সব হৃদয়ের গল্প বলি, রংধনুটাকে রং করি, নির্ঘুম চোখের কথা নিয়ে বৃষ্টির মত ঝরে পড়ি
গত সারাদিন অনেক কাজ করে খুবই ক্লান্ত হয়ে রাত্রে শোয়ামাত্র ঘুমদেবী আমার উপর ভর করলেন। শুধু ভরই করলেন না বরং তিনি আমাকে একখান ব্লগীয় আড্ডাসংক্রান্ত কিছু অস্থির-স্থির কথাবার্তা এবং কিছু অতি পরিচিত মুখ চোখ বন্ধ অবস্থায় আমার সামনে তুলে ধরলেন।
এবার পুরো ঘটনাটা আপনাদের বলি। ...
.
দৃশ্যপট এমন যে এক বিকেলে পল্টন মোড়ে দাড়িয়ে আছি সুর-তরঙ্গ নামক পরিচিত মিউজিক স্টোরের সামনে। সেখান থেকে ভেসে আসছে এক পরিচিত গানের সুর...
ও বন্ধু তোকে মিস করছি ভীষণ...
তুই ছাড়া যে কিছু ভাল লাগে না এখন...
সম্ভবত পার্থ'র গান এটা।
যাই হোক গান শুনছি আর দেখছি অফিস শেষ করে বের হওয়া মানুষগুলোর বাস ধরার প্রতিযোগিতা আর মনে মনে ভাবছি আসলেই অনেক বন্ধুকে এখনও অনেক বেশি বেশি মিস করি... অনেকে আছে স্বশরীরে পরিচিত আবার অনেকে আছে ভার্চূয়ালী ভাবে পরিচিত বন্ধু।
আচ্ছা বন্ধু তো বন্ধুই.. তাই না ???
সে হোক আমার সামনা-সামনি
আর হোক না ভার্চূয়ালী........
..........................এসব মনে মনে ভাবছি আর ফুটপাত ধরে সামনে এগোচ্ছি.... এমন সময় দেখি গ্রান্ড আজাদ হোটেলের সামনের গলি থেকে দু'জন হ্যান্ডসাম যুবক সোজা মেইন রোডের দিকে আসছে... এদের মধ্যে একজনকে . . . . . . .
দেখে মনে হয় যেন চিনি উহারে....
আরে সত্যিই তো কোথায় যেন দেখেছি এই লোককে..হুমমম মনে করতে পারছি......না...আ..আ... আ...আ
হ্যা মনে পড়েছে এটাতো সামুর কারো এক প্রোফাইলের পিকচারে দেখেছিলাম। কাজে কিঞ্চিৎ ভয় থাকা সত্তেও কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম ভাইয়া আপনি কি সামহোয়ারইন ব্লগে ব্লগিং করেন?
তখন তিনিও অবাক হয়ে বললেন যে হ্যা কিন্তু আপনি ??
আমি নিজের পরিচয় দিলাম এবং জানলাম উনার নাম মোজ্জাম্মেল প্রধান
আর উনার সাথে যে আর একটি যুবক দেখেছিলাম উনিও নাকি ব্লগার !!
শুইন্যা তো আমি পুরা টাশকিত!!!!
তার নাম হচ্ছে সায়াদ......
হায় আল্লাহ... দু'দুজন ব্লগার বন্ধু এখন আমার সামনে!!!!
আমি আনন্দে আত্মহারা
একটু আগেই আমি পার্থর গান শুনে বন্ধুদের কথা ভাবছিলাম
আর সাথে সাথে দু জান ভার্চূয়াল বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেল..
কি চমৎকার !!!!!
আমরা তিনজনে একত্রে বসে নিজেদের সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদান করলাম। জানলাম মোজাম্মেল প্রধান এবং সায়াদ ভাই.. দুজনই নাকি একই বিল্ডিং এ দুটি ভিন্ন অফিসে কাজ করেন।
এরপর আমরা রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে গল্প করতে লাগলাম।
হঠাৎ দেখি কিছুদূর পর পর-ই আরো কয়েকজন ব্লগার। কয়েকটা ছোট ছোট জটলা এখানে সেখানে !!!!
কাছে গিয়ে দেখি কিছু পরিচিত মুখ
তারা হলেন:
১. ইশতিয়াক আহমেদ
২. আব্দুল্লাহ আল মনসুর
৩. ক্যামেরাম্যান
৪. রাতমজুর
৫. এস রহমান
৬. মিতামারিয়া
৭. কাব্য
৮. লুকোচুরি
৯. যীশূ
১০. আবু সালেহ
১১. ন হন্যাতে
১২. অমিত হাসান
১৩. আফতাব তুহিন
১৪. বৃত্তবন্দী
১৫. দূর্ভাষী
১৬.রাহিদুল সামান্না রকি
১৭. সালাউদ্দীন আহমদ
১৮. জানপরী
১৯. মো: লুৎফর রহমান
২০. সাধারনমানুষ
২১. দন্ডিত (আরিফুল হোসেন তুহিন)
২২. ঋফায রহমান
২৩. জয় সরকার
২৪. ম্দু
২৫. হেমায়েতপুরী
২৬. মো: মোফাচ্ছির হোসেন
২৭. অন্যরকম
২৮. ইউনুস খান
২৯. মহসিন বেস্ট
৩০. নগরে নাগরিক
৩১. লেনিন
৩২. কুয়াশায় ডাকা
৩৩. রাত্রী
৩৪. কাঙাল মামা
৩৫. বাগসবানী
৩৬. অন্যরকম
৩৭. উদ্দীপন
৩৮. স্পর্শহীন কিছুদিন
৩৯. এহসান জুয়েল
৪০. মন মানে না
৪১. শিবলী
৪২. শিশির
৪৩. মু. নূরনবী
৪৪. বাংলাদেশ ফয়সাল
৪৫. আমি আমার
৪৬. নীল ভমরা
৪৭. মামুনুর রহমান খাঁন
৪৮. সুমন আহমাদ স্বাধীন
৪৯. সুজন মৌলিক
৫০. জীবলু
৫১.শাওন
৫২.তাজা কলম
৫৩. নিহন
৫৪.শফিকুল
৫৫.পাহাড়ের কান্না
৫৬.বোহেমিয়ান কথকথা
৫৭. রাজ০০৭
৫৮.আজমান আন্দালিব
৫৯.স্বপ্নকথক
৬০.সাইফুল বাতেন টিটো
৬১.নীল বাউল
৬২.১৯৭১স্বাধীনতা
তাদের সাথেও অনেক কথা হল এবং সবাই বলল তারাও ব্লগ আড্ডায় যোগ দিতে চায়। ব্যাস শুনে তো আমার খুবই খুশি লাগছিল। কিন্তু এর মধ্যে আবার ২/৩জন ব্লগার ভিন্নমত পোষণ করলেন। তারা হলেন
র হাসান
বিডি আইডল
তখন চিন্তা করলাম একটা বাক্য আর তা হল
Majority must be granted
কাজেই কিছু লোকের জন্য তো আর এই মিলনমেলা বন্ধ করা যায় না।
তবুও আমরা তাদের অনুরোধ করলাম আড্ডায় আসার জন্য।
এমনসময় দেখি হঠাৎ আকাশ অন্ধকার হয়ে গেল চারিদিকের সব ব্লগাররা উধাও!!!!
দেখি আকাশ থেকে নেমে আসছেন অপ্সরা আপু দেখে তো প্রথমে আমি ভয়ই পেয়ে গেছিলাম।
আপু বললেন কিরে তোরা দেখি পল্টনে আড্ডার কথা বলছিস... জানিস না ঐখানে আড্ডা দেবার জায়গা না, ঐটা হইল বর্তমান রাজনৈতিক নেতাদের চাপাবাজির জাতীয় স্থান। ঐ ময়দান অনেক আগেই তার নৈতিক মর্যাদা হারিয়ে ফেলেছে। এখন ওখানে কোন সত্য কথা বলা হয় না।
কাজেই ওখানে এই ব্লগ আড্ডা কোন মতেই মেনে নেওয়া যায় না।
এরপর মাটি কাপিয়ে এলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় জানা আপা !!!
তিনিও এসে বললেন কি হচ্ছে এসব ??পল্টনে আবার আড্ডা দেবার জায়গা কোথায় ??
এরপর একে একে এলেন সাজি আপু, রাগিব ভাই, লোখাজোকা শামীম ভাই এবং সবশেষে এলেন আমাদের ব্লগীয় স্টার নাফিস ইফতেখার । তারা সবাই অপ্সরাপু এবং জানাপু'র সাথে সহমত প্রদান করল এবং আড্ডার স্থান চেন্জ করতে বলল।
তো আর কি করা , অনেক ভেবে চিন্তে আড্ডার স্থান নিধারণ করলাম নানা জাতের চেনা/অচেনা পত্র-পল্লবে ঘেরা, ছায়াঢাকা, পাখিডাকা, নিরিবিল একটা পুকুরের শান বাধানো ঘাট।
হ্যা এটাই বলধা গার্ডেন !!!
হুররে....কি মজা.. এত ভাল একটা স্থান পাইছি !!!! হুর....রে..এ..এ..এ..
(এই হুররে...টা এমন জোরে বলেছি যে আমার স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে গেছে এবং পাশের রুম থেকে আমার ৩ জন রূমমেট উঠে এসে জিজ্ঞাসা করছে কি হয়েছে ভাইয়া ? তখন তাকিয়ে দেখি ঘড়িতে বাজে ভোর রাত ৫.২৭মি.।
)
ঘুম থেকে উঠে পোষ্টটা লিখলাম, লোকে বলে সকালের স্বপ্ন নাকি সত্যি হয়। দোয়া করি যেন আজ এই স্বপ্নটা সত্যি হয়। সবার কাছ থেকে যেন আশানুরূপ সাড়া পাই।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
আজ ২৩শে অক্টোবর
বহুল কাংঙ্খিত সেই আড্ডার ক্ষণ
আজ বিকেল ৪ টা থেকে
বলধা গার্ডেনে
(টিকাটুলি, রাজধানী সুপার মার্কেট / সালাউদ্দিন হাসপাতাল এর পাশেই)
হাল্কা খাওন ফি : মাত্র ৫০ টাকা। (হাল্কা +/- হতে পারে)
গার্ডেনে প্রবেশ ফি : মাত্র ৫ টাকা (নিজ দায়িত্বে)
*** আড্ডা সফল করার জন্য নানা ব্যাতিক্রমধর্মী আয়োজন করেছে আমাদের সায়াদ ভাই।
যা আড্ডাতে আসলেই বুঝবেন।
যোগাযোগ :
মোজাম্মেল প্রধান : ০১৬৭৪৭৯১৫৫৪
এস.কে. ফয়সাল আলম : ০১১৯৫২২৪৪৯২
সায়াদ : ০১৯১৪২১০২৬০
আড্ডা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী পোষ্ট:
Click This Link
ব্লগারদের সরব উপস্থিতি কামনা করছি। ধন্যবাদ।
(স্বপ্নের বিষয়টি আমার অনুর্বর মস্তিষ্কের কল্পনার ফসল, কারো সাথে মিলে গেলে মোটেই কাকতালীয় হবে না
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।