আমি সাধারন
যেকোনো সাধারন বাংলাদেশী নাগরিকের মত আমিও বেশির ভাগ সময় মনে করি যে আমাদের (মানে, সাধারন নাগরিকের) ভালো মন্দ সব কিছু দেখার দায়িত্ব সরকারের। সত্য। কিন্তু, এদেশের নাগরিক হিসাবে তো আমাদেরও কিছু দায়িত্ব এবং দায়িত্ববোধ থাকা উচিত, তাই না?
পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে যেসব বিষয় মনে আসছে, তা অনেকটা এরকমঃ
দায়িত্ববোধ এর কিছু উদাহরনঃ
১। কিছু কিছু গাড়ী চালকেরা রাস্তায় লাল সিগন্যাল এ জেব্রা-ক্রসিং এর পিছনে থাকে। আর্থাত, পথচারীরা যেন রাস্তা পার হতে পারেন জেব্রা-ক্রসিং দিয়ে।
সব গাড়ী চালকেরাই যে এমন করেন, তা কিন্তু নয়। হয়তো খুব অল্প-স্বল্পই করেন। কিন্তু তাতে কি? এইভাবেই হয়তো ১ জন, ৫ জন, ১০ জন করে ধীরে ধীরে পুরা বাংলাদেশের নাগরিকই সচেতন হবে!
২। আগে বাস এ উঠার জন্য কোনো টিকেটিং সিস্টেম ছিলোনা, বা লাইনে দাড়ানোর রীতিও ছিলোনা। কিন্তু ভালই লাগে যে এখন মানুষ লাইনে দাঁড়ায়।
(যদিও, বাস যখন আসে তখন মনে হয় লাইন মানা হয়না)
দায়িত্বহীনতার কিছু উদাহরনঃ
১। হরতাল চলাকালীন সময়ে প্রায়শই পাবলিক (বি আর টি সি) বাস পুড়িয়ে ফেলা হয়। অথচ, যারা এই কাজ গুলা করছে, তারা কি একবারও চিন্তা করেছে যে এই বাস গুলা আমাদের মত জনগনের ট্যাক্স এর টাকা থেকেই কেনা? তাহলে, পুড়িয়ে শেষ পর্যন্ত কার ক্ষতি করছে এই “পুড়িয়ে-ওয়ালা”রা? নিজেদেরই নয় কি?
২। আমাদের দেশের ফুট-ব্রিজগুলো কয়জনে ব্যবহার করে? রাস্তায় গাড়ী ছুটছে, আর তার মাঝেই সব ধরনের “পোষাক পরিহিত” মানুষকে জীবনের ঝুকি নিয়ে রাস্তা পার হতে দেখা যায়। সবচেয়ে আশ্চর্য লাগে, কিছু কিছু জনের রাস্তা পারাপারের “গতি” দেখে – মনে হয় যেন, নিজের বাড়ীর উঠান পার হচ্ছে।
আর তাদের চেহারাতেও এমন ভাব থাকে যেন গাড়ী কেন এত জোড়ে ছুটছে, কেন তাকে দেখে থামছেনা, এ ভাবনাতেই যেন তারা মহা বিরক্ত!
(ইচ্ছা করেই “পোষাক” এর কথা বলেছি, কারন কে পড়াশোনা জানা লোক আর কে নয় তাই বা কি করে বলি?)
তবু, সুখের কথা হলো যে কিছু কিছু মানুষ ঠিকই ফুট-ব্রিজ দিয়েই রাস্তা পার হচ্ছে। আশা থাকলো যে এইভাবেই একে একে সকলেই নিরাপদভাবে রাস্তা পার হবেন।
৩। যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং তো রাস্তায় বের হলেই দেখা যায়। তবে পুলিশ/হলুদ জ্যাকেট পরা সার্জেন্ট দেখলেই তখন চালকেরা সোজা হয়ে যায়।
তাইলে কি আমাদের মত দেশের জন্যে আসলেই “স্বৈরাচার” শাষক দরকার?
৪। ধরেন, রাস্তায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেছে, মানে কোনো গাড়ী কোনো বাস এর বডি’তে লাগিয়ে দিয়েছে (বা ভাইস-ভারসা)। ব্যাস, সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট বাস গাড়ী’র রাস্তা আটকাবে ফয়সালা করার জন্যে। এতে যে শুধু সংশ্লিষ্ট গাড়ী’কে আটকানো হলো তা তো না – দেখা যায় যে, রাস্তা এমন আড়াআড়িভাবে আটকিয়ে রেখেছে যে পিছনের সব বাস-গাড়ী’র পথ বন্ধ। এসব করার পিছনে যুক্তি হলো যে যেহেতু আমাদের পুলিশ বন্ধুরা আইন প্রয়োগ করতে পারছেন না, অর্থাত দোষী’কে ধরে যোগ্য শাস্তি দিতে অপরাগ, তাই ফয়সালা নিজেদের মধ্যেই করা ভালো।
কে যাবে এত কোর্ট কাচারী করতে!
লিস্ট'টা এইখানেই শেষ নয়, আপাতত যা মনে আসছে তাই লিপিবদ্ধ করলাম...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।