নিশাত মুজমদার এভারেস্ট জয় করিয়াছেন। শেখ হাসিনা সমুদ্র জয় করিয়াছেন। খালেদা জিয়া ভয়কে জয় করিয়াছেন। চারিদিকে মেয়েছেলেদের এমন জয়ে জাতি বিস্মিত। এমনকি হাসিনাপুত্র জয় ও নিশ্চয়ই বিব্রত।

তবে আমাদের প্রশ্ন হল নেভারেস্ট। এখন আপনি যদি নেভারেস্ট কি জানেন না তাহলে বলে রাখি নেভারেস্ট মানে নেভার এভারেস্ট। নেভার এভার। জিন্দেগীতে না। আপনি প্রশ্ন করতে পারেন নেভারেস্ট শব্দার্থ তো বুঝলাম কিন্তু জিনিসটা কি? উত্তরে আসছি।

নেভারেস্ট বুঝতে হলে আপনাকে বিশ্বাস কি তা বুঝতে হবে। বিশ্বাস অবিশ্বাস টাইপের বাংলা ছবির বিশ্বাস না। দার্শনিক দৃষ্টি ভঙ্গী, ক্ষুরধার যুক্তির মাধ্যমে আপনাকে বিশ্বাস কি বুঝতে হবে। বিশ্বাস হল গোল্লা। গোল্লা+গোল্লা+গোল্লা=রসগোল্লা।

এই রসগোল্লাই হল বিশ্বাস। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? অরুনা বিশ্বাসের কথা মনে হলে ক্যামনে হবে! আপনাকে মন দিয়ে বিশ্বাস করতে হবে। নেভারেস্ট তৈরী করতে কি কি লাগে এরকম আজগুবী প্রশ্ন ও কেউ করে ফেলতে পারেন। যারা রেসিপি নিয়ে কাজ করেন তারা তো অবশ্যই। এর ও উত্তর তাই দিয়ে রাখি।

নেভারেস্ট তৈরী করতে অবশ্যই লাগবেঃ কিছু মানচিত্র পাহাড়ের ছবি এখন মানচিত্রের জন্য আমি এখানে দিচ্ছি> এটি এভারেস্টের এলাকার মানচিত্র। এদিকটাতে ঘুরে গিয়ে এভারেস্টে যেতে হয়। এখন দেখা যাক এভারেস্টের কিছু ছবিঃ এডমন্ড হিলারি। এভারেস্টে উঠার আগে। গিরিশৃঙ্গ এভারেস্ট।

এই ছবিটি তুলেছিলেন হিলারি তেনজিং নোরগের মোবাইল দিয়ে। এভারেস্টের আরেকটিও মাস্টার পিস ছবি। এটি হিলারির মোবাইলের গ্যালারিতে পাওয়া যায়। এখন দেখা যাক নিশাত মজুমদারের ছবিটিঃ লাল চিহ্ন গুলো দেখুন। বিস্ময়কর না? অবশ্যই এটি ফটোশপড।

বিশ্বাস করছেন না? তাহলে উপরের গোল্লা গুলোর দিকে তাকান। আপনি বাঙালী না মিয়া? বাঙালীর কাজ হইল আরেক বাঙালীরে প্রাপ্য সম্মান না দেয়া। তাই আপনার এই ছবি অবিশ্বাস করা লাগব। অবশ্যই। এটাই নেভারেস্ট।

অতএব নিশাত মজুমদারের এভারেস্ট জয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন> দুঃখিত, বিশ্বাসযোগ্য নয়। বিশ্বাস যোগ্য হতে হলে কি করতে হবে? অবশ্যই আরো কিছু ছবি দিতে হবে। যেমন একজন এভারেস্ট জয়ী দেখাচ্ছেন তিনি কী করে ওয়ার্মহোল ব্যবহার করে এভারেস্টে গিয়েছিলেনঃ নেভারেস্ট এর প্রথম পর্ব শেষ। দ্বিতীয় পর্ব আসছে। সে পর্যন্ত গোল্লা আঁকতে থাকুন।

গুড বাই। গোল্লা দীর্ঘজীবি হোক। ।