প্রধানমন্ত্রীর সফল উত্তরসূরী ওরা.........
ওরা হয়তো মনে করছে যে আমাদের রাষ্ট্রের কর্ণধার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) যখন বলেছেন-“মা দুর্গা হাতিতে ছড়ে আসায় এবার ফসলের ফলন বেশী হয়েছে” তাহলে আমরা আমাদের সমস্যা ও সম্ভাবনার জন্য “মা দুর্গার কাছে যাই” হয়তো এজন্য তারা সেখানে গিয়েছে তাদেরকে দোষারূপ করে লাভ কতটুকু বুঝে ওঠতে পারছিনা।
কেননা পৃথিবী’র তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন...............?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা জানি এবং শুনেছি মা দুর্গা প্রত্যেক বছর কোনো না কোনো বাহনে চড়ে এই বসুন্ধরায় আসেন। এবার আমাদের দেবী এসেছেন গজে চড়ে। ' গত ৫ অক্টোবর বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পূজা পরিদর্শন ও পুণ্যার্থীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, গজে (হাতি) চড়ে এলে জানি এই পৃথিবী ধন-ধান্যে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
তা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। এবার ফসল ভালো হয়েছে। মানুষ সুখে-শান্তিতে আছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ৭ ভাগ। সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তিনি বলেন, ‘হিন্দুরা দুর্গোৎসব পালন করছে।
মুসলমান-বৌদ্ধ-খৃস্টান সকলেই এ উৎসবে অংশগ্রহণ করছে। সকলের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ যে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ এটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। ' কোন মুসলমান মা দুর্গা বলে স্বীকার করলে বেঈমান হয়ে যায় -পীর সাহেব চরমোনাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই গতকাল এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, নববই ভাগ মুসলমানের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেছেন ‘গজে চড়ে মা দুর্গা এসেছেন ফলে ফসল ভাল হয়েছে, মানুষ সুখ-শান্তিতে আছে। ' এই বক্তব্য শেখ হাসিনা যদি অন্তর থেকে দিয়ে থাকেন তাহলে তিনি কুফরী করেছেন। কোন মুসলমান মা দুর্গা বলে স্বীকার করে নিলে সে বেঈমান হয়ে যায়।
শেখ হাসিনা আরো বলেছেন, ‘এবারের পূজা উৎসবে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সবধর্মের মানুষ একাত্ম হয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন। ' এ প্রসঙ্গে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দুর্গা পূজায় আওয়ামী লীগের মানুষ অংশগ্রহণ করেছে, এজন্য তাদের কাছে এটা বড় অর্জন হতে পারে কিন্তু মুসলমানের জন্য পূজা কোন অর্জন নয়। শেখ হাসিনা মা দুর্গাকে প্রভু হিসেবে মেনে নিলেও কোন মুসলমান তা মানতে পারে না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দাদা নাকি ছিলেন হিন্দু।
আরবীতে একটি প্রবাদ আছে কুল্লু শাইয়িন ইয়ারজিয়ূ ইলা আছলীহী অর্থাৎ প্রত্যেক বস্তু তার আসলের দিকে ধাবিত হয়। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, শেখ হাসিনার কথা-বার্তায় হিন্দুয়ানীর গন্ধ পাওয়া যায়। ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে তার প্রদত্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ কুফরী। তাই তাকে তওবা করা উচিত। ইসলাম অন্যান্য সকল ধর্মের স্বাধীনতা দিয়েছে বটে, কিন্তু অন্যান্য ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া সমর্থন করে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।