আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজশাহীর ৮ পুলিশ রিমান্ডে

রাজশাহীতে চিকিৎসক দম্পত্তিকে জিম্মি করে এক লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) তৌফিকুল ইসলামসহ ৮ পুলিশ সদস্যকে ৩দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত সোমবার পুলিশ আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল। শুনানি শেষে মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এসএম মেসবাউল হক ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে দুপর ১টার দিকে রাজশাহী কারাগার থেকে অভিযুক্ত আট পুলিশ সদস্যকে আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ডে নেওয়া অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন- মহানগরীর রাজপাড়া থানার দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) যথাক্রমে মতিউর রহমান ও মাসুদ রানা এবং এসি তৌফিকের গাড়ি চালক কনস্টেবল আক্তার হোসেন, সুজন, আতিকুর রহমান, গোলাম মোস্তফা ও ইসলাম আলী।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং মহানগরীর রাজপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকাররম হোসেন জানান, সাত দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আট পুলিশকে রাজশাহী মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হয়। দুপুরে শুনানি শেষে বিচারক এসএম মেজবাউল হক তাদের প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রাজপাড়া থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরের এসি তৌফিকুল ইসলাম, রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা ও মতিউর রহমানসহ ৮ পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে মহানগরীর ঝাউতলা মিঠুর মোড় এলাকায় ডা. আব্দুর রফিক বসুনিয়ার বাড়িতে যান। বাড়িতে ঢুকেই অবৈধ রসুন আছে বলে তারা ডা. বসুনিয়া এবং তার সহধর্মীনি ডা. ফাতেমা জাহানারাকে জিম্মি করে ফেলেন।

পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে নিয়ে যান। ডা. বসুনিয়া ঘটনার পরপরই তার আত্মীয় পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এর কার্যালয়ে কর্মরত স্টাফ অফিসার আব্দুস সবুরকে বিষয়টি জানান। তার কাছ থেকে ঘটনার খবর দ্রুত পুলিশের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কানে চলে যায়। রাতেই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের আরএমপি সদর দপ্তরে ডেকে আনা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই এসি তৌফিককে নিজ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়াসহ অন্য সাত পুলিশ সদস্যকে রাজশাহী পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।

ঘটনার পর তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য পুলিশের ৩সদস্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এরই সূত্র ধরে বাদী পুলিশ কমিশনারের কাছে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। পরে তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মহানগর পুলিশ কমিশনার এম. ওবাইদুল্লাহর নির্দেশে বাদীর সেই অভিযোগটিই সোমবার মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। মামলাতে সোমবার সকালেই এস তৌফিকসহ অভিযুক্ত ৮পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইন থেকে গ্রেপ্তার করে রাজপাড়া থানা পুলিশ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.