কতিফয় ইসলামী ফতুয়া ।
১ । কোরআন ও হাদিসের সঠিক তাফছির ও মর্মার্থ না বুঝে দলিল
বা ফতুয়া প্রধান মাখরুহ বা ভুল ।
২/ মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া অজ্ঞ ব্যক্তি কে কাফের , নাস্তিক ,
বা মুরতাদ বলা হারাম । তবে সে যদি ভুল করে বা ভুল পথে চলে
তাকে হেদায়েত করা অপর মুসলিম এর জন্য ফরজ ।
এবং অজ্ঞ হলে বা শহীদ হলে তাকে জানাজা পড়ানো মহল্লা বাসির জন্য অয়াজিব । তবে জীবদ্দশায় ইসলামী শিক্ষা ফরজ ।
৩ / সুদ , ঘুষ , ভ্যবিচার , যিনা , বেপর্দা হওয়া ইসলামী শরিয়তে এসবে লিপ্ত থাকা বা সমর্থন যোগানো সম্পূর্ণ হারাম ।
অফিস , আদালত , বা কাজ কর্মে নারির অধিকার ও স্বাধীনতা
থাকবে তবে হিজাব বা শরীর ঢেকে , এটা নারির জন্য দাইমি ফরজ । লঙ্গন বা অস্বীকার কারি মহিলা জাহান্নামি ।
৪ / ইসলামী আইন কোরআন হাদিস ব্যথিত কেহ বানোয়াট
দলিল দিয়ে দেন দরবার করার চেষ্টা করা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং শরিয়ত লঙ্গনের দায়ে সেই ব্যক্তি হবে মুনাফিক দের দলভুক্ত । আর মুনাফিকের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্নস্তরে ।
৫,/ ইসলাম এর আদর্শ এবং সম্পূর্ণ জীবন বিধান দিক নির্দেশ
আল্লাহর প্রিয় মাহবুব হযরত মোহাম্মদ সা সম্পর্কে তিল পরিমান সন্দেহ পোষণ কারী বা কটূক্তি কারি সরাসরি বেঈমান
আর বেঈমান এর হাশর হবে জাহান্নামের প্রজ্জলিত অগ্নি ।
এ সম্পর্কে হযরত আলি রা বলেন
যারা নবীজীকে অবমাননা করবে এবং দম্ভভরে জগতে বিচরন করবে তাদের কতল করা অয়াজিব , ,।
৬ ।
মসজিদ , মাদ্রাসা , মাট এবং কবর কে হেফাজত করা অয়াজিব । কিয়ামত দিবসে সব কিছু ধংশ প্রাপ্ত কিন্তু আল্লাহর
এবাদতের শামিল যেখানে বান্দা সিজদায় লুটায় , অতঃপর ভয়ে
তার নিকট অনুতপ্ত হয় , ক্ষমা চায়, সে স্থান রহমতের
এবং তা ধংশ হবেনা ।
৭ । মানুষকে ভালবাসা , সুখ দুঃখে পাশে থাকা , সাহায্য করা
একে অপরের মহব্বত বজায় রাখা মুসলমানদের জন্য জান্নাতের
সুসংবাদ । আর বর্তমান যামানা সম্পূর্ণ সামাজিক রিতি কি
এর বিপরিত নয় ?
৮ / ভাল কাজে সাহায্য , আদেশ এবং মন্দ কাজ হতে দূরে থাকার জানান দেওয়া ফরজ ।
কারন আল্লাহ পাক এত রহমত ও দয়াবান যে তিনি ইচ্ছা করলে বান্দার পাহাড় পরিমান গুনাহ
সামান্য একটি ভাল কাজের বিনিময়ে ক্ষমা করে দিতে পারেন ।
৯ , পিতামাতার প্রতি সন্তানের হক এবং সন্তানের প্রতি পিতামাতার দায়িত্ব কর্তব্য পালন ,
নবীজী বলেন , পিতামাতার প্রতি সন্তান সুনজরে তাকাইলে
একটি কবুল হজের ছওয়াব পাওয়া যায় । সাহাবি বললেন ইয়া রাছুল্লুল্লাহ সা যদি দৈনিক ১০০ বার সুনজরে তাকাই ১০০ কবুল
হজের ছওয়াব ।
নবীজী বলেন সন্তান যদি জগতে দিনি শিক্ষা না পায় , বা পাপ
কাজে লিপ্ত থাকে তাহলে হাসরে এর জন্য পিতামাতাকে জবাব দিহির সম্মুখিন হতে হবে । এতএব সন্তানের হক আদায় করা পিতামাতার প্রতি ফরজ ।
১০ / আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা বা অস্বীকার করা
কবিরা গুনাহ যা তওবা ছাড়া মাফ নাই ।
আল্লাহ বলেন না জেনে গুনাহ করলে পাপ শিতল করা হবে
কিন্তু জেনে শুনে গুনাহের শামিল যারা তারা শয়তানের অন্তর্ভুক্ত । আর শয়তানের নির্ধারিত স্থান ভয়ংকর চিরজাহান্নাম ।
১১, লোক দেখানো এবাদত আল্লাহর নিকট অপছন্দনিয় ,
খাটি দিলে সঠিক নিয়াতে খোদার দরবারে যে এবাদত তাই
আল্লাহর অধিক নৈকট্য ।
আর মুমিনদের জন্য দয়াল নবীজীর রহমত এবং সুসংবাদ
জান্নাতের বাগানে আল্লাহর দিদার ।
তাই এস হে মানব
পুন্য পথের এক রত্ন ঠিকানায়
যেথায় শুধু মহতের বানী ফুটে
নবী ওখোদার দেওয়া রহমতি সওদায় ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।