মন্দটাই মনে রাখে মানুষ। ভালোটা হাড়গোড়ের সঙ্গে মাটিতে মিশে যায়
তুমি যদি জন্মাতে ভারত কিংবা পাকিতে,
জনগণের মনে তুমি রাজা হয়ে থাকিতে।
তুমি যদি জন্মাতে লঙ্কা কিংবা ভূটানে,
মূর্তি বানিয়ে পূজা করত জনগণ উঠানে।
তুমি যদি জন্মাতে বরফাচ্ছন্ন নেপালে,
জনগণ ফুসে উঠতো তোমায় কেউ ক্ষেপালে।
কপাল দোষে জন্মেছ তুমি ঘষেটি বেগমের দেশে,
অপমানের বোঝা বইতে হবে পরাজিতের বেশে।
ভুল জায়গায় জন্মে তুমি করেছ মহা পাপ,
ঝামেলা হতনা নোবেলটা যদি পেত জাতির বাপ।
তিনি (সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম) একেবারে হাসির কথা বলেছেন। কত বড় বেকুবের দেশে আমরা আছি! একটি বৃহত্তম দলের বড় নেতা মনে করেন, শান্তিতে নোবেল পেতে হলে যুদ্ধ থামাতে হবে। ’
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নোবেল জয় নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে এ কথা বলেছেন প্রবীণ আইনজীবী রফিক-উল হক।
আজ শনিবার বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে গুম-অপহরণ ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তৃতা করেন রফিক-উল হক।
মুক্তচিন্তা নামের একটি সংগঠন তাঁর এই একক বক্তৃতার আয়োজন করে।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কৃষকদের মধ্যে ভর্তুকির অর্থ বিতরণের এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে জড়িত কেউ একজন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কোন যুদ্ধে তিনি শান্তি এনেছেন, কোন মহাদেশে তিনি শান্তি এনেছেন? কোথায় তিনি ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন করেছেন। ’
ড. ইউনূস ও ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদের সমালোচনা করায় শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ারও কঠোর সমালোচনা করেন রফিক-উল হক। তিনি বলেন, তাঁর (শিল্পমন্ত্রী) প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলি, তিনি ড. ইউনূসের নখের যোগ্যও নন।
শিল্পমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘আপনাদের যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার এতই ভালো লাগে, তাহলে আপনারা রাজনীতিতে আসুন, রাজনীতিতে এসে কথা বলুন। ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য ঘুষ দিয়েছেন—এই বলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন, এরও কঠোর সমালোচনা করেন রফিক-উল হক। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য শোভন নয়। এমন মন্তব্য করা উচিত না। ’ গুণী লোকের সম্মান দেখাতে হবে, তাহলে নিজের সম্মান বাড়ে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তথ্য: প্রথম আলো,
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।