আমি নতুন কিছু পড়তে ভালবাসি আমরা জানি সাধারণত কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলে (বিশেষ করে বিশিষ্ট ব্যক্তি) সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা তাঁকে দেখতে যান। তাঁর বাড়িতে গিয়ে বাড়ির সদস্যদেরকে শান্তনা দেন। সরকারী দলের কোন কর্মীও যদি মারা যায় তাহলে অনেক সময় প্রধানমন্ত্রীও শোক বানী পাঠান।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যখন কোন ছাত্রলীগ কর্মী খুন হন তখন আমাদের স্বরাষ্টমন্ত্রী তার বাড়িতে গিয়ে কতধরনেরই না শান্তনার বানী শোনান।
বিশেষ কোন ঘটনায় দলীয় কোন নেতা আহত হলে তাঁকে দেখার জন্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও হাসপাতালে গিয়ে সহানুভূতি জানিয়ে তাঁর জন্য দোয়া করেন।
কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলেও বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর পরিবারে প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা আওয়ামীলীগের একজন সাধারণ নেতাও তাঁর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদেরকে শান্তনা দিলেন না। শান্তনার কথাতো দূরের ব্যাপার বরং নিখোঁজ এই নেতার চরিত্র হননের হেন চেষ্টা নাই যা সরকারী দলের লোকেরা করছেন না। প্রধানমন্ত্রী তো নিজে না গিয়েও কোন একজন নেতাকে তাঁর বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে সহানুভূতি জানাতে পারতেন।
একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছে সকলেরই অনেক কিছু চাওয়ার থাকে, এক্ষেত্রে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীরও ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়। এজন্যই হয়তো তিনি আজ বলেছেন যে, যে কোন শর্তে এবং প্রধানমন্ত্রী সুযোগ করে দিলে তিনি তাঁর সাথে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে চান।
যেখানে প্রধানমন্ত্রীরই উচিত ছিল এত বড় মানের একজন নেতা নিখোঁজ হওয়ার পরে ইলিয়াসের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে শান্তনা দেওয়া সেখানে তা না হয়ে বরং প্রধানমন্ত্রীর সাথেই এখন দেখা করার জন্য ইলিয়াসের স্ত্রী ধরনা দিচ্ছেন!
আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝে মায়া কান্না (আমার কাছে তাই মনে হয়) করে বলেন যে আমিও একজন মা আমি মায়ের কষ্ট বঝি। তাহলে বলি এখানে কি আপনি বুঝেন না যে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী কতটা মন কষ্টে ভুগছেন, তাঁর ছেলে-মেয়েরা বাবাকে না পেয়ে কতটা কষ্টে আছেন। আপনি যদি একবারও তাঁর বাড়িতে গিয়ে অথবা তাঁর পরিবারর সদস্যদেরকে ডেকে কোন ধরনের আশার বানী শোনাতেন তাহলে হয়তো তারা কিছুটা চিন্তামুক্ত থাকতে পারতেন।
আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্তরে যদি এতটুকু মমতাবোধও থেকে থাকে তাহলে তিনি এই ব্যাপারে একটা উদ্যোগ নিবেন, আর যদি না নেন তাহলে এটা আবারও প্রমানীত হবে যে অন্যান্য লীগ নেতাদের মত তিনিও প্র্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।