২০০৮-২০০১১ সালের মধ্য সাহারা রিয়েল এস্টেট ১৯ হাজার কোটি টাকা বেশি অর্থ সংগ্রহ করে বিভিন্ন বন্ড এবং ডিভেঞ্চারের স্কিমের মাধ্যমে সম্পূর্ন বেআইনী ভাবে। এর পর ২০১১ সাল শেষ হবার আগেই সংগ্রহ আরও ১৭ হাজার কোটি রুপির উপর ছাড়িয়ে যায় যা প্রায় ২ কোটি ২১ লক্ষ মানুষ থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী সাহারা গ্রুপ মোট ৭৩ হাজার কোটি রুপি সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছে সরাসরি বিভিন্ন বিনিয়োগকারী হতে। আমাদের ডেস্টিনি আসলেই নস্যি তার কাছে।
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশঃ
২০০৮ সালে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া “সাহারা ইন্ডিয়ার ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশনের” বিরুদ্ধে অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে।
একই বছর “সাহারা ইন্ডিয়া ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশনকে” নির্দেশ দেয় যেন তারা আর যেন নতুন কোন ডিপোজিট গ্রহণ না করে। সাহারা এর বিরুদ্ধে লখনৌ হাইকোর্টে গেলে হাইকোর্ট মামলা খারিজ করে দেয়, কেননা এখানে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ জড়িত।
ইনস্যুরেন্স রেগুরলেটারি এন্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটির জরিমানাঃ
ভারতের ইনস্যুরেন্স সেক্টর রেগুরলেটারি বোর্ড সাহারা লাইফ ইনস্যুরেন্সের বিরুদ্ধে জরিমানা করে বিভিন্ন বেআইনি কর্মকাণ্ড করার জন্য।
সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইণ্ডিয়ার আদেশ এবং সাবধানবানীঃ
সাহারা রিয়েল এস্টেট কর্পোরেশন লিমিটেডের অধীন “সাহারা প্রাইম সিটির” স্কিমে অবৈধ ভাবে বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা। যার ফেসভেলু নির্ধারিত হয় ৫০০০ থেকে ২৪০০০ রুপি পর্যন্ত।
এই ধরনের ডিবেঞ্চার (মূলত OFCD) বিনিময়ের জন্য উপযুক্ত তথ্য সাহারা গ্রুপ প্রকাশ করেনি।
ভারতীয় রাষ্ট্রীয় আইন এবং বিভিন্ন নিয়মকানুন ভেঙ্গে অবৈধ ভাবে অর্থ সংগ্রহের পাঁয়তারা করার জন্য ২০১১ সালে “ভারতীয় সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন” সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার এবং সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে মামালা প্রদান করে। ২৪ নভেম্বার ২০১১ সালে সাহারা গ্রুপ এর অর্থ সংগ্রহের উপর তাঁরা নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুঃ
দিল্লী কোর্ট ২০১১ সালে এই সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে, ফ্ল্যাট ক্রয়-বিক্রয় ফটকাবাজির জন্য। ফেব্রুয়ারি ৯ তারিখে দিল্লীর প্রধান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত রায়কে গ্রেপ্তার করার জন্য সমন জারি করে।
নিরাজ পান্ডে নামক এক ব্যক্তি দায়ের করা মামলার উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে এটা করা হয়।
নিরাজ পান্ডের ভাষ্য অনুযায়ী সাহারা ২০০৩ সালে “সাহারা স্বর্ণ যোজনা” নামক একটা টাউনশিপ স্কিম চালু করে, যার মূল্য ছিল নিম্নে এক লক্ষ রুপি। যা ৬ বছরেও শুরু করা হয়নি এবং ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহঃ
সুব্রত রায় সাহারার ভাষ্য অনুযায়ী গত বছর আওয়ামীলীগ নেতা শেখ সেলিম তার সাথে দেখা করে তাকে বিনিয়োগ করার জন্য বলেন। এই বছর বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং এদেশে তাদের প্রকল্পের / সাবসিডিয়ারির নাম রাখা হয়েছে “সাহারা মাতৃ ভূমি উন্নয়ন সংস্থা” এবং এর প্রধান করা হয়েছে শেখ সেলিমের গুণধর পুত্র শেখ ফাহিমকে।
এবং শেখ সেলিম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই।
ভাই খবরটা পেলাম আর শেয়ার করলাম,আপনারা যদি এই ব্যাপারে আরও কিছু জেনে থাকেন তবে অবশ্যই মন্তব্যে জানান। ধন্যবাদ
সুত্র: Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।