বিএনপি নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান রতনকে রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১টায় রাজধানীর মৌচাক এলাকা থেকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, মৌচাকে অবস্থিত বেসরকারি টেলিভিশন দেশটিভির একটি টক শোতে অংশ নিয়ে বের হয়ে আসার পর তাকে আটক করা হয়।
রতনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
আটকের সময় কামরুজ্জামান রতনের সঙ্গে ঘটনাস্থলে থাকা তার ভাই মুসা কলিমউল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, মৌচাক মোড়ে অবস্থিত দেশ টিভি ভবনের সামনের রাস্তা থেকে ডিবি পরিচয় দিয়ে রতনকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়। মাইক্রোবাসে ডিবি লেখা ছিলো বলে জানান তিনি।
দেশটিভিতে অনুষ্ঠিত একটি টক শোতে অংশ নিয়ে বের হয়ে আসার সময়েই এই ঘটনা ঘটে বলে জানান মুসা।
এদিকে রতন আটকের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ডিবি অফিসে ছুটে আসেন তার স্ত্রী নুরে জান্নাত। রাত পৌনে দুইটার সময় তাকে ডিবি অফিসে কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের কাছে স্বামীর খোঁজ করতে দেখা যায়। এ সময় বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘আমি আমার স্বামীর জীবন নিয়ে শঙ্কিত। আমি তাকে জীবিত ফেরত চাই।
ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলেও তারা এখন অস্বীকার করছে। পুলিশও বলছে তারা কিছুই জানেনা। এ অবস্থায় আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। রতন যদি অপরাধী হোন, তবে তাকে প্রচলিত বিচারের মুখোমুখি করা হোক। ’
ইলিয়াস আলীর মতো তার স্বামীরও একই পরিণতি হতে পারে বলে এ সময় আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন,‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি ডিবি অফিসে গেলেও তারা আটকের কথা অস্বীকার করে। এ সময় তারা রমনা মডেল থানায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়। পরে রমনা মডেল থানায় যোগাযোগ করলেও তারা এ ব্যাপারে অজ্ঞতা প্রকাশ করে। ’
এদিকে রতন আটক প্রসঙ্গে ডিবি অফিসের ডিউটি অফিসার রুবেল বাংলানিউজকে জানান, তারা এই নামে কাউকেই আটক করেনি। অপরদিকে রমনা মডেল থানার ডিউটি অফিসার এএসআই রশীদুল ইসলামও বাংলানিউজকে জানান, রতন নামের কাউকেই গ্রেফতার করেনি রমনা মডেল থানা পুলিশ।
সূত্র
সূত্র ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।