মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন নোবেল বিজয়ী মুহম্মদ ইউনূসের প্রতি সমর্থন দিয়ে বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে না। বিবিসি অনলাইন আজ রোববার এ খবর প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়, গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য মুহম্মদ ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। গ্রামীণ ব্যাংক গরিবদের বিশেষভাবে নারীদের ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে থাকে, যাতে তারা ব্যবসা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু গত বছর বাংলাদেশ সরকার ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে সরকারের বক্তব্য হলো, ইউনূস অবসরের সর্বোচ্চ বয়সসীমা লঙ্ঘন করেছেন।
এদিকে আজ রোববার সকালে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনার বাসভবনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। এক প্রশ্নের জবাবে হিলারি বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের কাজে কেউ অনধিকার চর্চা বা প্রতিষ্ঠানটির কাজে বিঘ্ন ঘটায়, এমন কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখতে চাই না। প্রতিষ্ঠানটির অনন্য সাংগঠনিক কাঠামো যেখানে কেবল গরিব নারীরাই প্রতিষ্ঠানটির মালিক, তাতে কেউ হস্তক্ষেপ করুক, এটাও আমরা চাই না। ’
ক্ষুদ্রঋণের প্রবর্তক মুহাম্মদ ইউনূস সত্তরের দশকে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।
ক্ষুদ্রঋণের সহায়তা দিয়ে তিনি কোটি কোটি মানুষের দারিদ্র্য দূর করেন। ২০০৬ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার পান। গত বছরের মার্চে বাংলাদেশ ব্যাংক অধ্যাপক ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়। এর পেছনে সরকারের ভাষ্য ছিল, সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইউনূস আদালতে আপিল করেন।
কিন্তু গত বছরের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন। ইউনূসের সমর্থকেরা মনে করেন, তাঁর অপসারণ ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিবিসি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।