আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পৃথিবীর সেরা ১০ দ্রুতগতির স্পোর্টস বাইক!

আই হেট ছাগু আজ আলোচনা করব পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতির দশটা মোটর বাইক ( স্পোর্টস বাইক) নিয়ে। যথারীতি কাউন্টডাউন ১০ থেকে শুরু করা যাকঃ ১০) Suzuki GSX-R 750 ৭৪৯ সিসি ও ১৫০ হর্সপাওয়ার এর এই বাইকটা ফ্রন্ট ব্রেক ডাবল ডিস্ক ও রেয়ার ব্রেক সিঙ্গেল ডিস্কের। ১৯৮৫ থেকে এই মডেল যাত্রা শুরু করে। এ পর্যন্ত ২৫ টির চেয়েও বেশী ভেরিয়েন্টে এই মডেল বের হয়েছে। এই বাইক টির সর্বোচ্চ স্পীড ২৬৯কিমি/ঘন্টা (প্রায়) বেস প্রাইজঃ $১১,৮৫০ ইউ এস ডলার বা ৳ ৯,৪৮০০০ টাকা।

৯) Ducati 1098S ইটালিয়ান এই বাইক টি ২০০৭ সালে প্রথম বাজারে ছাড়া হয়। বাজারে বের হবার পর থেকে চক্রবৃদ্ধিহারে এই বাইকের ফ্যান বাড়তে থাকে, এবং এখনও বেড়েই চলেছে। এই বাইককে অনেকে "Ten-nine-eight" নামেও ডাকেন। ১০৯৯সিসি এবং ১৬০ হর্সপাওয়ারের এই বাইক ০-৬০ মাইল মাত্র ৩ সেকেন্ডে পার হয়ে যায়। টপস্পিড: প্রথমে ১৮০ মাইল/ঘন্টা বা ২৯০ কিমি/ঘন্টা ছিল।

কিন্তু বাইকের ওভারল পারফরমেন্স এবং ড্রাইভারের নিরাপত্ত্বার জন্য এটা পরবর্তীতে ২৭৫কিমি/ঘন্টায় নামিয়ে আনা হয়। ৮) Honda CBR1000RR পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অটোমোবাইল কোম্পানী জাপানের "হোন্ডা" ২০০৪ সালে বাজারে আনে Honda CBR1000RR মডেল যা "Fireblade" নামে পরিচিত। ১৭৮ হর্সপাওয়ার এবং ৯৯৯সিসির এই বাইক হোন্ডার MotoGP টেকনোলোজি এবং একই টেকনিশিয়ান টিম দ্বারাই তৈরী করা হয়। টপস্পিড: ২৭৭ কিমি/ঘন্টা (প্রায়) ৭) MV Augusta F4 R312 প্রখ্যাত ইটালীয়ান ডিজাইনার Massimo Tamburini এই বিখ্যাত বাইকটির ডিজাইন করেন। ১৮৩ হর্সপাওয়ার ও ৯৯৮সিসির এই বাইক ২০০৭ সালের শেষের দিকে বাজারে আনা হয়।

সবোর্চ্চ স্পীড ৩১৪ কিমি/ঘন্টা ( MotoGP এডিশন ) এখন নিরাপত্ত্বার জন্য বর্তমানে ২৮২ কিমি/ঘন্টায় নামিয়ে আনা হয়েছে ৬) Yamaha YZF- R1 ইয়ামাহা কোম্পানীর তৈরী সেরা একটা বাইক। আকর্ষনীয় ডিজাইন আর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এর এই বাইক ১৭৯.৬ হর্সপাওয়ার ও ৯৯৮ সিসি সম্বলিত। ১৯৯৮ সালে এই বাইক প্রথম আসার পর থেকে এপর্যন্ত বেশ কয়েকটি ভার্সন বেড়িয়েছে এবং অসম্ভব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সবোর্চ্চ স্পীড ১৮৬ মাইল/ঘন্টা বা ২৯৯ কিমি/ঘন্টা বর্তমানে ২৮৫ কি.মি তে ডাউনগ্রেডকৃত। ৫) Suzuki GSX-R1000 ১৯১ হর্সপাওয়ার ও ৯৯৯ সিসির এ বাইকটার ওজন প্রায় ২০৩ কেজি।

এই বাইক এর কোডনেম Gixxer। ২০০৮ সালে Suzuki তাদের অন্যতম স্পোর্টস বাইক GSX-R1100 এর জায়গায় এই বাইককে স্থলাভিষিক্ত করে। সবোর্চ্চ স্পীড ১৮৯ মাইল/ঘন্টা বা ২৮৮কিমি/ঘন্টা (প্রায়) ৪) Kawasaki Ninja ZX-10R ২০০৪ সালে কাওয়াসাকি এই বাইকটি বাজারে আনে। ১৯৮ হর্সপাওয়ার এবং ৯৯৮ সিসির এই বাইকটির ওজন প্রায় ১৯৬ কেজি এবং ফুয়েল ইকোনমি ১০০কিমি/৭.২৬লিটার। সবোর্চ্চ স্পীড ২৯০ কিমি/ঘন্টা (প্রায়) ০-৬০ কিমি: ২.৮৪ সেকেন্ড।

৩) Kawasaki Ninja ZZR1400 Kawasaki ব্রান্ডের এই বাইকটি জাপান ও ইউরোপে Kawasaki Ninja ZZR1400 এবং উত্তর আমেরিকায় Kawasaki Ninja ZX-14 নামে পরিচিত। ১৯০ হর্সপাওয়ারের এই বাইক মাত্র ২.৮সেকেন্ডে ১০০কিমি স্পিড তুলতে পারে। ১৩৫২সিসি এবং ২৫১.৭ কেজির এই বাইক ২০০৬ সালে বাজারে আসে। এটিই কাওয়াসাকির সবচেয়ে পাওয়ারফুল বাইক। সবোর্চ্চ স্পীড ১৮৭মাইল/ঘন্টা বা ৩০০ কিমি/ঘন্টা (প্রায়) ২) Suzuki Hayabusa এই বাইকটি সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানে।

বলিউড ব্লকবাষ্টার "ধুম" ছবিতে জন আব্রাহামকে এই বাইক চালাতে দেখা যায়। ১৯৭ হর্সপাওয়ার ও ১৩৪০ সিসির এই সুপার বাইকের ওজন ২৬৮.৫ কেজি। এই বাইক ১৯৯৯ সালে প্রথম বাজারে আসে। Hayabusa নামটি একটি পাখির নাম থেকে নেয়া। যার বৈজ্ঞানিক নাম "peregrine falcon" এই পাখি ভার্টিক্যালী হান্টিং করে ২৯০ থেকে ৩৩০ কিমি/ঘন্টা গতিতে।

Suzuki Hayabusa ৬.৪ লিটার ফুয়েলে ১০০কিমি চলতে পারে। সবোর্চ্চ স্পীডঃ প্রথম দিকে Hayabusa ৩২৫কিমি/ঘন্টা সবোর্চ্চ স্পীড ছিল, যেটা এযাবৎ কালের সর্বোচ্চ গতি কোন বাইকের জন্য। পুনঃ পুনঃ দূর্ঘটনা ঘটার প্রেক্ষিতে এই স্পিড বর্তমানে কমিয়ে ৩০২কিমি/ঘন্টা করা হয়েছে। [ইন্ডিয়ায় প্রথম বার ২০০৮ সালে Hayabusa বিক্রির জন্য আনা হয়। সে বছরই ১০০+ Hayabusa বিক্রয় হয় যার প্রতিটার মূল্য ছিল ১২,৫০,০০০ রুপি।

] ১) BMW S1000RR BMW Motorrad এর তৈরী এই বাইকটিই বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতির বাইক। ২০৭ কেজি ওজন ও ৯৯৯ সিসির এ বাইক ২০০৯ সালে বাজারে আসে। ০-১০০কিমিঃ ৩.১ সেকেন্ড সবোর্চ্চ স্পীড ৩০৬ কিমি/ঘন্টা এই বাইকের ফুয়েল ধারন ক্ষমতা ১৭.৫ লিটার। প্রতি ১০০ কিমি যেতে এই বাইক ৬.১৩ লিটার ফুয়েল খরচ করে। আগের পোষ্টঃ বিশ্বকাপানো সেরা দশ গাড়ী।

উৎসর্গঃ মুঠোকাব্যর কবি আরজুপনি ফয়সাল তূর্য ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.