দেশের স্বার্থে রাজনীতি করুন,নিজের স্বার্থে নয়।
ফেসবুকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইন্দানিং অনেক ঘটনাই ঘটছে।
ফেসবুক থেকে বিপ্লবের ডাক আসছে,
ফেসবুক থেকে ধ্বংসের ডাকও আসছে।
ফেসবুক অনেক নতুন সম্পর্ক গড়ে দিচ্ছে
আবার পুরাতন সম্পর্ক ভেঙেও দিচ্ছে।
ফেসবুক অনেককে সুপার হিট করে দিচ্ছে
আবার অনেকে ফেসবুকের কারনে বাস্তবে মারও খাচ্ছে।
আমি ফেসবুকের কারনে মার খাওয়াদের একজন।
অন্যায় কিছু করলে মার খেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকেনা।
কিন্তু অন্যায় কিছু না করেও আমাকে মার খেতে হয়েছে।
আমি ঢাকার একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ছি।
এখানে রাজনীতি ততটা সক্রিয় না, কিছুটা আছে।
কিছুদিন আগে ছাত্রদলের নতুন সভাপতিকে সংবর্ধনা বা এ জাতীয় কিছু একটা ছিল। আমাদের ইন্সিটিউটের ব্যনারে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সেখানে অংশ নেয়।
অবশ্য কিছুদিন আগে পর্যন্ত এদের প্রায় সবাই ছাত্রলীগের ছিলেন।
শিক্ষকদের বাসা ও অফিস ভাংচুরের অপরাধে ছাত্রলীগের শির্ষস্থানীয় কয়েক জনকে কয়েক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
তার পরেই মূলত তাদের দল পরিবর্তন।
তবে যে ব্যপারের কারনে আমাকে মারধর করা হয়েছিল তা হচ্ছে,
ছাত্রদলের ঐ সংবর্ধনাতে যে ব্যনার বহন করা হচ্ছিল তাতে ছাত্রদলের মূলনীতি ‘’ ''শিক্ষা, ঐক্য, প্রগতি’’'' এর বদলে ছাত্রলীগের মূলনীতি ‘’ ''শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি’’'' লেখা ছিল।
এই ছবি আমি ফেসবুক শেয়ার করার কারনে বড় ভাইদের আশির্বাদপুষ্ট আমার কয়েকজন ক্লাসমেট আমাকে ক্যাম্পাসের মাঝেই মারধর করে।
উল্লেখ যে , আমি কোন ধরনের রাজনীতির সাথে জড়িত না। কোন ঝামেলার মাঝেও ছিলাম না। তাদের কারো সাথে পূর্বের কোন শত্রুতাও ছিলনা আমার সাথে।
তারপরও আমাকে অসহায়ের মত মার খেতে হল।
(ঘটনাটা কয়েক মাস আগের) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।