয়া হয়। এতে বাঙালি হিসেবে আমরা তাঁকে নিয়ে কি গর্ব করতে পারি না? যদি না পারি, তা হবে আমাদের নিজেদের অক্ষমতা, তাঁর নয়। মহত্ত্বকে ধারণ করতেও যোগ্যতার প্রয়োজন। উল্লেখ্য, অধ্যাপক ইউনূস অন্য সবার মতো একজন মানুষ।
তিনি সব ধরনের ত্রুটির ঊর্ধ্বে থাকবেন, এমনটি হওয়ার কথা নয়। আবার তাঁর গঠিত ও পরিচালিত সংগঠনগুলোতেও থাকতে পারে ভুলভ্রান্তি, ঘটতে পারে নিয়মের ব্যত্যয়। সরকারের গঠিত কমিশন সেগুলোকে যথাযথভাবে চিহ্নিত করে বাস্তব ও ন্যায়নীতি অনুসরণে ব্যবস্থা নেওয়া হোক সংশোধনের; এতে দ্বিমত কেউ করবেন বলে মনে হয় না। তবে বিষয়টির সূচনাতেই একটি সন্দেহ ও অবিশ্বাস দানা বেঁধেছে কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে। কমিশনের সুপারিশ সংবাদপত্রে যা এসেছে, তা-ও নতুন করে আশঙ্কার সৃষ্টি করছে।
কেননা, একটি কার্যকর, গতিশীল ও দক্ষ প্রতিষ্ঠানকে খণ্ড-বিখণ্ড করা, এর মালিকানার বড় অংশ মূল ও প্রকৃত মালিকদের কাছ থেকে সরকারের নিয়ে নেওয়া কিংবা এর পরিচালকমণ্ডলীর ঋণগ্রহীতা সদস্য হতে শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণের প্রস্তাব সে আশঙ্কাকে বদ্ধমূল করে, উদ্বেগকে করে দৃঢ়তর। তা সত্ত্বেও আশাবাদী হতে চাই আমরা। আমাদের সংশয় ভুল প্রমাণিত হোক। শুভবুদ্ধির উদয় হোক সবার মধ্যে। গ্রামীণ ব্যাংকের একক ও অখণ্ড সত্তা, তার মৌলিক বৈশিষ্ট্য, মালিকানা চরিত্র ও পরিচালনা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত থাকুক, অধ্যাপক ইউনূস থাকুন অনাক্রান্ত; এ প্রত্যাশা আজ সমগ্র দেশবাসীর।
আলী ইমাম মজুমদার: সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
majumder234@yahoo.com।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।