আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইহুদী বিদ্বেষ এবং টোরোন্টোর ইস্ট এন্ড মাদ্রাসা।

প্রবাসী টোরোন্টোর ইস্ট এন্ড মাদ্রাসার পাঠ্য পুস্তকে ইহুদীদের ধুর্ত আখ্যা দিয়ে নাজীদের সাথে তুলনা করা হয়েছিল। কানাডাতে ধর্মের ভিত্তিতে ঘৃনাকে অপরাধ (Hate Crime) হিসেবে গন্য করা হয়ে থাকে। কানাডার Centre for Israel and Jewish Affairs গত ৭ই মে মাদ্রাসার কারিকুলামে এই ধরনের শিক্ষাকে অপরাধ হিসেবে অভিহিত করে কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানান। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান এবং পাঠ্য পুস্তক থেকে এই অংশ বাদ দেওয়ার ব্যাবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেন। ইজরায়েল ইহুদী রাস্ট্র। আরবদের প্রতি আগ্রাসী ভুমিকার কারনে স্বভাবতই ইহুদীবাদ এবং ইজরায়েলের ভুমিকা গ্রহনযোগ্য নয়। কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষায় অপর যে কোন ধর্মের বিরুদ্ধে ঘৃনা ছড়ানো আদৌ উচিত কিনা? কয়েক দিন আগেই সামহোয়্যার ইন ব্লগে একটা লেখায় দেখলাম কুরান শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে ইহুদী এবং খৃস্টানদের বন্ধু হিসেবে গ্রহন না করতে। নিজেও ইন্টারনেট ঘেটে এবং তা কুরান শরীফে পড়ে দেখলাম ইহুদীদের সম্পর্কে অনেক কথাই বলা আছে। যেমন সুরা ৫ঃ৩৩ এ বলা আছে “যারা আল্লাহ এবং নবীজির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে তাদের ক্রুশবিদ্ধ করে হাত পা কেটে ফেলে খুন করতে হবে এবং তারা পরকালেও শাস্তি ভোগ করবে” যদি কুরান শরীফে ইহুদীদের সম্পর্কে নিন্দাসুচক বক্তব্য থেকে থাকে এবং তা যদি শিক্ষা না দেওয়া যায় তাহলে কি ধর্ম শিক্ষা অসম্পূর্ন থেকে যাবে না? স্কুল কর্তৃপক্ষ কেনই বা মাফ চাইল এবং কেনই বা তা স্কুল কারিকুলামের ধর্ম শিক্ষা থেকে বাদ দিচ্ছে? বাদ দিয়ে তারা কি ইসলামের অবমাননা করছে না?


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.