অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মঙ্গলবার বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করলে সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
গত ২৭ অক্টোবর বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হলে তা অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল।
সোমবার বিলের প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল। একদিন বাদেই তা পাস হল।
আইন সংশোধনের ফলে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করা গ্রামীণ ব্যাংকের অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে আইনভঙ্গের জন্য শাস্তির মেয়াদ বেড়েছে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সামরিক শাসনামলে নেয়া বিভিন্ন অধ্যাদেশ পরিবর্তন ও বাতিলের কাজ শুরু করে। এরই আওতায় ১৯৮৩ সালের গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ বতিল করে নতুন আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
গ্রামীণ ব্যাংকের সেবামূলক কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং সরকার ও সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থার মালিকানা বহাল রেখে ঋণ গ্রহীতা সদস্যদের শেয়ার মালিকানা অর্জনের সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে আইনের এই সংধশোধন বলে অর্থমন্ত্রী বলেন।
তবে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করে আসছেন এর প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলছেন, সরকার ব্যাংকটি ‘ধ্বংসের’ ষড়যন্ত্র করছে।
আগে গ্রামীণ ব্যাংক কেবল সরকারকে আর্থিক প্রতিবেদন দিত। বিলটি আইনে পরিণত হওয়ায় সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকেও আর্থিক প্রতিবেদন দিতে হবে তাদের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।