জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই। লজ্জা মানব চরিত্রের শ্রেষ্ঠ অলংকার। আল্লাহ প্রদত্ত এক অনন্য গুণ। এর উৎপত্তি ঈমান থেকে। এটি এমন গুণ যা মানুষকে সব ধরনের কদর্মতা, মলিনতা ও কলুষতা থেকে মুক্ত রাখে এবং ব্যক্তিকে পবিত্রতা, স্বচ্ছতা ও নির্মলতার চরিত্র বিকাশে বিকশিত করে তোলে।
লজ্জার অর্থঃ
মানসিক সংকোচন, নমনীয়তা, চারিত্রিক ভদ্রতা ও লাজুকতা।
ঈমানের পুর্ণতার জন্য লজ্জার প্রয়োজনঃ
কারণ ঈমান যেসব নেক কাজের দাবি করে, লজ্জা ওইগুলোর সহায়ক। রাসুল (সা.) বলেছেন, লজ্জা ঈমানের একটি শাখা। সুতরাং ঈমান থাকা না থাকার বিষয়টি লজ্জার ওপর নির্ভরশীল। এ ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার লজ্জা নেই, তার ঈমান নেই।
’
লজ্জা চরিত্রের ভুষণঃ
লজ্জা মানুষকে যাবতীয় অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও নোংরামি থেকে বিরত রাখে। এ গুণ যার ভেতর আছে, সে কখনো অন্যায় ও অপমানসুচক কাজ এবং আল্লাহ ও তার রাসুলের নাফরমানি করতে পারে না। উম্মাহাতুল মুমেনীন হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন হে আয়েশা! লজ্জা যদি কারো ভুষণ হয়, তবে সে একজন সৎ লোক এবং অশ্লীলতা যদি কারো ভুষণ হয়, তবে সে একজন অসৎ লোক।
রাসুল (সা.) আরো বলেছেন, কোনো ব্যক্তির কোনো বিষয়ে যদি অশ্লীলতা থাকে, তবে তা তার সম্মান হানি করে, আর কারো কোনো বিষয়ে যদি লজ্জাশীলতা থাকে, তবে তা তাকে সুশোভিত করে।
লজ্জা জান্নাত-জাহান্নামের প্রবেশদ্বারঃ
রাসুল (সা.) বলেছেন, লজ্জা ঈমানের একটি শাখা। ঈমান মানুষকে জান্নাতে প্রবেশ করায়। আর অশ্লীল কথাবার্তা দুশ্চরিত্রের একটি শাখা। আর দুশ্চরিত্র মানুষকে জাহান্নামে প্রবেশ করায়।
লজ্জাহীন ব্যক্তির কাজের কোনো বিচার বিশ্লেষণ নেইঃ
নির্লজ্জ ব্যক্তি মান-ইজ্জত, হালাল-হারাম, ভালো-মন্দ, উৎকৃষ্ট-নিকৃষ্ট, অনাচার-দুরাচার ও চক্ষুলজ্জা বলতে কোনো বাছবিচার নেই।
লজ্জাহীন ব্যক্তি গর্বের ন্যায় নিকৃষ্ট কাজ করতেও দ্বিধাবোধ করে না। নির্লজ্জ ব্যক্তি উলঙ্গপনা, অশ্লীলতা, বেপর্দা, বেহায়াপনা, বেআদবী ও মানব চরিত্রের যত নিকৃষ্ট ও নোংরামি কাজ আছে সবই করতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।