যে ঘড়ি তৈয়ার করে - সে - লুকায় ঘড়ির ভিতরে
তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব একটু গভীরে গিয়ে বোঝার জন্য কেবল পুথিগত বিদ্যা খুব সম্ভবত বেশি দূর নিতে পারে না। খুব ভালো হয় যদি মিস্টিক্যাল ট্রাডিশন এবং স্পিরিচুয়ালিটি সম্পর্কে একটা হোলিস্টিক আইডিয়া, সামগ্রিক উপলদ্ধি তৈরী করা যায়।
কারন মিস্টিক্যাল ট্রাডিশন বা এসোটেরিক স্কুল বা বাতেনী ধ্যান ধারনায় ধর্মের বাহ্যিক আপাত: পার্থক্যগুলো একেবারেই কপর্ূরের মতো মিলিয়ে যায় নিমিশে। একজন জেন শিক্ষক, সুফি দরবেশ, বেনেডিক্ট মঙ্ক অথবা হিন্দু ইয়োগীর কখনো নিজেদের মধ্যে তর্ক করার প্রয়োজন হয় না। একটা উদাহরন দেওয়া যায় শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের যিনি একসময়ে আরবের ভূখন্ডে ধ্যানমগ্ন এক সুফি দরবেশের সানি্নধ্যে আসেন। এবং তার কাছাকাছি বেশ কিছু দিন অতিবাহিত করে তিনি পরে বলেন, তার দেখা অন্যতম সত্যিকারের ব্রাহ্মন যদি কেউ হয়ে থাকে তবে এই দরবেশ সেই একজন। উল্লেখ্য যে 'ব্রাহ্মন' এখানে হিন্দু ধর্মের প্রথাগত অর্থে নয়, বরং ব্যবহার করা হয়েছে যে ব্রহ্মা বা স্রষ্টাকে অনুধাবন করেছে। অনেকটা যে অর্থে নবী ইব্রাহিম (আ) কে মুসলিম বলা হয়, যদিও তার আগমন নবী মুহাম্মদের (সালাম) ইসলাম প্রচারের অনেক অনেক আগে।
এই ভূমিকার মূল উদ্দেশ্যটা ছিলো কিছু জিউইশ মিস্টিক্যাল মেডিটেশন বা ইহুদী মেডিটেশন এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার। যারা মেডিটেশন সম্পর্কে কৌতুহলী [link|http://mysticsaint.blogspot.com/2006/10/jewish-meditations.html|Zviv
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।