আজকের টপিক বিখ্যাত কিছু বাংলা সাহিত্যিকের মৃত্যুর কারন । অনেকদিন পর লিখতে বসলাম। আশা করি এই তথ্যবহুল পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে ।
১। রবীন্দ্রনাথ - প্রোষ্টেট অপারেশনের পর রক্তপাত (reactionary hemorrhage)।
২। নজরুল - নিউরোসিফিলিস ও পিকস ডিজেস।
৩। সুকান্ত - মেনিনজিয়াল টিউবারকিউলোসিস (যক্ষা).
৪। বঙ্কিমচন্দ্র –মাত্রাতিক্ত ডায়াবেটিস।
৫। জীবনানন্দ দাস – রোড ট্রাফিক এক্সিডেন্ট (ট্রাম)
৬। হুমায়ূন আহমেদ - কোলন ক্যান্সার।
৭। সুকুমার রায় - কালাজ্বর (মাত্র ৩৭ বছর বয়সে)
৮।
অদৈত মল্লবর্মন - যক্ষা (পালমোনারী)
৯। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় - মৃগী রোগের জটিলতা (এপিলেপসি)
১০। সত্যজিৎ রায় - হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে (মৃত্যুর আগের সপ্তাহে অস্কার পান)।
১১। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস - লিভার ফেইলুর, সাথে ডায়াবেটিস (ঢাকা কম্যুনিটি হাসপাতালে)।
১২। সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ - স্ট্রোক (১৯৭১ সালে ১০ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্যারিসে, দেশের নাজুক নাজুক পরিস্থিতিতে লাশ দেশে আনা যায় নাই। প্যারিসেই দাফন করা হয়। )
১৩। মুহম্মদ আব্দুল হাই - অপঘাত অথবা আত্মহত্যা (১৯৬৮ সালে সামরিক শসকগোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুৎসা রটনা করে বিভিন্ন পত্রিকায়।
রাগে ক্ষোভে ট্রেনেথেকে ঝাপ দিয়েছিলেন, আহত অবস্থায় দেশান্তরি হন। পরে আর জানা যায় নাই কিভাবে মারা গেছেন).
১৪। আহমদ শরীফ - বয়সের ভাড়ে (কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতায় আচ্ছন্ন অবহেলিত সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দ্রোহী পুরুষ ড. আহমদ শরীফকে ধর্মান্ধরা শাস্ত্র ও প্রথা বিরোধিতার কারণে মুরতাদ ঘোষণা করেছিল। ১৯৯৫ সালে এক অসিয়তনামার মাধ্যমে তার মরণোত্তর চক্ষু ও দেহদান করার কথা লিপিবদ্ধ করে গিয়েছিলেন। সে অসিয়তনামায় লেখা ছিল, ‘চক্ষু শ্রেষ্ঠ প্রত্যঙ্গ, আর রক্ত হচ্ছে প্রাণ প্রতীক, কাজেই গোটা অঙ্গ কবরের কীটের খাদ্য হওয়ার চেয়ে মানুষের কাজে লাগাইতো বাঞ্ছনীয়’।
তাঁর অসিয়ত অনুযায়ী মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উপকরণ হিসেবে ব্যবহারের জন্য দান করে দেয়া হয়। )
ধন্যবাদ সবাইকে । শুভ রাত । ভালো থাকুন ।
Courtesy-
Dr. Sayed Sujon
এমএস কোর্স- ইউরোলজি,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়|
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।