আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজশাহীর রাজনীতিতে মিনুর ‘ক্যারিশমা’

এই দেশ, এই প্রকৃতি ও খুব কাছের মানুষ ছেড়ে কোথাও মিলিয়ে যাবো একদিন, সে সব কথা ভাবতে খুব কষ্ট হয়। মানুষের কাছে, প্রকৃতির কাছে আমি ঋণী। সেসব ঋণ শোধ করা হবে না কোনদিনই। তবু যেতেই হবে। যেতে হয়।

আমার প্রতিদিনের ভাবনা এবং জীবনের কিছু কথা যাবার আগে বলে যেতে চাই. রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট হয়েছে ৯ দিন হলো। এতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ক্ষমতাসীন ১৪ দলের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেছেন। নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের এই খবর এখন বেশ পুরোনো। তবে এই নির্বাচন ঘিরে সরব আলোচনা রয়েই গেছে।

ঘুরে-ফিরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসছেন রাজশাহীর রাজনীতির রাজপুত্রখ্যাত সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। তিনি শুধু রাজশাহীবাসীকেই নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও চমক দিয়েছেন। পাল্টে দিয়েছেন সব হিসাব-নিকাষ। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পালে আবারো লেগেছে বিজয়ের হাওয়া। রাজশাহী সিটি নির্বাচনে যার ছকে হেঁটেই মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের মতো এবারের রাজশাহী সিটি নির্বাচনেও কারিশমা দেখালেন মিজানুর রহমান মিনু। নগর যুবদলের আহ্বায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে মেয়রপ্রার্থী ঘোষণার পর পরিকল্পিত ছকে হেঁটেছেন তিনি। দলের ভেতরে ও বাইরের সব দ্বন্দ্ব ও মান-অভিমান মিটিয়ে মহানগর এবং জেলা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। বিশেষ করে দীর্ঘদিনের ‘দা-কুমড়া’ সম্পর্ক থাকা নাদিম মোস্তফাকে নিজের বশে এনে ভোটের হিসাব পুরো পাল্টে দেন মিনু। রাজনীতির মাঠে রাজশাহীতে মিনুর জুড়ি মেলা ভার।

মেয়র থাকাকালে তিনি অফিসের বাইরেও বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। তার মুখে সবসময় লেগে থাকা মিষ্টি হাসি যেন সবাইকে আকৃষ্ট করে। তাই সব শ্রেণীর মানুষের মাঝে প্রিয় মিনু। আর এই সুযোগটি এবারো কাজে লাগিয়েছেন তিনি। .................... প্রেম নিয়েও প্রথম যৌবনে পিছিয়ে ছিলেন না মিনু।

ছাত্রজীবনে এক মামাতো ভাইয়ের শ্যালিকাকে মন দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্ররাজনীতির নেতা হওয়ায় পরিচিতদের আড়ালে তাদের লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা-সাক্ষাৎ ও গল্প করতে হতো। শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যাওয়ায় বিয়ে করা হয়নি ভালোবাসার মানুষটিকে। এরপরই জীবনে স্বপ্ন হয়ে দেখা দেন সালমা শাহাদত। .................... সিটি নির্বাচনে বুলবুলকে সঙ্গে নিয়ে সারাদিন ঘুরেছেন সব পাড়া-মহল্লায়।

বাড়ি-বাড়ি গিয়েছেন ভোট চাইতে। হয়তো কোনো এক বাড়িতে খাওয়ার সময় উপস্থিত হয়ে গেছেন। কোনো দ্বিধা ছাড়াই পরিবারের অন্য সদস্যের মতো বসে পড়ছেন তাদের সঙ্গে। ডাল-ভাত খেয়ে হাতটি মুছেছেন গৃহকর্ত্রীর শাড়ির আঁচলে। বলেছেন, ‘আপা ভোটটা কিন্তু আমারই পাওনা।

’ এমন নানা কৌশলে মানুষের মন জয় করাই যেন মিনুর নেশা। রাজশাহীতে বড় বড় নেতাদের মধ্যে তৃণমূল সাধারণ মানুষের সঙ্গে আতিথেয়তা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ সুনাম রয়েছে সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর। বুলবুলের হয়ে ভোট চাইতে গিয়ে প্রায়ই বসে পড়েন এলাকার বোন কিংবা চাচীর গল্পের আসরে। চেষ্টা করেছেন এসব নারী ভোটারের মন জয়ের। দিন-রাত কাজ করেছেন ১৮ দল সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের জন্য।

শেষ পর্যন্ত বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরেছেন তিনি। রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু। অন্তত দুই যুগ ধরে তিনিই রাজশাহী অঞ্চলের ডানপন্থী রাজনীতিতে চালকের ভূমিকায় রয়েছেন। আর সে অবস্থানে থেকে এবার সিটি নির্বাচনেও কারিশমা দেখালেন তিনি। ১৯৫৮ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী মহানগরীতে মিনুর জন্ম।

তার বাবা ফয়জুর রহমান নেতাজী সুভাস চন্দ্র বসুর সঙ্গে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন করেছেন এবং তৎকালীন সেকেন্ড-ইন কমান্ড ছিলেন। মিজানুর রহমান মিনু রাজনীতির বাইরে মিনু ভাই। তার চোখে-মুখে সব সময় লেগে থাকে এক চিলতে হাসি। বিএনপির নীতি-নির্ধারক পর্যায়ের অন্যতম রাজনীতিবিদ হলেও জীবনযাত্রা একদম সাধারণ মানুষের মতো। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাই-সাইকেলে চড়ে চলে যান সাধারণ মানুষের কাছে।

খোঁজ নেন কেমন আছেন তারা। এ কারণেই দলমত নির্বিশষে সবাই ভালোবাসেন তাকে। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে আছেন বিএনপির সঙ্গে। তিনি টানা ১৭ বছর ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র। রাজশাহী থেকে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

রাজশাহীর প্রিয়মুখ মিনু রাজশাহী সরকারি কলেজে ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা ও যোগদানের মধ্য দিয়েই শুরু করেছিলেন তার রাজনৈতিক জীবন। মিনু অত্যন্ত মিশুক ও আড্ডাবাজ। কিন্তু পড়াশুনা ও খেলাধূলায় ছিলেন সব সময়ই চ্যাম্পিয়ন। তার বাঘশিকারি বাবার মতো শিকারেও তিনি সিদ্ধহস্ত। নিজের কৌতূহল ও দুরন্তপনার কারণে ছোটবেলা থেকে বহুবার মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখতে হয়েছে তাকে।

হয়তো সে কারণেই আজ তিনি সফলতায় এসে পৌঁছেছেন বলে রাজশাহীর রাজনীতিকরা মনে করেন। শিক্ষা জীবনে কেবল একবারই শিক্ষকের কাছে মার খেয়েছেন। তাও আবার স্কুলের প্রথমদিনেই। নতুন ভর্তি হওয়ায় ইউনিফর্ম বানানো হয়নি। যদিও বাবা আগেই দরখাস্ত দিয়ে ইউনিফর্মের জন্য তিন দিন সময় নিয়েছেন।

কিন্তু সেটি না জেনেই অ্যাসেম্বলি শেষে নিরাপরাধ মিনুকে বেত দিয়ে বেধড়ক মার দিয়েছিলেন স্কুলের শিক্ষক। পরে অবশ্য ব্যাপারটি বুঝতে পেরে অনেক আদর করেছিলেন তাকে। সে কথা আজো ভোলেননি মিনু। দুরন্ত, সাহসী ও মেধাবী মিনু রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে পড়ার সময় পাকিস্তানের এয়ারফোর্স স্কুলে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু স্টেশন থেকে তাকে ফিরে আসতে হলো।

পাঁচ ভাই-বোনের সর্বকনিষ্ঠ সন্তানকে কোনোভাবেই এত দূরে পাঠাতে চাননি তার মা। অষ্টম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় তার খালাতো ভাই মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডার আকতার সিদ্দিকের হাত ধরে বহুবার যুদ্ধে অংশ নেয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বয়স অল্প হওয়ায় কিছুতেই তাকে তা করতে দেননি পরিবারের সদস্যরা। তবে তিনি তার যোদ্ধা ভাইদের সঙ্গে সব সময় থেকেছেন। চোখের সামনে দেখেছেন অজস্র মৃত্যু।

নিজের বাম হাতে এখনো রয়েছে পাকিস্তানিদের গুলির দাগ। ছোটবেলায় ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে তিন তলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। উচ্চ রক্তচাপে এখনো প্রায়ই যায় যায় অবস্থা হয়ে ওঠে। ১৯৮৮সালে মোটর সাইকেল-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তার একটি পা কেটে ফেলা ছাড়া কোনো উপায় দেখছিলেন না চিৎিসকরা।

অবশেষে রাজশাহী থেকে হেলিকাপ্টার যোগে ঢাকা এবং সেখান থেকে একইদিন সিঙ্গাপুর নিয়ে তার পাটি বাঁচানো হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে তিনি আর কখনো খেলাধূলা করতে পারেননি। প্রেম নিয়েও প্রথম যৌবনে পিছিয়ে ছিলেন না মিনু। ছাত্রজীবনে এক মামাতো ভাইয়ের শ্যালিকাকে ভালোবেসেছিলেন। কিন্তু ছাত্ররাজনীতির নেতা হওয়ায় পরিচিতদের আড়ালে তাদের লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা-সাক্ষাৎ ও গল্প করতে হতো।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যাওয়ায় বিয়ে করা হলো না ভালোবাসার মানুষটিকে। ভেবেছিলেন, জীবনের এই চ্যাপ্টারটি তিনি আর কখনো পড়বেন না। কিন্তু তার বর্তমান সহধর্মিনী সালমা শাহাদত যাকে একবার দেখেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হলের ভিপি পদে দাঁড়াতে। তার দলের এই মেয়েটিই পরবর্তীতে তাকে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখান। স্ত্রী সম্পর্কে মিজানুর রহমান মিনু আরটিএনএন- কে বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনে কারাবন্দি জীবনে ব্যাপক সাহস যুগিয়েছেন সালমা।

জেল থেকে বের হওয়ার পর ভারতের লোকসভার এক বন্ধু বলেছিলেন সেখানে চলে যেতে। ঠিক সেই সময়ে তার স্ত্রী বললেন, ‘তুমি যদি এ কাজটি করো, তবে আমি ভাববো তুমি একজন কাপুরুষ এবং এটি করলে তোমাকে আমি ডিভোর্সও দিতে পারি। ’ এভাবে রাজনীতিতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তার সহধর্মিনী। বর্তমানে তিনি রাজশাহী হোম ইকোনমিকস কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত। মিনু ভালো খেলোয়াড় হলেও তার বাকি পাঁচ ভাইয়ের প্রত্যেকেই কেউ ভালো গিটার বাজান অথবা কেউ তবলা ও সেতার বাজান।

আর বোন ভালো গাইতে পারেন। তাদের বাড়িতে প্রায়ই বসতো গানের আসর। রাজশাহীর প্রিয় এই নেতা অনেকটাই সৌখিন। তার সাজানো গোছানো পরিপাটি বাড়িতে ঢুকতেই শোনা যাবে পাখির কিচিরমিচির শব্দ। বাহারি জাতের গাছ ও লতা-পাতায় আর সবুজে ঘেরা চারপাশ।

মেয়র মিনু রাজশাহী নগরীর চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। তিনি একটানা ১৭ বছর মেয়র ছিলেন। এই সময়ে মিনু রাজশাহী নগরীর অলিগলি দিয়ে রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন, বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ প্রকল্পসহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন করেছেন। সবুজ নগরী গড়ায় জাতীয় পুরস্কারও লাভ করেছেন মিনু। বিশ্বের সবচেয়ে শান্তির শহর হিসেবে রাজশাহীর স্বীকৃতিও এনে দিয়েছিলেন তিনি।

তাকে ঘিরেই আবর্তিত হয় নগর বিএনপির রাজনীতি। যে কোনো রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সবার আগে এগিয়ে আসেন তিনি। কানসাট ও ফুলবাড়ি আন্দোলন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে মিনুই সামাল দিয়েছিলেন। পারদর্শিতা ও দক্ষতার কারণে দলের শীর্ষমহলেও বেশ কদর তার। সিটি নির্বাচনের পর রাজশাহীর রাজনীতিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন মিনু।

নবনির্বাচিত মেয়র বুলবুলও মিনুকে রাজনৈতিক গুরু হিসেবে মানেন। .................... নিজের রাজনৈতিক গুরু সম্পর্কে নতুন নগরপিতা বুলবুল আরটিএনএন- কে বলেন, ‘রাজশাহী অঞ্চলে জাতীয়তাবাদী শক্তির দুর্গ গড়ার কারিগর মিনু ভাই। তার অক্লান্ত পরিশ্রম, নেতাকর্মীদের প্রতি আন্তরিকতা ও সহানুভূতি দলকে যেমন শক্তিশালী করেছেন তেমনি সাধারণ মানুষেরও আকাশ ছোঁয়া ভালবাসা পেয়েছেন তিনি। ’ ...................... মিনুর অদম্য সাহস ও প্রচেষ্টাতেই সব মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন পাওয়া সহজ হয়েছে বলে মনে করেন মেয়র বুলবুল। রাজশাহীর রাজনীতি নিয়ে মিজানুর রহমান মিনু আরটিএনএন- কে বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে।

শিথিল হয়েছে সীমান্ত রক্ষা। দেশের মানুষের দুর্বিষহ অবস্থা। তারা ’৭৫ সালের মত বাকশালী শাসনের চেয়েও কঠোর শাসন কায়েম করছে। ’ তিনি বলেন, জনগণের মিটিং-মিছিল এমনকি অনশন কর্মসূচিকে বাধা দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যদিয়ে তারা যে জনবিচ্ছিন্ন তা প্রমাণ হয়ে গেছে।

এই সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকার পুঁজিবাজার, পদ্মা সেতু, হলমার্ক, ডেসটিনি কেলেঙ্কারি এবং আলেম ওলামাদের গুলি করে হত্যা করেছে। তত্ত্বাবধায়কের দাবি মেনে না নিলে মহাজোটের এমপি ও মন্ত্রীরা জনরোষ থেকে পালানোর পথ পাবেন না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মিনু। আগামী নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন সংস্থা নির্বাচন সম্পর্কে যে পূর্বাভাস দিয়েছে, তাতে আগামী নির্বাচনে সারা দেশে বিএনপি কমপক্ষে ২৭০ আসনে জয়লাভ করবে। আর সেজন্যই সরকার আবারো ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র করছে।

কিন্তু জনগণ যেভাবে জেগে উঠেছে তাতে এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না বলে মনে করেন রাজশাহীর রাজনীতির এই বরপুত্র। উৎসঃ আরটিএনএন  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.