আপনার বাইকটাকে আরো ফাষ্ট চালাতে চান? কম কষ্টে বেশী পথ যেতে চান? স্মুদ শিফটিং চান?
এর জন্যে আপনার সাইকেল সম্পর্কে স্পেশাল কোন নলেজ না থাকলেও চলবে শুধু নিচের কিছু ষ্টেপ অনুসরণ করুন...
১. সপ্তাহে একবার সাইকেলের চেইন পরিষ্কার করে তাতে লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করুন। অবশ্যই মোটর বাইকের ভারী লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা হতে বিরত থাকুন, কারণ এগুলো প্রচুর পরিমাণে ময়লা টানে। চেইনের ময়লা পরিষ্কার করা বাইক ফাষ্ট করার অন্যতম একটি উপায়।
২. ব্রেকের যে অংশগুলো নড়াচড়া করে সেগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। মেটাল অংশগুলোতে লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করতে পারেন তবে অল্প পরিমাণে।
৩. ব্রেক প্যাডগুলো পরীক্ষা করে দেখুন। বিশেষতঃ
* দেখুন প্যাডগুলো সারিবদ্ধ অবস্থায় আছে কিনা
* প্যাডের সামনের অংশটা এমনভাবে থাকবে যেন অল্প ব্রেক চাপলে সেটা রিম স্পর্শ করবে আর কষে ব্রেক চাপলে সেটা রিমের সাথে পুরুপুরি লেগে যাবে। এটা ঠিক মত করতে পারলে ব্রেক চাপার সময় চি চি শব্দ কমে যাবে।
* ব্রেক প্যাডের মাঝে কোন মেটাল বা বালু জাতীয় কিছু থাকলে তীক্ষ্ণ ধারালো কিছু দিয়ে পরিষ্কার করে দিন। এতে করে আপনার রিমে কোন দাগ পড়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।
৪. লাষ্ট একটা টিপস যেটা আপনার বাইকের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সর্বাধিক প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে সেটা হল, টায়ারে বাতাসের প্রেসারটা ঠিকঠাক রাখুন। কারণঃ
* প্যাডেল চালাতে আরাম বোধ করবেন।
* রিম ড্যামেজের হার কমে যাবে
* টায়ার দীর্ঘস্থায়ী হবে
৫. ব্র্যাণ্ড নিউ কেনার পর ৫০০-৭০০ কিলোমিটার চালানোর পরেই একটি সার্ভিসিং করিয়ে নিন। প্রথম সার্ভিসিং করানোর আগ পর্যন্ত গতি ২০-৩০ কি.মি/ঘন্টা রাখুন। মনে রাখবেন, যত ঘন ঘন সার্ভিসিং করাবেন, তত বেশি আপনার বাহন সুস্থ্য থাকবে।
৬. প্রতি ১০০০-১৫০০ কিলোমিটার অথবা আড়াই থেকে তিন মাস পর পর নিয়মিত সার্ভিসিং করান।
৭. ভাল মানের সরঞ্জাম ব্যবহার করুন, এতে এককালীন খরচ একটু বেশী পরলেও পরবর্তীতে বদলানোর ঝামেলা থেকে বেচে যাবেন।
৮. বাইরের চাকচিক্য ধরে রাখতে হলে বংশালে স্বল্প মূল্যে শাইনার ক্রিম পাওয়া যায়। নিজেই ঘষা-মাজা করে চকচকে করে রাখুন।
এইটুকুই করে দেখুন না, আপনার বাইকটা কিভাবে তার হারানো যৌবন খুজে পায়।
বাইক বিষয়ক এমন টিপস পেতে আমাদের পেজটিতে একটা ঢু মেরে আসতে পারেন।
এইখানে ক্লিক করুন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।