আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এরপরেও কি একটু শিক্ষা হবে না !!!!

চলছে একটি মেয়ে, শিহাব তাকে পুরোপুরি দেখতে পায়নি। তারুণ্যের নেশায় সে পেছন খেকে খারাপ খারাপ মন্তব্য করতে লাগলো। মেয়েটি কিছু না বলে কতটুকু এগিয়ে গেলো। তারপর একটু থমকে দাড়িয়ে ফিরে আসতে লাগলো। শিহাব আতঙ্কিত হয়ে গেল! কারণ সে রাস্তায় মেয়েটিকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার পর মেয়েটি তার দিকেই এগিয়ে আসছে! কি ব্যাপার? মেয়েটি কি তার অশ্লীল মন্তব্য গুলো শোনেনি? অন্য মেয়েরা তো কোথাও কোন বাজে মন্তব্য শুনলে তাড়াতাড়ি সেই জায়গা থেকে চলে যায়! নাকি বাজে মন্তব্য শোনার পর মেয়েটি এখন চড়-টড় দিয়ে অপমান করতে আসছে! তাহলে তো প্রেস্টিজ পাংচার!সে বড়ই টেনশনে ভুগতে লাগলো।

অজানা আতংকে তার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। ইচ্ছে করছে দৌড়ে পালিয়ে যেতে কিন্তু সে পারছে না। পারছে না পালাতে.....। মেয়েটা কাছে আসার পর সে অবাক হলো! এটা তো তারই ছোট বোন! তার গায়ে স্কুল ড্রেস এবং মাথায় ছাতা ছিলো বলে দূর থেকে তার মুখটা বোঝা যায়নি। সে কাছে এসে শিহাবকে বললো, --ভাইয়া, তুমি সকাল থেকেই কিছু খাও নি।

আম্মু তোমাকে খেতে ডাকছে। (মেয়েটা শিহাবের বাজে মন্তব্যগুলো হয়তো শুনেনি। নয়তো শুনেও ভাইকে অপমান করতে চায়নি বলে না শোনার ভান করেছে। ) মেয়েটি চলে যাবার পর শিহাব কাঁদতে লাগলো। তারপর বললো, --আমি প্রতীজ্ঞা করছি।

আজ থেকে আর কোনদিন কোন মেয়েকে ডিস্টার্ব করবো না। কারণ আজ আমি বুঝলাম। যাকে আমি ডিস্টার্ব করছি, সে হয়তো আমার মতই কোন এক ভাইয়ের বোন। আর পৃথিবীর কোন ভাই-ই তার বোনের অপমান সহ্য করতে পারে না। এভাবেই হয়ত আমরা না জেনে,নাবুঝে প্রতিনিয়ত করে চলেছি ঈভটিজিং।

এর সর্বগ্রাসী খোরাকে হয়ত আমরাই খাদ্য হয়ে যাব,যার থেকে ফিরতে চাইলে হয়ত আর ফিরতে পারবনা..তাই সবাই ঈভটিজিংকে না বলুন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.