সন্ধ্যার দিকে মাঠে বা নদীর পাড়ে হাঁটার সময় মশারা চারপাশ থেকে এসে দলবেঁধে মাথার ওপর জড়ো হয়। ফানেলের আকার ধারণ করে ঘুরপাক খেতে থাকে। হাত দিয়ে তাড়াতে চাইলেও ওরা যায় না। একটানা ভনভন শব্দ করে উড়তে থাকে। আমরা হাঁটাহাঁটি করলে মশার দলও সেই ফানেলের আকৃতি অবিকৃত রেখে মাথার ওপরেই ঘুরন্ত অবস্থায় চলতে থাকে।
কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস মশাকে আকর্ষণ করে বলেই এ রকম হয়। আমাদের নিঃশ্বাসের সঙ্গে এই গ্যাস বেরোয়। মশারা যে মানুষ চেনে, সেটা ওই কার্বন ডাই-অক্সাইড দিয়েই। দিনের আলো মশারা সহ্য করতে পারে না। তাই ওরা সন্ধ্যায় বেরোয়।
এ সময় আমরা মাঠে হাঁটাহাঁটি করলে নিঃশ্বাসের সঙ্গে বের হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইডের আকর্ষণে মশারা মাথার ওপর জড়ো হয়। বলা যায়, আমাদের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসই তাদের টেনে আনে আমাদের মাথার ওপর। অনেক সময় মশা ছাড়াও অন্য কোনো পোকা বা একজাতীয় খুদে মাছি মাথার ওপর জড়ো হয়। এরা আসলে ঠিক আমাদের মাথা লক্ষ্য করে আসে না। আমাদের প্রশ্বাস ও শরীরের উষ্ণতাকে ওরা কোনো জলাভূমি থেকে উঠে আসা গ্যাস বা জলীয়বাষ্প বলে ধরে নেয়।
সে জন্য সেখানে তারা জড়ো হয়। কারণ, জলাভূমিতে তাদের খাদ্য থাকে। শুধু খাদ্য নয়, জলাভূমি তাদের আদর্শ প্রজনন ক্ষেত্রও বটে। সেখানে দলবেঁধে উড়তে থাকে তাদের স্ত্রীজাতীয় সঙ্গীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। আকৃষ্ট হয়ে সঙ্গীরা ছুটে এসে তাদের সঙ্গে মিলিত হয় এবং সেখান থেকে সোজা জলাভূমিতে চলে যায় ডিম পাড়ার জন্য।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।