আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপনার বাইক হোক তেল সাশ্রয়ী

নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই জ্বালানী তেলের মূ্ল্য প্রতি নিয়তই বেড়ে চলছে। আর তাই আমরা যারা মোটরসাইকেল চালাই তাদের বাইক কেনার পূর্বেই টার্গেট থাকে তেল সাশ্রয়ের বিষয়টি। একটি বাইক নিজে যেমন তেল সাশ্রয়ী হতে পারে, তেমনি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি আপনার বাইককে আরো তেল সাশ্রয়ী করে তুলতে পারেন। আসুন সে বিষয় নিয়েই সামান্য আলোচনা করি- ড্রাইভিং অভ্যাস পরিবর্তন দ্রুত স্পীড তোলা, অপ্রয়োজনীয় ক্লাচ ব্যবহার করা, গাড়ী চালু অবস্থায় রেখে অন্য কাজ করা ইত্যাদি অভ্যাস তেল খরচ বাড়িয়ে দেয়। বাইক চালানোর সময় অপ্রয়োজনে দ্রুত স্পীড না তোলা, অতি ধীরেও বাইক না চালানো, ক্লাচ ইন্জিনের শক্তি কমিয়ে দেয় বিধায় প্রয়োজন না হলে ক্লাচ না চাপা, এবং ট্রাফিক সিগন্যাল বা মোড়ের দোকানে সিগারেট কেনার সময় বাইক চালু রাখার অভ্যাস বন্ধ করলে বেশ খানিক তেল খরচ কমে যায়।

প্রতিটি গিয়ারের নিজস্ব স্পীডলিমিট রয়েছে। সেই লিমিট অতিক্রম না করা। অসমতল রাস্তা, বাজে আবহাওয়া এবং ট্রাফিক জ্যাম পূর্ণ রাস্তা তেল খরচ বাড়িয়ে দেয়। এদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। নিয়মিত বাইক সার্ভিসিং করানো সমস্যা তৈরী হলে তখন সমাধান করা অপেক্ষা সমস্যা তৈরী না হতে দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

বাইক নিয়মিত সার্ভিসিং করানো যেমন বাইকের আয়ু বাড়িয়ে দেয়, তেল সাশ্রয়ী করে এবং রক্ষনাবেক্ষন খরচ কমিয়ে দেয়। নিয়মিত টিউনিং করানো দক্ষ মেকানিকের মাধ্যমে কার্বুরেটর, ইঞ্জিন টিউনিং করানো উচিত। ইঞ্জিনের শব্দ এবং ধোয়া লক্ষ্য করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া উচিত। ফুয়েল লিক তেলের ট্যাংক, তেলের পাইপসহ বিভিন্ন পয়েন্টের জয়েন্ট লিকের মাধ্যমে তেল নষ্ট হতে পারে। এইদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।

চাকায় সঠিক পরিমান বাতাস চাকায় পরিমানে কম বাতাস একদিকে যেমন টায়ারের আয়ূ কমিয়ে দেয় তেমনি গাড়ীর গতি কমিয়ে দেয় বলে তেল খরচও বেড়ে যায়। স্পার্ক প্লাগ স্পার্ক প্লাগ নষ্ট হয়ে মাঝ রাস্তায় অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েন। একই সাথে ময়লাযুক্ত স্পার্ক প্লাগের কারনে তেল ঠিকমতো না পুড়ে বেশি তেল অপচয় করে। নিয়মিত এয়ার ক্লিনার পরিস্কার করা যে সকল কারনে ভালো পরিমানে তেল খরচ বেড়ে যায় তার মধ্যে অন্যতম এয়ার ক্লিনার জ্যাম থাকা। আপনার এরিয়ার আবহাওয়ার ধরনের উপর নির্ভর করে নিয়মিত এয়ার ক্লিনার পরিস্কার করা উচিত।

বিশেষকরে যারা গ্রামে/মাটির রাস্তায় চলাচল করেন তাদের এবিষয়টি আারো বেশি খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত ইন্জিন অয়েল পরিবর্তন করা আপনার ইঞ্জিনের লুব্রিকেন্ট পরিবর্তনের কখনই কার্পন্য করবেন না। প্রতি ১০০০ কিমি রাইডে একবার ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন আপনার গাড়ীর স্থায়ীত্ব বাড়িয়ে দেয় একইসাথে জ্বালানী সাশ্রয় করে। অপ্রয়োজনে বাইক ব্যবহার না করা গলির মাথার দোকানে কিংবা স্বল্প দুরুত্বে যেতে বাইক অপেক্ষা হাটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনার বাইক এবং আপনার দেহ, দুইজনকেই নিরাপদে রাখুন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.