দেশ তো স্বাধীন হল, মানুষ!
মানুষ কি নিঃশ্বাসে স্বাধীনতার স্বাদ পেল?
ভাষা আমাদের হল, কণ্ঠ!
কণ্ঠ কি আর আমাদের কথা বললো?
ভোট দেয়ার অধিকার পেলাম, গণতন্ত্র!
গণতন্ত্র কি তার দীর্ঘশ্বাসে আগুন ঝরালো না?
ইতিহাসটা আমাদের হল, কিন্তু আপন!
আপন মানুষ কি কেউ হল?
মা কে শান্তি দিতে পারলাম, আর হাসি!
মার মুখের হাসি কই গেল? শুকিয়ে গেল কেন?
একটা সন্তান তো আজও ফিরে এলো না।
আকাশে তো সূর্য উঠলো, কিন্তু জানালায়!
ভোর তো নেমে আসলো না, ওপাশটা আজও আঁধারে ঢাকা থাকলো।
কি ঘটেছিল কখনওই জানা হল না।
একটা হাত গর্জে উঠেছিলো, তার হাতে হাতকড়া পরানো হল।
একটা মেয়ে মা হতে চেয়েছিলো, তাকে পতিতালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হল।
একটা কণ্ঠ বক্তৃতা দিতে চেয়েছিলো, তার জিভ কেটে নেয়া হল।
একজন সত্য বলতে দোউরেছিলো, তার হাটু ভেঙ্গে দেয়া হল।
একজোড়া চোখ চির চেনা বাংলার মুখ দেখতে চেয়েছিলো, চোখ উপড়ে নেয়া হল।
একটা কলম বিজয়ের কবি হতে চেয়েছিলো, পায়ের তলায় পিশে ফেলা হল।
একজোড়া পাখি আকাশে ঘর বাঁধতে চেয়েছিলো তাদের খেয়ে ফেলা হল।
একটা জাতি উঠে দাড়াতে চেয়েছিলো, তার মেরুদণ্ডটাই ভেঙ্গে দেয়া হল।
একটা পাতাকা একাই উড়তে চেয়েছিলো, হাতে রশি বেঁধে ধরে রাখা হল।
হাতগুলোর শুধু পরিবর্তন হল সময়ে সময়ে।
আমাদের নাকি স্বাধীনতা দেয়া হল, তো আমাদের বাক-স্বাধীনতা কার
বা কাদের বৈঠকখানায় সাজিয়ে রাখা হল?
আমাদের ভোট দেয়ার জন্য একটা দিন দেয়া হল, কিন্তু
আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কার বুক পকেটে রয়ে গেলো?
আমাদের নাগরিক বলা হল, আমার কাছে গালি মনে হল।
কেননা আমাদের মৌলিক অধিকারগুলো কুকুরের খাবার হল।
মনে নেই যুদ্ধের আগে কি কি হয়েছিলো? মনে নেই?
ব্যাবধান কোথায়?
মৃত্যুর পূর্বে উত্তর খোঁজা শীতল চোখদুটোর সাথে
শেষবার কথা হলো সে-রাতে।
এক নিঃশ্বাসে এক দৃষ্টিতে শেষরাব জানতে চেয়ে গেল
শেষবার চোখ বন্ধ হবার আগে।
উত্তর খুজতে দাবী জানাতে প্রশ্নগুলো
বরাবরের মত শেষবার, আরও একবার বলে গেল-
আমাকে দেশপ্রেমী একটি জাতি দাও
আমি তোমাদের একটি স্বাধীন দেশ দেবো,
আমাকে জনগণের পক্ষে একদল স্বৈরশাসক দাও
আমি তোমাদের গণতন্ত্র দেবো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।