বলিউডের অকালপ্রয়াত অভিনেত্রী জিয়া খানের আত্মহত্যার বিষয়বস্তু নিয়ে ‘বোল্ড বলিউড’ ছবি তৈরির ঘোষণা দিলেন চলচ্চিত্রনির্মাতা রিক্ষিত মাত্তা। সম্প্রতি ভারতের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ছবির মহরত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘বোল্ড বলিউড’ পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রপরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন রিক্ষিত। মহরত অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ‘জিয়া খানের অপ্রত্যাশিত ও হূদয়বিদারক মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর দেখার পর আমি প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছি, যদিও বলিউডে এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। ’ সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে জিনিউজ।
রিক্ষিত আরও বলেন, ‘বলিউডের ঝলমলে রঙিন জগতে সাফল্য পেতে একজন তারকাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। সাফল্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে অনেক তারকাই চোরাগর্তে পড়ে যান। হিন্দি চলচ্চিত্রশিল্পের এই অন্তর্নিহিত সত্য তুলে ধরার আন্তরিক প্রচেষ্টা থেকেই “বোল্ড বলিউড” ছবির কাজ হাতে নিয়েছি। ছবিটির একটি চরিত্রের সঙ্গে জিয়া খানের মিল খুঁজে পাবে দর্শক। চরিত্রটির মাধ্যমে বলিউডের একজন উঠতি অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিজীবনের উত্থান-পতনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
’
‘বোল্ড বলিউড’ ছবির প্রযোজক শাবানা হাশমি জানান, ‘গ্ল্যামারজগতের চাকচিক্যের আড়ালে যে অন্ধকার লুকিয়ে আছে, তা এই ছবির মাধ্যমে আমরা সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। ভবিষ্যতেও আমরা এমন সব বিষয়বস্তু নিয়ে ছবি বানাতে চাই, যা সমাজে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেবে এবং সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ’
‘বোল্ড বলিউড’ ছবির কাহিনি আবর্তিত হয়েছে তিনজন উঠতি অভিনেত্রীকে নিয়ে, যারা বলিউডে সাফল্য পাওয়ার আশায় মুম্বাইয়ে আসে। ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে রয়েছেন হ্যাজেল কিচ, সন্দীপা ধর, শোয়েতা ভরদ্বাজ, রাজপাল যাদব, মনোজ যোশি প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বলিউডের উঠতি অভিনেত্রী জিয়া খান ৩ জুন রাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
সুইসাইড নোটে নিজের মৃত্যুর জন্য প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলিকে দায়ী করে যান তিনি। জিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে ভারতীয় পেনাল কোডের ৩০৬ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলিউডের অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সুরজকে। এখন সুরজ জেলহাজতে আছেন। সম্প্রতি তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন মুম্বাই আদালত।
জিয়া খান শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম অভিনয় করেছিলেন ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দিল সে’ ছবিতে।
এরপর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ২০০৭ সালে অভিনয় করেন রাম গোপাল ভার্মার ‘নিঃশব্দ’ ছবিতে। এ ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে অভিনয় করে সবার নজর কাড়েন জিয়া। পরে অভিনয় করেন ‘গজনি’ (২০০৮) ও ‘হাউসফুল’ (২০১০) ছবিতে। ২৫ বছর বয়সী জিয়া খানের বেড়ে ওঠা যুক্তরাজ্যে। কিছুদিন আগে মা রাবেয়া আমিনের সঙ্গে যুক্তরাজ্য থেকে মুম্বাইয়ে চলে আসেন তিনি।
থাকতেন মুম্বাইয়ের জুহু বিচ-সংলগ্ন ‘সাগর সংগীত’ নামের একটি ফ্ল্যাটে। সেখানেই গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন জিয়া।
বলিউডে ডুবন্ত ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক দিন থেকেই হতাশায় ভুগছিলেন জিয়া খান। আট মাস আগে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কবজির রগ কেটে মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করলেও সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন এ উঠতি অভিনেত্রী।
তাঁর ঘরে ভেষজ ঘুমের বড়িও খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।