জগতের সবচে অলস মানুষদের একজন। দিনে ১২-১৮ ঘন্টা শুয়ে কাটাই।
আজ সকালে আজিমপুর মোড়ে বুয়েটের এক ছাত্র বাসচাপায় মারা যায়।
ছেলেটি মাত্র বুয়েটে ক্লাস শুরু করেছিল ১ সপ্তাহ হল মাত্র । বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে সম্রাট আজ আর নেই ।
ঘাতক বাসের নিষ্ঠুর চাকা তার সারাজীবনের লালিত স্বপ্ন শুরুতেই শেষ করে দিল । না ছেলেটি রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিল না বা তারাহুড়া করে বাসেও উঠতে যায় নি । রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটির জীবন নিয়ে নিল ঘাতক উইনার বাসের ড্রাইভার । প্রথমে ছেলেটিকে সে রাস্তায় ফেলে দেয় তখন পথচারীদের চিৎকার না শুনে বাস না থামিয়ে অসহায় ছেলেটির উপর দিয়ে চাকা চালিয়ে দেয় । আজ সম্রাটের বাবা মাকে আমরা কি জবাব দিব? সেই বাবাকে যে দিনকয়েক আগে এসে তার হলের রুম সাজিয়ে দিয়ে গেছে।
আমারা দুঃখিত সম্রাট আমরা বড় অসহায় তোমার মৃতুর পর আন্দোলন করার মত কাজ আমরা করতে পারি। তোমার মেধাবী জীবনের সুন্দর স্বপ্নের জন্য এখন আমরা কেবলি আফসোস করতে পারি। কিন্তু আমরা ফিরিয়ে আনতে পারি না তোমায় । তোমার মা-বাবার দুঃখ বোঝার ক্ষমতাও নেই আমাদের । ক্ষমা করে দিও সম্রাট ক্ষমা করে দিও।
সম্রাটের মৃত্যুর পর হয়ত কিছুদিন ক্যাম্পাসের আশেপাশে বাস চলবে না কিছুদিন সবাই বলাবলি করবে তার কথা কিন্তু প্রসাশন কি নিশ্চয়তা দিতে পারবে আর কোন সম্রাটের স্বপ্ন শুরুতেই বিলীন হয়ে যাবে না। কিছুক্ষন আগে এক পুলিস অফিসারের সাথে কথা হচ্ছিল সে বলল এই ড্রাইভার আদালতে গেলেই নাকি যামিন পায়ে যাবে । মালিক চালক সমিতির চাপে আইন খুব একটা কঠোর নয় । তাহলে আর কত সম্রাটের বিদায়ের পর প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করবে কবে ঘাতক চালকের পথচারীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করবে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।