বিবর্ণ জীবনে কয়েক ফোটা রং......
এইটা কি শুনাইলেন পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী । হাহাপগে
আমি সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: সাহারা খাতুন
আল মাসুদ নয়ন ও আবাদুজ্জামান শিমুল
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের দাবি, তিনি সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট পরিদর্শনে এসে রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন মন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, বুধবার বিকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আসেন।
এসময় তিনি সরাসরি তৃতীয় তলার ৮ নং বেডে চিকিৎসাধীন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মধ্যম লেমু গ্রামের শাহনাজের (১৩) পাশে গিয়ে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। এরপর তিনি ওয়ার্ডের অন্য রোগীদের খোঁজ-খবর নেন।
শাহনাজসহ আশপাশের সব রোগীর খোঁজ-খবর নেওয়া শেষে তিনি ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেনের কক্ষে যান। হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এসময় তিনি বোর্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন এসিডদগ্ধ ও অন্যান্য গুরুতর রোগীদের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকার ১টি চেক সামন্ত লাল সেনের হাতে তুলে দেন।
সেখানে কিছু সময় কাটানোর পর বিকাল সাড়ে ৪টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গুরুতর রোগীদের আগেও সহযোগিতা করেছি। সরকারের তরফ থেকে ফান্ড পেলে ভবিষ্যতেও করবো।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বার্ন ইউনিট হচ্ছে ৫০ শয্যার, কিন্তু রোগী আছে ৪শ’ জন। এসব বিষয় নিয়ে সামন্ত লালের সঙ্গে প্রায়ই আমার কথা হয় ।
এসময় এক সাংবাদিক জানতে চান, বিশেষ কোনো রোগীকে দেখতে তিনি হাসপাতালে এসেছেন কি না?
জবাবে সাহারা খাতুন বলেন, ``সবাই আমার রোগী। সবাইকে আমি দেখতে আসি। তবে শাহনাজের বাবা হিরু মিয়া আমার কাছে গিয়েছিলেন। তিনি আমার কাছে কান্নাকাটি করেন এবং বলেন, আমার মেয়েকে একটু দেখে যান। তাই সবার খোঁজ-খবর নিলাম, তাকেও দেখলাম।
``
প্রসঙ্গত, শাহনাজ পাথরঘাটার মধ্যম লেমু গ্রামের ড. সৈয়দা ফিরোজা বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ০৪ মার্চ স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে বৈদ্যুতিক খুঁটির ছেড়া তারে জড়িয়ে মারাত্মক শক খায় সে। গুরুতর অবস্থায় তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এরপর বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাকে।
বুধবার বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এসেই লিফটে সরাসরি তিন তলায় উঠে শাহনাজের কাছে যান।
আমি সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে, বার্ন ইউনিট পরিদর্শন ও ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর শেষে সাংবাকিদের সঙ্গে আলাপকালে সাহারা খাতুন নিজেকে সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দাবি করেন।
সাংবাদিকরা নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ``যতক্ষণ পর্যন্ত ইলয়াস আলীকে খুঁজে পাওয়া না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ``
এসময় সাগর-রুনির হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে না পারা, ইলিয়াস আলীর সন্ধান না পাওয়া- এসব বিষয়ের উল্লেখ করে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন- তিনি নিজেকে সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন কি না?
জবাবে সাহারা খাতুন বলেন, ``আমি অবশ্যই সফল। ``
এর সমর্থনে তিনি বলেন- ইলিয়াস নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় বিরোধী দল গাড়ি পোড়ানো, ভাংচুর, হত্যা, বিশৃংখলার মত ঘটনা ঘটিয়েছে। সিলেটের বিশ্বনাথে থানা-টিএনও অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে।
সেসব বিশৃঙ্খলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে শক্ত হাতে দমন করতে পেরেছি।
এসব বিষয়ের উল্লেখ করে সাহারা দাবি করেন, তিনি সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা মিডিয়ায় বলেছেন, সরকারের সর্বোচ্চ সহল থেকে তার স্বামীকে উদ্ধারের ব্যাপারে আশ্বস্ত করার পরও ৭দিন কেটে গেছে। তারপরেও প্রশাসন থেকে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি- এ প্রসঙ্গের উল্লেখ করে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ``যখন প্রয়োজন হবে তখন অবশ্যই যোগাযোগ করা হবে। ``
তিনি বলেন, ``ইলিয়াস আলীর স্ত্রী জানিয়েছিলেন, পুবাইলে গেলে তার স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাবে।
র্যাব-ডিবি আন্তরিক সহযোগিতা করেছে। তিনি পুবাইল অভিযান থেকে ফিরে বিরোধী দলের নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ইলিয়াসের স্ত্রী বলেন, র্যাবের সঙ্গে আমি যাইনি। ``
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদেরেএ বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে প্রশ্ন করেন, ``এ ধরনের মিথ্যা কথা কেন?``
সাগর রুনি-হত্যা মামলার তদন্ত সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ``তদন্ত এগিয়ে চলেছে। `` ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।